আলফা আরজু:
আমি যেহেতু কথায় কথায় “আলহামদুলিল্লাহ, যাযাকাল্লাহ, মাশাল্লাহ, সুবহানাল্লাহ, আল্লাহ মহান” ইত্যাদি বলি না
আমি যেহেতু, হিজাব পরি না ও পছন্দ করি না
আমার নামের আশেপাশে – পাকাপোক্ত কোন পুরুষের প্রথমাংশ-শেষাংশ নাই
আমার নামের সাথে ‘বেগম/বেওয়া/মোসাম্মৎ অথবা “আলফা আরজু” কোন মুসলমান নামও নয়
আমি তাবলীগ করি না। আমি মসজিদে বইসা – গীবত করি না। আমি আপনাদের মতো কোন ধর্মীয় চর্চা করি না
তারপরও, কোন কোন ‘অতি মুসলিম” ভাইয়া-আপা একটা জিনিষ বুঝতে পারেন নাই…
আমি সজ্ঞানে কোন ‘ধর্মীয় পরিচয়ে” বিশ্বাসী না।
আমি আমার কর্মে বিশ্বাসী।
আমি হালাল হালাল কইরা জান দেই না। কিন্তু আমি সৎ পথে আয়-রোজগারে বিশ্বাস করি।
আমি পর্দা করি না – করতে পছন্দও না। যাঁরা করেন – তাদেরকে শ্রদ্ধা করি। যাঁরা নিজের ইচ্ছেমতো পোশাক পরেন – তাঁদেরকেও আমি শ্রদ্ধা করি।
একটা শব্দের অর্থও না বুঝে আমি ছোটবেলায় আরবী পড়েছিলাম (নিজের খুশীতে। ধর্ম নিয়ে আমার বাবা-মা’র চাপ-চাপি ছিলো না)….তারপর কোনো আকর্ষণবোধ করি না।
“শয়তান, আমার আত্মায় মোহর মাইরা দিছে” (হেঃ হেঃ)…
আমি আমার সম্পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী একজন মানুষ। আমি কী পোশাক পরবো, কোন বই কতবার পড়বো সব আমি নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতেই পছন্দ করি।
তবে দীর্ঘদিন (২১ বছর) আমি একজন ‘ধর্মীয়” শিক্ষায় শিক্ষিত ও দীক্ষিত মানুষের সাথে থেকেছি। সেই সুবাদে আরও অনেক “ধার্মিক” মানুষের সংস্পর্শে এসেছি ও তার ফল স্বরূপ, ধর্মের প্রতি আকর্ষণ-আস্থা ও বিশ্বাস আরও কমে গেছে। কারণ, ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত এই ধার্মিক মানুষগুলো যা যা করে – সেগুলো কীভাবে ‘শান্তির ধর্ম’ মোতাবেক হয় – এখনো আমার বোধগম্য নয়।
কেউ আছেন – রোজগারের সিংহভাগ আসে “ঘুষ থেকে”
কেউ আছেন – এতোটাই অমানবিক যে স্ত্রী-সন্তানদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে দ্বিধা করেন না
কেউ আছেন – “মাথায় বিরাট হিজাব – মুখে সারাক্ষণ তসবী জপেন। কিন্তু সিজ্দা ফেরাতে না ফেরাতে মিথ্যে কথা বলেন, গীবত করেন, অন্যদেরকে ঠকান, ছল-চাতুরীতে সিদ্ধহস্ত”
কেউ কেউ মনে করেন – যেহেতু আমি ও আমার সন্তান (আমার সন্তানকে এর মধ্যে টানায় – আমি যারপর নাই বিরক্ত) ‘অশালীন পোশাক’ পরি – তাই আমার সাথে ‘যৌন নিপীড়ন’ হালাল হালাল।
সবাই একসাথে বলেন, ‘সুম্মা আমীন!”
নোট: ভাইয়া-আফারা কেউ কি আপনাদের হাতে পায়ে ধইরা আমার ফেবু লিস্টে আসতে বা ফলো করতে বলছে? আমার ‘অশালীন পোশাক-আষাক’ দেখে, অফিসে বসে আড্ডায় – এই বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করতে কেউ কি বলছে?
আরও কিছু অশালীন পোশাকের আমি। আরও দিবোনে…আপনাদের সুবিধার্থে…যৌন নিপীড়ককে সমর্থন দিতে।
Note: #MeToo matters