মা-বাবাকে খুনের পিছনে মেয়েই জড়িত!

Police killedউইমেন চ্যাপ্টার: রাজধানীর চামেলীবাগের বাসায় স্ত্রীসহ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনায় তাঁদের মেয়ে ঐশী রহমান (১৬) এর সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। এক সংবাদ সম্মেলনে আজ পুলিশ একথা জানিয়ে বলে, এই ঘটনায় ঐশীর দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধুসহ ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, পল্টন থানায় আজ আত্মসমর্পণ করার পর ঐশীকে মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে নিয়ে অন্যদের আটক করতে বের হয় পুলিশ।

পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, খুনের আগে বাবা-মাকে কফির সাথে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। তাদের মেয়ে ঐশীর আচরণ স্বাভাবিক নয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান (৪৯) ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমানের (৪২) লাশ শুক্রবার বাসার দরজা ভেঙে বাথরুম থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকেই নিহত দম্পতির ‘ও’ লেভেল পড়ুয়া মেয়ে ঐশী ও গৃহকর্মী সুমি (১১) নিখোঁজ ছিল।

নিহতদের স্বজন এবং পুলিশের তথ্য অনুযায়ী এই খুনের জন্য মেয়ে ঐশীকে সন্দেহ করা হয়। জানা গেছে, ঐশী জীবনাচরণে উচ্ছৃঙ্খল ও মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিল। এই ঘটনায় ওর বাবা-মা তার চলাফেরার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেন। বাবা-মা খুন হওয়ার পর ঐশীর স্বাভাবিক আচরণ ও মিথ্যা কথা থেকেও সন্দেহ জোরদার হয়।

এদিকে ময়নাতদন্তে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি আঘাতের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে মারা যান ওই দম্পতি।

শেয়ার করুন:
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.