ঈদ জামাতের ইমামতি নিয়ে হাতাহাতি

Eid maramariউইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক: গাজীপুরে ঈদ জামাতের ইমামতি নিয়ে হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, গাজীপুর রাজবাড়ি ঈদগাহ মাঠে জামাতের ইমামতি নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে জেলা প্রশাসক মো. নুরুল ইসলাম ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াজ উদ্দিন মিয়া পরিস্থিতি সামাল দিতে যান। এসময় তাদের দিকে জুতা ছুঁড়ে মারে মুসল্লিদের একটি পক্ষ।

ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করা হলেও পরে মুচলেকা রেখে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বিডিনিউজ জানায়, রাজবাড়ি মাঠে সকাল ৮টায় জামাত শুরুর নির্ধারিত সময়ের আগে বয়ান শুরু হয়। বয়ান শেষে জামাতে ইমামতির জন্য ঢাকার বায়তুল মোকারম মসজিদের হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়। এতে মুসুল্লিদের কিছু অংশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তারা বরাবরের মতো গাজীপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মনির হোসেনকে ঈদের নামাজের ইমামের দায়িত্ব দেয়ার দাবি জানান।

জেলা প্রশাসক নুরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াজ উদ্দিন মিয়া ও বিএিনপি নেতা অ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান এ সময় মাইকের মাধ্যমে উত্তেজিত মুসল্লিদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।

এক পর্যায়ে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের কয়েকজন জেলা প্রশাসকের দিকে জুতা ছুঁড়ে মারেন। অন্য আরেকটি এ সময় পক্ষ তাদের পাল্টা ধাওয়া করেন। শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। সাধারণ মুসল্লিরা এ সময় দৌড়ে পালিয়ে যান।

কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ এসে মাঠ থেকে দুইজনকে আটক করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ সময় অনেকে মাঠ ছেড়ে অন্য মসজিদে গিয়ে ঈদের নামাজ পড়েন।

জেলা প্রশাসক নুরুল ইসলাম বলেন, কয়েক মাস আগে হেফাজতে ইসলামীর কর্মীরা গাজীপুরে গণজাগরণ মঞ্চ ভাংচুর করে। গাজীপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মনির হোসেন ওই মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনেও মামলা হয়েছে। এসব কারণে তার ইমামতি নিয়ে এলাকাবাসীর আপত্তি থাকায় ঢাকা থেকে লোক আনা হয়েছিল।

শেয়ার করুন:
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.