উইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টার দায়ে গ্রেপ্তারকৃত রেজওয়ানুল নাফিসকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত।
২০১২ সালের অক্টোবর মাসে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার বিবিসির এক সংবাদে বলা হয়, নাফিসকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে আদালত বলেছে আমেরিকায় সাজা খাটার পর নাফিসকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। তবে দেশে ফেরার পরেও তাকে আজীবন মার্কিন নজরদারীতে থাকতে হবে।
নাফিসের আইনজীবীর বয়স বিবেচনার আবেদনও নাকচ করে দেয় আদালত।
৩১শে জুলাই নাফিস নিউ ইয়র্ক ফেডারেল কোর্টের বিচারকের কাছে একটি চিঠিতে নাফিস বলেন, প্রেমিকার বিশ্বাসঘাতকতায় তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। সেসময় আত্মহত্যা করতে চাইলেও ইসলামে আত্মহত্যা নিষিদ্ধ বলে তিনি সে পথে যেতে পারেন নি। তাই তিনি আত্মঘাতী জঙ্গী পথকেই বেছে নিয়েছেন।
চিঠিতে নাফিস আরও উল্লেখ করেন ঢাকায় যে বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি পড়তেন সেখানে অনেক ইসলামী উগ্রপন্থী সহপাঠী তাকে প্রভাবান্বিত করেছে।
কাজী নাফিসের মা ছেলের মুক্তির আবেদন করে আদালতে কাছে একটি চিঠিও লিখেছিলেন যেটি তার আইনজীবী আদালতে পেশ করেন।
রায় ঘোষণার পূর্বে নাফিসকে কিছু বলতে বলা হলে নাফিস ক্ষমা প্রর্থনা করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক ভবনটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেবার চেষ্টার অভিযোগে আটক কাজী নাফিসকে অক্টোবর মাসে আদালতে তোলা হয়।
অভিযোগে বলা হয় তিনি একটি গাড়িবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ওই গুরুত্বপূর্ণ ভবনটি উড়িয়ে দেবার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু মার্কিন গোয়েন্দা ফাঁদে পড়ে তিনি নকল বোমা বিস্ফোরণ করাতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন।
কাজী নাফিস তাঁর অপরাধ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন এবছর ফেব্রুয়ারি মাসের ৭ তারিখে।
খবর শুনে কাজী নাফিসের বাবা কাজী আহসানউল্লাহ কান্নায় ভেঙে পড়েন।