উইমেন চ্যাপ্টার: দাবি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ ও পাওনাসমূহ না পাওয়ায় এর প্রতিবাদে ও চার দফা দাবিতে ঈদের দিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণঅনশন কর্মসূচি পালন করেছেন সাভারের রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ২০০ শ্রমিক ও তাদের স্বজনরা।
বেশকিছু শ্রমিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন। সকাল ১১টা থেকে শুরু হওয়া এ অনশন কর্মসূচি চলে বেলা ১টা পর্যন্ত। পরে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের নেতারা শরবত পান করিয়ে তাদের অনশন ভঙ্গ করেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সাভার আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু জানান, ঈদের আগে ক্ষতিপূরণ, আইন অনুযায়ী অন্যান্য পাওনা মেটানোর দাবিতে গত তিনদিন ধরেই হতাহত শ্রমিকদের পরিবার এবং আহত শ্রমিকরা রানা প্লাজার সামনে ‘শহীদ বেদী’তে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। আজ দেশবাসীকে, সরকারকে, বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষকে শ্রমিকদের দুরবস্থার খবর জানাতেই শহীদ মিনারে এই অনশন কর্মসূচি পালন করা হয়।
চার দফা দাবিতে রয়েছে, অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ দান, পাওনা বেতনাদি পরিশোধ, ঈদ বোনাস, ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। সেইসাথে নিখোঁজ শ্রমিকদের ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট প্রকাশ করা, তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা এবং নিখোঁজ শ্রমিকদের নিহত হিসেবে ঘোষণা করাও দাবিতে অন্তর্ভুক্ত।
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবে সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান, অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ, মানবাধিকার কর্মী ও কলাম লেখক রেহনুমা আহমেদ, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন শ্রমিকদের এই অনশন কর্মসূচিতে সংহতি জানান।
অনশন শেষে তারা আগামী ২৩ আগস্ট সাভারের অধরচন্দ্র হাইস্কুল থেকে রানা প্লাজা পর্যন্ত পদযাত্রা কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন।