শেখ ফজিলাতুন্নেছার আজ ৮৪তম জন্মদিনউইমেন চ্যাপ্টার: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের আজ ৮৪তম জন্মদিন। ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। স্বাধীনতা পূর্ব বাংলাদেশে পূর্ব-পাকিস্তান ছাত্রলীগের অন্যতম প্রেরণাদায়ী ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গেই শাহাদাত বরণ করেন। মাত্র তিন বছর বয়সে বাবা শেখ জহুরুল হক ও পাঁচ বছর বয়সে মা হোসনে আরা বেগমকে হারান তিনি। ফজিলাতুন্নেছার ডাক নাম ছিল ‘রেনু’। গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। অতঃপর সামাজিক রীতি-নীতির কারণে গ্রামের গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে বাধ্য হন। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই প্রখর স্মৃতি শক্তির অধিকারী রেনুর পড়াশোনার প্রতি প্রচণ্ড আগ্রহ ছিল। মনেপ্রাণে একজন আদর্শ বাঙালি নারী ছিলেন রেনু। অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তা, শান্ত, অসীম ধৈর্য ও সাহস নিয়ে জীবনে যে কোনো পরিস্থিতি দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবেলা করতেন। স্বামীর রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সর্বান্তকরণে সহযোগিতা করেছেন। বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে অন্যতম এক অনুপ্রেরণাদাত্রীও তিনি। জীবনে অনেক কষ্ট, দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাঁকে। বঙ্গবন্ধু জীবনে বছরের পর বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। তাঁর অবর্তমানে মামলা পরিচালনার ব্যবস্থা করা, দলকে সংগঠিত করতে সহায়তা করা, আন্দোলন পরিচালনায় পরামর্শ দেওয়াসহ প্রতিটি কাজ তিনি করেছেন অত্যন্ত দক্ষতার সাথে। আন্দোলন চলাকালে প্রতিটি ঘটনা জেলখানায় সাক্ষাৎকারের সময় বঙ্গবন্ধুকে জানাতেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শও নির্দেশ নিয়ে আসতেন তিনি। আর এসে সব জানাতেন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে। নেপথ্যে থেকে তিনি ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার চোখ বাঁচিয়ে সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করার পর তদানীন্তন পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতারের হুমকি দেয়। |