উইমেন চ্যাপ্টার: আজ ১৩ আগস্ট। ‘আনলাকি থার্টিন’ মনে হয় একেই বলা হয়। এই ভূখণ্ডের ইতিহাসে কষ্টভরা আরও একটি দিন। প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ এবং আন্তর্জাতিক চিত্রগ্রাহক মিশুক মুনীর এইদিনেই চলে গিয়েছিলেন না ফেরার দেশে।
২০১১ সালের এইদিনে মানিকগঞ্জে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান চিরকালের দুই বন্ধু তারেক-মিশুক। এই মৃত্যু কোন স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, এই মৃত্যু মানুষকে কাঁদায়, ক্ষুব্ধ করে, প্রতিবাদী করে, শেখায় দাবি আদায়ের সংগ্রামে শামিল হতে। এই দুজনের মৃত্যুতে বাঙালী পিছিয়েছে আরও অনেক বছর। সুস্থধারার চলচ্চিত্র দিয়ে সাধারণ মধ্যবিত্তদের আবার হলমুখি যিনি করেছিলেন, তিনি তারেক মাসুদ। যিনি তার সেলুলয়েডের ফিতায় তুলে এনেছিলেন মুক্তিযুদ্ধকে, তিনি আর কেউ নন, তারেক মাসুদ। আর তাঁর এসব কাজের সহকর্মী, সহযোদ্ধা ছিলেন মিশুক মুনীর। বাংলাদেশের টেলিভিশন সাংবাদিকতার তিনি অন্যতম পথিকৃৎ-দিকপাল। তাদেরকে হারানোর মধ্য দিয়ে জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল, বিশেষ করে সুস্থ-সাংস্কৃতিক বিকাশের পথ রুদ্ধ হয়ে গেল। আবার কোন যুগে, কোন সময়ে জন্ম নেবে এমন দুই গুণী মানুষ, কে জানে?
যে আগুন জ্বালিয়ে গেছেন তারা, আমরা যেন তা ঊর্ধ্বে তুলে রাখতে পারি। আজ তাঁদের প্রয়াণ দিবসে কেবলই বিনম্র শ্রদ্ধা তাঁদের প্রতি। যেখানেই থাকুন, ভাল থাকুন তারেক মাসুদ-মিশুক মুনীর। স্যালুট। সম্পাদক।