উইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক: মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী সুখরঞ্জন বালিকে বাংলাদেশে না পাঠানোর জন্য কলকাতা হাইকোর্টে তার পরিবারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। বিবিসির এক খবরে একথা জানানো হয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব ব্যানার্জী এই রায় দিয়েছেন।
অভিযোগকে অনুমান নির্ভর উল্লেখ করে রায়ে তিনি জানিয়েছেন, “সুখরঞ্জন বালি বাংলাদেশে ফেরত গেলে তার ওপরে হয়রানি বা নিপীড়ন হবে বলে যে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে তার সমর্থনে কোনও ধরনের তথ্য-প্রমাণ আদালতের সামনে হাজির করতে পারেননি মি. বালি, এটা তার একটা অ্যাসাম্পশন বা অনুমান মাত্র”।
সুপ্রিম কোর্টের দুই সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে চলতি মাসের ২০ তারিখের পর যেকোন দিন তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো যেতে পারে।
এর মধ্য দিয়ে সুখরঞ্জন বালির পরিবারের করা মামলাটির চূড়ান্ত শুনানি শেষ হলো।
সাঈদীর মানবতাবিরোধী কাজের গুরুত্বপূর্ণ এই সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেয়ার আগে নিখোঁজ হয়ে যান। পরবর্তিতে জানা যায়, অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য তিনি কলকাতার একটি জেলে বন্দি।
বাংলাদেশে ফেরত পাঠালে তাকে হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হতে হবে উল্লেখ করে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব ব্যানার্জীর আদালতে মি. বালির ভাইয়ের ছেলে বাসুদেব বালা মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
সুখরঞ্জন বালির পরিবারের আইনজীবী দেবাশীষ ব্যানার্জী বলেন, ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার ব্যাপারে তাকে সময় দেওয়া দরকার। যাতে তিনি ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
মি. বালির চলে আসার গোটা ঘটনাটাই রহস্যজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা থেকে ভারতে চলে আসার পেছনে বাংলাদেশের কয়েকটি সরকারি এজেন্সির হাত আছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশে ফেরত গেলে হয়রানি বা নিপীড়ন করা হতে পারে তাকে। এজন্যই মূলত বাংলাদেশে ফেরত না পাঠানোর আবেদন জানিয়েছে সুখরঞ্জন বালির পরিবার।
যদিও তিনি অবৈধ অনুপ্রবেশ করেছেন বলে স্বীকার করলেও নিপীড়নের কথা কিছুই উল্লেখ করেননি।
সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও বর্তমানে সুখরঞ্জন বালি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের দায়ে বর্তমানে কলকাতার দমদম কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
বিবিসি জানায়, অবৈধভাবে ভারতে ঢোকার দায়ে উত্তর চব্বিশ পরগণার স্বরূপনগর এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ২৩ ডিসেম্বর রাতে সুখরঞ্জন বালিকে আটক করে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ।