উইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক: ইয়েমেন থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং মিত্ররাষ্ট্রগুলোর দূতাবাসের কর্মচারীদের সরিয়ে নেয়ার সমালোচনা করেছে দেশটির সরকার।
দেশগুলোর এমন সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে ইয়েমেনের সম্পর্ককে খাটো করে দেখা বলে মনে করছে ইয়েমেন সরকার। (খবর: বিবিসি)
দেশটির সরকার বলছে বিদেশী দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবধরনের পদক্ষেপই নিয়েছে। তার পরেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এমন সিদ্ধান্ত জঙ্গিবাদীদের স্বার্থই রক্ষা করবে বলে করেন তারা।
উচ্চমাত্রার নিরাপত্তা হুমকির কারণে দূতাবাস থেকে অত্যাবশ্যকীয় নয় বিবৃতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দুতাবাস থেকে সব কর্মচারীদের ইয়েমেন থেকে সরিয়ে নিচ্ছে। মার্কিন নাগরিকদেরও দেশত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে।
বিবিসির খবরে আরও বলা হয় ব্রিটেনও বলেছে তারা অস্থায়ীভাবে তাদের দূতাবাসের কর্মচারীদের সরিয়ে নিয়েছে।
ইয়েমেনে মার্কিন একটি ড্রোন বিমানের হামলায় একজন উচ্চপর্যায়ের নেতাসহ চারজন সন্দেহভাজন আল-কায়েদা সদস্য নিহত হবার পরই এই নিরাপত্তা হুমকির বিষয়টি জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জেন সাকির বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, তারা দূতাবাসের সকল কর্মচারীকেই সরিয়ে নিচ্ছেন না। মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এখনো ১৯ টি মার্কিন দূতাবাস বন্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য, আল কায়েদার দুই শীর্ষ নেতার গোপন আলাপের সূত্র ধর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের ১৯টি শহরে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ রয়েছে। আল কায়েদার শীর্ষ নেতা আইমান আল জাওয়াহিরি এবং সংগঠনের অপর এক শীর্ষ নেতার ওই কথোপকথনে ভয়াবহ হামলার ছক নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল বলে নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।