গোলাম আযমের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আপিল

golam azamউইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক: একাত্তরে বাংলাদেশ বিরোধী গোলাম আযমের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে ট্রাইব্যুনালের দেয়া ৯০ বছর দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

সোমবার সাংবাদিকদের এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশন দলের সমন্বয়ক এম কে রহমান।

একই সাথে একাত্তরে ভূমিকার জন্য জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণার আবেদনও জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

গোলাম আযমের সর্বোচ্চ শাস্তি না হওয়ায় গণজাগরণ মঞ্চ সহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এই আপিল করা হয়ে। যদিও রায়ের পর সন্তোষ প্রকাশ করেছিলো সরকার।

অপরাধ বিবেচনায় সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়ার যোগ্য হলেও বয়স ও স্বাস্থ্যের অবস্থা বিবেচনায় গত ১৫ জুলাই গোলাম আযমকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ৯০ বছরের কারাদণ্ড দিলে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিভিন্ন সংগঠন। অনেকের ভাষ্য এই রাজাকার শিরোমনির ফাঁসি না হলে বিচার অসম্পূর্ণই থেকে যাবে।

ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর রায়ে বলেছিলেন, “তার যে অপরাধ, এর সবগুলোই সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়ার যোগ্য। তবে গ্রেপ্তারের পর থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি আছেন। তার বয়স ও শরীরিক অবস্থা বিবেচনা করে এই সাজা দেয়া হয়েছে।”

রায়ের পর্যবেক্ষণে গোলাম আযমের নেতৃত্বাধীন জামায়াতকে ‘ক্রিমিনাল দল’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতের সাবেক আমির গত ৫ অগাস্ট আপিল করেন।

রায়ের বিবরণ অনুযায়ী:
গোলাম আযমের বিরুদ্ধে প্রথম ও দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়, বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষকে দমনের জন্য পাকিস্তানের সামরিক কর্তাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে শান্তি বাহিনী ও রাজাকার বাহিনী গঠন এবং সেগুলোর কার্যক্রম পরিচালনায় সভা করেন। এ দুটি অভিযোগে প্রতিটিতে তাকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

তৃতীয় অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধে উস্কানি দেয়ার ২৮টি ঘটনার কথা বলা হয়। চতুর্থ অভিযোগে ছিল মানবতাবিরোধী অপরাধে সহযোগিতা বা সম্পৃক্ততার ২৩টি ঘটনা। এ দুটি অভিযোগের প্রতিটির জন্য তাকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দলটির যুদ্ধকালীন প্রধানের বিরুদ্ধে পঞ্চম অভিযোগ ছিল পুলিশ কর্মকর্তা সিরু মিয়া ও তার ছেলেকে হত্যার নির্দেশ দেয়, যার জন্য তাকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

প্রতিটি অপরাধের সাজা আলাদা আলাদা ভাবে একের পর এক কার্যকর হবে বলেও ট্রাইব্যুনালের রায়ে বলা হয়।

শেয়ার করুন:
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.