তুচ্ছ

ফাহমিদা খানম:

নিঃশ্বাস নেবার জন্যে প্রবল কষ্টের মাঝে আমেনা বেগম শুনতে পেলেন তার স্বামী চেঁচিয়ে অক্সিজেনের কথা কাউকে বলছে —অবাক হয়ে ভাবলেন এতোটি বছর যে মুক্ত বাতাসের জন্যে এতো যে ছটফটিয়েছেন কই তখন কখনো এই দরদ দেখেননি –তাহলে কি সময় শেষ হয়ে এসেছে?

জেগে উঠে দেখেন দুই ছেলে বউ, নাতি সবাই রুমেই – আচ্ছা হলোটা কী সবার? সবাই এখানে ভীড় করে আছে কেনো? স্বামী কিছু একটা বলার পরে সবাই রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।
“বলো তুমি আমাকে মাফ করেছো?”
“আমি তোমাকে মাফ করবো না”-
বহু কষ্ট করেই আমেনা উত্তর দিলেন –আরমান সাহেব এই উত্তর আশা করেননি, তাই হতভম্ব হলেন, ৪০ বছর সংসার করার পর এই স্ত্রীকে অচেনাই লাগছে, এতো বছর যা বলেছেন সেটাই মেনে নিয়েছে, আর আজ শেষ সময়ে কী বলছে!

আবার সেন্স আসার পর দেখেন ছোটো বোন সাদিয়া আর তার স্বামী বেডের পাশেই দাঁড়িয়ে আছে — কতো যুগ পরে বোনের স্বামীকে দেখলেন! অভিমান নিয়ে সে আর বাসায় আসে না — আমেনা বেগম নিশ্চিন্ত হলেন তার অপেক্ষার প্রহর সত্যিই ফুরিয়েছে।

সবাইকে রুম থেকে বের করে দিয়ে বোন আর স্বামী রুমে রইলেন—
“আপু, দুলাভাইকে মাফ করে দে, মনে কোনো কষ্ট রাখিস না”

অনেক বছর আগে ঘটে যাওয়া কথা মনে পড়ে গেলো আমেনার। বোনের সাথে খুব শখ করে জাফলং বেড়াতে গিয়েছিলেন, আরমান সাহেব পছন্দ করেননি তাই যখন পাথরে স্লিপ কেটে পড়ে পা ভাঙ্গলেন – আরমান সাহেব শ্যালিকার জামাইকে অসতর্কতার জন্যে গালিগালাজ করলেন — যেনো সে ইচ্ছে করেই ধাক্কা দিয়ে স্ত্রীর বোনের পা ভেংগেছে!

আরেকবার স্ত্রীর বড়বোনের পক্ষে কথা বলার জন্যে এমন বেফাঁস কথা বললেন যে, বেচারা আর কখনও বাসায়ই আসেনি।

বিয়ে হওয়া অব্দি আমেনা বুঝেই উঠতে পারেননি বিয়ে মানে কী? মানুষটা শ্বশুরবাড়ির সবার মাঝে খুঁত খুঁজে বের করতোই — নিজে যেতো না, বউকেও যেতে দিতো না। রাতের পর রাত কেঁদে বালিশ ভিজালেও পাশে শুয়ে থাকা স্বামী বুঝেনি বউয়ের কষ্ট — এ কেমন দাম্পত্যজীবন?

বিয়ের আগে উত্তম- সুচিত্রার ছবি দেখে ভাবতেন – এমন মধুর প্রেমেই আজীবন জড়িয়ে রাখবেন স্বামীকে। হায় সিনেমা আর বাস্তবতার মাঝে যোজন ফারাক! স্বামীর ভালোবাসা বলতে বুঝেছেন শারীরিক চাহিদা —শখ করে বউয়ের জন্যে কিছু কিনেনি, নতুন কিছু পরে দেখালেও প্রশংসা করেনি, কখনো বেড়াতে নিয়ে যাবার আগ্রহ দেখায়নি, কোথাও বের হতে চাইলেও বিরক্ত হয়েছে – মুখের উপরে বলেছে –“মেয়েমানুষ ঘরে থাকবা – এতো বেড়ানি কীসের?”

দুই ছেলের মা হয়েছেন, পুরো সংসার সামলেছেন — তবুও কারোই মন ভরাতে পারেননি। মনে পড়ে ঈদে সবার জন্যে জামা-কাপড় কেনা হতো, ননদেরা নেবার পরে যেটা থাকতো সেটাই ভাগ্যে জুটতো, মাঝে-মধ্যে তাও জুটতো না।

যৌবনে স্বামী পরিবারের কথা শুনে স্ত্রীকে দুই আনাও দাম দিতো না, বরং ভুলের কথা শুনে শুধুই ধমকাতো। স্বামীকে কাছের মানুষ, আপন মানুষ মনেই হয়নি কখনো, ভালোবাসা ছাড়াও সন্তান জন্মায় – আর সেই সন্তানের মায়ায় নিজেকে ভোঁতা করে বাকি জীবন পার করে কতো মা! তখন এটাকে সবাই ভাগ্য বলেই ভাবতো।

মনে পড়ে মা বলেছিলো –
“এটাই তোর কপাল আমেনা, মেনে নে, মানিয়ে নে। জামাই কি মদ খায়? নাকি অন্য খারাপ স্বভাব আছে? একটু রগচটা আর বাড়ির কানকথা শুনে – দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে, দুঃখের পরেই সুখ আসে মা”।

মায়ের কথা শুনে গভীর প্রতীক্ষায় কাটিয়ে দিলেন এতোটি বছর — নাহ সুখের দেখা আর মেলেনি, ছেলেদের বিয়ের পর দায়িত্ব আরো বেড়েছে, দূর থেকে দেখলে কী সুন্দর ভরা সংসার! –শুধু আমেনাই সে সুন্দরের অংশ আর হতে পারেনি।
“সেকি অপারেশন হইছে মাত্র ৭ দিন হইছে, আপনি পান্তাভাত খাচ্ছেন কেনো? আপনার ডায়াবেটিস এমনিতেই অনেক বেশি”।
“খুব খিদা লাগছিলো মা কিচ্ছু পাই নাই তাই খাচ্ছি”

সামান্য এই ব্যাপার নিয়ে বাসায় ঝড় বয়ে গেলো, বড়ো বউ দায়িত্বে অবহেলার জন্যে ছোটো বৌকে বকা দিলো — সকালে সে বাচ্চা নিয়ে স্কুলে যায় –ছোট বউ ঘুমিয়ে না থেকে এসব কেনো দেখে না? পুরোটা দোষ এসে পড়লো আমেনার কপালেই — সে নাকি ইচ্ছে করেই ভাত খেয়ে ছোট বউকে কথা শুনাইছে — অফিস থেকে ফিরে ছোট ছেলেও অনেক কথাই শুনালো — লজ্জায়, ঘৃণায়, অপমানে আমেনার মরে যেতে ইচ্ছে করছিলো –অবশ্য সংসার জীবনে কতোবার যে মৃত্যু কামনা করেছেন –হিসাব নাই! স্বামী সব দেখে, সেও আমেনাকেই দুষেছেন – কী দরকার ছিলো বড়ো বউকে বলার?

আরমান সাহেব সকালে হাঁটতে বের হোন প্রায়ই, হোটেলেই নাস্তা সেরে আসেন। জীবনের পুরোটা সময় কারো মন বুঝেই উঠতে পারলেন আর কই? ছেলেদের দোষ কী —ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছে সবাই ভুল ধরে মায়ের, তাই তারাও ধরে – ধুতরা গাছে কি চন্দন ধরে?

সারাজীবন কেবল ভয়ে ভয়ে থেকেছেন — কোন কথার যে কী ভুল বের হয়? সংসারে আমেনা বেগম আছেন কি নাই –বোঝাও যায় না, সারাদিন হাতে কাপড় নিয়ে সবকিছু মুছতেই থাকেন আর রান্নাটা করেন – আরমান সাহেব আবার স্ত্রীর রান্না ছাড়া খেতেই পারেন না।

সবই ঠিক ছিলো, সমস্যা হলো আরমান সাহেব ঠিক করলেন হজ্বে যাবেন, সব গুছানোর পর মনে পড়লো স্ত্রীর মোহরানার টাকা শোধ করা হয়নি, ৫০ হাজার টাকার কাবিন ছিলো – তিন আনা সোনা, দুইটা শাড়ি আর সামান্য কসমেটিক্স দিয়ে মামা আর সে উসুল দেখিয়েছিল সেদিন। এতো বছর বাদে সেটা মনে পড়ায় বুদ্ধি করে ১ লাখ টাকা নিয়ে স্ত্রীর কাছে গেলেন।
“আমি এই টাকা দিয়ে কী করবো?”
“আরে এটা তোমার প্রাপ্যতা, মোহরানার টাকা”
“৪০ বছরে মাত্র দ্বিগুণ হলো বুঝি? আচ্ছা আরও বাড়ুক!”
“আমাকে মাফ করেছো তুমি?”
“কীসের জন্যে মাফ চাইছো?”
“মরি কি বাঁচি ঠিক নাই, মাফ করে দিও”
“আমাকে এতো বছর খাওয়াতে, পরাতে কতো খরচ হয়েছে –সে বাবদ টাকাটা রেখে দাও”।

মৃদু হেসে সামনে থেকে সরে গেলেন আমেনা। আরমান সাহেবের মন থেকে শান্তি চলে গেলো, টাকা ডাবল করে দেবার পরেও নিলো না, কী আজিব মেয়েমানুষরে বাবা!

স্বামীকে মুখে মাফ করেননি বলে তার অস্থিরতা দেখে আমেনার বিয়ের পরের কথা মনে পড়লো – এক বাচ্চার মা তখন, ঈদের পরে বাড়িতে বেড়াতে আসা এক চাচাতো দেবরের বউয়ের স্যান্ডেল এতো ভালো লেগেছিলো যে, স্বামীর কাছে আবদার করেছিলেন। দামের অজুহাতে কিনে না দিলেও ভার্সিটি পাশ করা ভাইকে দামী জুতা কিনে দিয়েছিলো — কত জায়গায় যেতে হয় ভাইকে চাকুরীর জন্যে! নিউ মার্কেটের সামনে থেকে ১০০ টাকার জুতোই বউয়ের জন্যে যথেষ্ট! বিয়ের পর থেকে স্বামী নিজেই বলতো বউ গেলে বউ পাওয়া যায় –ভাইবোন, মা-বাবার সাথে রক্তের সম্পর্ক! এসব শুনে শুনে শামুকের মতো খোলসে পুরে মুখ বুঁজে দিন পার করে গেছেন, ভেবেছেন দুঃখের পরেই একদিন সুখের দেখা পাবেন! তারপর বুঝেছেন সেটা কেবল গল্প, নাটক আর সিনেমায় থাকে! অবজ্ঞার আয়নায় নিজের অবস্থান বোঝার পরে আর কখনো কোনো আব্দার করেননি, সারা জীবন নড়বড়ে ভিতের উপর ভয়ে কাটিয়েছেন বলে বিয়ের পর বড়ো ছেলের বউকে সরল মনেই বলেছেন –

“আমি তো এখনও শক্ত-সমর্থ আছি, সংসার আমিই সামলাবো, তুমি শিক্ষিতা মেয়ে ঘরে বসে না থেকে চাকুরী করো মা”
বউ মুখের উপরেই বলে বসলো –
“বউকে খাওয়াতে, পরাতে না পারলে ছেলেকে বিয়ে করাইছেন ক্যান?”
ছেলে, বউ, ছেলের বাবা অনেক বকাঝকা করলেন। লজ্জায় আবারও মরে যেতে ইচ্ছে হলো, যুগ যে বদলেছে টেরই পাননি! স্বামী ছিলো মা অন্ত:প্রাণ – ছেলে বউ অন্ত:প্রাণ। তিনিই কেবল কারো প্রিয় হতে পারেননি, একবার ঈদের সময় ছেলে, বউয়ের কথা কানে এলো –
“দুজনের জন্যে একই শাড়ি কিনো”
“শাশুড়ি আম্মা কি বাইরে বের হয় কোথাও? সারাদিন আছে শুচিবায়ু এক রোগ নিয়ে, শাড়ি পড়েই থাকবে আলমারিতে – তার চেয়ে টাংগাইলের সুতি শাড়ি কিনে দিলেই হবে উনাকে”।
বিতৃষ্ণা নিয়ে এতোটি বছর কাটিয়েই দিলেন, কই যাবেন? সামাজিকতার পোশাক ভারি হলেও বয়েই গেছেন, মৃত্যু ছাড়া আর কি মুক্তি আছে?
হজ্ব থেকে ফেরার সময় আরমান সাহেব বুদ্ধি করে এক ভরি ওজনের একটা চেইন কিনে আনলেন –
“সারাজীবন তেমন কিছু দিতে পারিনি, এটা শখ করে আনলাম”
আমেনার মনে গান বাজলো –
“যখন সময় ছিলো, ছিলো কল্পনা
তখন তোমার এই মন ছিলো না”

আমেনার মুখ দেখে খুশি বা আনন্দের কিছুই বোঝা গেলো না, মরা মাছের মতো নির্বিকার চাহনি দেখে আরমান সাহেবের রাগ উঠে গেলো।
“যে যেটার মর্ম বুঝে না তাকে সেটা দেয়াও ভুল!”

ছোট ছেলের বউ ছেলেকে বলছে –
“বাবা এখনও কতো রোম্যান্টিক! মা যেনো কেমন, নিরামিষ টাইপের – কখনো কোনো আবদার করতেও দেখি না, কেউ কিছু দিলে খুশি হতেও দেখি না”
“মা সবসময়ই এমন, এই শুচিবায়ু রোগই মাকে খেলো, বুঝলে!”

বউয়ের কথা শুনে বিয়ের আগে দেখা উত্তম –সুচিত্রার সিনেমার কথা মনে পড়লো। হায় কল্পনা আর বাস্তবতার মাঝে কতো ফারাকই না দেখেছেন! আজকাল সময় পাল্টেছে কিন্তু তিনি তো সেই কবেই মরেছেন! জীবন্ত ফসিলটাকে বয়ে বেড়িয়েছেন এতোটি বছর ধরেই ধরেই। বিয়ের পর থেকে সেই যে সংসার করতে এসেছেন – কেবল শ্রম দিয়েই গেছেন – শরীর খারাপের জন্যেও যখন ছুটি মিলেনি – তীব্র অভিমানে কখনও কাউকে আর বলেননি শারীরিক কষ্টের কথা!

কথা নেই বার্তা নেই একদিন হুট করে মাথা ঘুরে পড়ে অজ্ঞান হবার পরে স্ট্রোক ভেবে হাসপাতালে নেবার পর ধরা পড়লো জরায়ুতে ইনফেকশন, সেটা ফেলে দিয়ে টেস্ট করার পর জানা গেলো রোগিনী এখন শেষ ধাপে আছেন — কেমো দিয়ে লাভ হবে না। ডাক্তাররা বারবার জিজ্ঞেস করলো কোনো উপসর্গ ছাড়া একদিনে এটা সম্ভব না — আমেনা নিজেই জানালো, নাহ সে কিছুই টের পায়নি! নিজের সাথে যুদ্ধ করে শরীরের যন্ত্রণাকে কবেই আপন করে নিয়েছেন!

এবার হাসপাতালে নেবার আগেরদিন আমেনাকে খুঁজতে গিয়ে দেখেন রান্নাঘরের জানালা দিয়ে কাক, বিড়ালকে খাবার দিয়ে আমেনা বলছেন –
“এবার গেলে আর ফিরবো নারে, তোরা ভালো থাকিস!”
সৃষ্টিছাড়া মেয়েমানুষ কারো সাথে কথা বলে না, উত্তর দেয় না — কাউয়া, বিলাইর সাথে খাতির! কারে বলবেন এই দুঃখের কথা! কাউয়া উত্তর দিলো মা, মা! কী আজিব কারবার! আরমান সাহেব দ্রুত সে জায়গা থেকে সরে গেলেন।

“মা তোমার কিছু খেতে ইচ্ছে করলে আমাদের বলো”
“আর কতোদিন বাকি আছে বাবা?”
“মা তোমার কিচ্ছু হয়নি, তুমি ঠিক হয়ে যাবে”
“আমার একটা কথা রাখবি বাবা? আমার লাশ আমার নানাবাড়িতে মায়ের পাশে কবর দিবি কথা দে”
“মা এসব উল্টাপাল্টা কথা বলো না তুমি ভালো হয়ে যাবে”
“পাশে একটা মেহেদী গাছ লাগিয়ে দিবি – উপরে সবুজ ভেতরে লাল!”

আমেনার মুখে হাসি দেখে সবাই ভাবতে বসলো – শেষ কবে এভাবে হেসেছিলো?
হাসপাতাল থেকে আর ফেরা হয়নি আমেনার, ১৫ দিন অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করে মৃত্যুর সময়ও মুখে হাসিই ছিলো, ডাক্তার জানানোর পরে ছোট বোন সাদিয়া বলে বসলো—
“বোনটা আমার মুক্তি পাইলো অবশেষে!”

আরমান সাহেব খুবই বিরক্ত হলেন এই কথায় –বোনের মৃত্যুতে চোখের পানি তো নাই-ই, আবার কী ধারার কথা! সবই সৃষ্টিছাড়া মেয়েমানুষ! দুই ছেলে ভাবলো খালা ঠিকই বলেছে – মা অসহনীয় যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়েছেন, শুধু আরমান সাহেবের মনের শান্তি নাই — মরার সময়েও বউটা যে মোহরানার টাকা আর তাকে মাফ করে গেলো না!

# আঠারো বছর বয়সে বউ হয়েছিলেন, চল্লিশ বছর রসকষহীন সংসার শেষে চলেই গেলেন! লাশ নিয়ে গ্রামে যাওয়া আর সম্ভব হয়নি, কারো চোখে পানি না এলেও প্রকৃতি কাঁদলো –তুমুল ঝড়-তুফানের মাঝে ডিসিশন বদলাতেই হলো, সবাই মিলে ঢাকাতেই কবর দিলো — গাইবান্ধা যাওয়া কি মুখের কথা? এখানে থাকলে ছেলেরা, স্বামী কবর জিয়ারত করতে পারবে —শেষ ইচ্ছেটাও আমেনার আর পূরণ হলো না — তুচ্ছ জন্ম, তুচ্ছ মৃত্যু!

একটি জীবন পোড়ে, শুধুই পোড়ে
আকাশ মেঘ বৃষ্টি এবং ঝড়
ফুলছে নদী যেন তেপান্তর
চতুর্দিকে শীতল সর্বনাশে-
পেয়েছে, যাকে পায়নি কোনোদিনও
একটি জীবন পোড়ে, কেবল পোড়ে
আর যেন তার কাজ ছিল না কোনো।

—- শক্তি চট্টোপাধ্যায়

শেয়ার করুন:
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.