আকসুর প্রতিবেদনে অভিযুক্ত নয়জন

spot fixing press conferenceউইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক: বিপিএল ম্যাচ ফিক্সিং এর দায়ে নয়জনকে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগে অভিযুক্ত করে চার্জ করেছে আইসিসির দুর্নীতি-বিরোধী সংস্থা আকসু। (খবর: বিবিসি)

মঙ্গলবার আইসিসি এবং বিসিবির এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ঐ নয়জন ব্যক্তি ২০১৩ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) এ বিসিবির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালা লঙ্ঘন করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, অভিযুক্ত সকলকে অভিযোগের বিস্তারিত জানিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত সকলের নামই গোপন থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
‘এটা মনে রাখা দরকার, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তারা দোষী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত নির্দোষ বলেই গণ্য হবেন।’

বিবিসির খবরে বলা হয়, অভিযোগের মূল বিষয় ছিলো ২০১৩ সালের বিপিএল-এ ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটার্স দলের ভেতরে স্পট ফিক্সিং। সেই সাথে এধরণের ফিক্সিং এর আমন্ত্রণ পেয়েও কর্তৃপক্ষকে না জানানোর দায়েও অভিযুক্ত করা হয়েছে।

নয়জন অভিযুক্তের মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে বাকী দুইজনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কথা জেনেও কর্তৃপক্ষকে না অবহিত করার অভিযোগ আনা হযেছে।

ফিক্সিং-সংক্রান্ত গুরুতর অভিযুক্ত সাতজনকে আজ থেকেই সকল ক্রিকেট-সংক্রান্ত কর্মকান্ড থেকে বিরত রাখা হবে।

১৪ দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের জানাতে হবে তারা কি দোষ স্বীকার করবেন, নাকি পূর্ণ শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণিত করবেন। বিসিবির দুর্নীতি-বিরোধী নীতিমালা অনুযায়ী, এই শুনানি একটি দুর্নীতি-বিরোধী ট্রাইব্যূনালে হবে।

বিবৃতিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এর সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, “দুই-তিন দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। সব কিছু প্রায় চূড়ান্ত করাই আছে, বেশি সময় লাগবে না।”

শুনানি শেষে দোষীদের শাস্তি দেয়ার অধিকার থাকবে ট্রাইব্যুনালের হাতে বলে জানান আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেভ রিচার্ডস।

তবে তিনি উল্লেখ করেন, “আইসিসির আইন অনুযায়ী ফিক্সিংয়ের অভিযোগে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাকে পাঁচ বছর থেকে সর্বোচ্চ আজীবন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে।”

শেয়ার করুন:
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.