উইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক: বিজেপির বিরোধীতায় ছিটমহল বিনিময়ের বিলটি দ্বিতীয় দফায় পিছু হটলেও চুক্তিটি বাস্তবায়নের স্বপক্ষে মত দিয়েছেন লোকসভায় দলটির এমপি বরুণ গান্ধী।
বিডিনিউজ24 এর এক প্রতিবেদনে বলে হয়, চীন ও পাকিস্তানের ব্যাপারে কট্টরপন্থী এই নেতা আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর বাংলাদেশে বিষয়ে অনেকটা নমনীয় মনোভাব পোষণ করছেন।
বরুণ গান্ধী ইন্দিরা গান্ধীর নাতি। তার চাচাতো ভাই রাহুল গান্ধী বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি।
১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার স্থল সীমান্ত চুক্তি এবং এর আওতায় ২০১১ সালে স্বাক্ষরিত প্রটোকল বাস্তবায়নের জন্য ভারতের সংবিধান সংশোধন করতে হবে। কিন্তু বিল পাশের জন্য পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা কংগ্রেস নেতৃত্বাধীস ইউপিএ সরকারের নেই।
সোমবার বিলটি উত্থাপনের কথা থাকলেও বিজেপির সমর্থন না থাকায় বিলটি উত্থাপন করেননি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ।
নির্বাচন সামনে রেখে বিজেপির আসাম শাখার চরম বিরোধিতার কারণে দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব বিলটি পাস করাতে চায় না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজেপি অনড় অবস্থানে থাকলেও দলটির এই এমপি ও গান্ধী পরিবারের সদস্য চুক্তিটি বাস্তবায়নের পক্ষে নিজের শক্ত অবস্থান জানিয়েছেন। এসম্পর্কে তিনি মঙ্গলবার টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় একটি প্রবন্ধ লিখেছেন।
এ নিয়ে বিজেপির দুজন বড় ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশের সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সুরাহার পক্ষে অবস্থান জানালেন। পূর্বে বিজেপি ঘনিষ্ঠ সাবেক সেনা কর্মকর্তা শ্রীনিবাস কুমার সিনহা এ বিষয়গুলো মিমাংসার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।
এএনআইকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সিনহা বলেন, ইসলামপন্থী উগ্রবাদীদের থামাতে ভারত সরকারের উচিত শেখ হাসিনা সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দেয়া।
অনেকের মতে বরুণ গান্ধীর প্রবন্ধের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিজেপির ভেতরে দ্বিধাবিভক্তি স্পষ্ট হয়েছে।
প্রবন্ধে ভারত বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগ হাতছাড়া করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।