ডেইলি স্টার এর তদন্ত কি শেষ হবে?

আলফা আরজু:

প্রতি দিন/মাসে/বছরে কয়েক শত সংবাদ পাবেন পত্রিকার পাতায়, নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ে/যৌন নির্যাতন-নিপীড়ন নিয়ে/ধর্ষণ নিয়ে/খুন নিয়ে। এবং এইসব খবর পত্রিকাগুলোতে লিখে ও ছাপিয়ে পত্রিকা কর্তৃপক্ষ, সম্পাদক ও প্রকাশক দারুণ উদ্বিগ্ন হয়ে সম্পাদকীয় লিখে ফেলেন – দিস্তায় দিস্তায়। সাথে এই মতামত দিয়ে থাকেন যে, সরকার নারীর স্বার্থ-অধিকার রক্ষায় ব্যর্থ।

হুম্ম, তখন হাজারখানেক দেশীয়-আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার জরিপের রেফারেন্স দিয়ে বিশ্ব দরবারে দেশের সরকার কতটা ব্যর্থ, তা তুলে ধরেন দিনের পর দিন, সেইসব বেশ উপভোগ্য লাগে।

এই রকম যৌন নির্যাতনের ঘটনা যখন আপনার পত্রিকা অফিসে দিনের পর দিন ঘটতে থাকে, একজন না দুইজন না – গোটা কতক নারী সংবাদকর্মী আপনার পত্রিকা অফিসের মধ্যে ও বাইরে আপনারই পত্রিকার অন্য পুরুষ সহকর্মী দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হোন, তখন কিন্তু আপনার টনক নড়ে না।

অন্যের অথবা কোন প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছেপে যেই তৃপ্তির ঢেঁকুর দেন, এইবার আপনার একজন অনুসন্ধানী রিপোর্টারকে দায়িত্ব দেন আপনার অধীনে কর্মরত কূটনৈতিক প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে আনীত যৌন হয়রানির অনুসন্ধান করতে ও সেই প্রতিবেদন আপনার পত্রিকায় ছাপান।

আলফা আরজু

এইটা আমার #মি টু নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ।

একজন যৌন নিপীড়ক সাংবাদিককে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় পত্রিকায় কীভাবে দিনের পর দিন/বছরের পর বছর প্রণোদনা দিয়ে চাকরিতে বহাল রাখেন, তা আমার বোধগম্য নয়।

একজন নিপীড়িত হিসেবে আমার এইগুলো জানার অধিকার আছে।

দয়া করে কেউ বাইরে ‘লুইচ্চা’ লোটাস ও আমারে নিয়া “ফুসুর ফুসুর” করবেন না।

এবং যারা করছেন, সবাই আমার ফেসবুক লিস্টে আছেন। এখানে আমার লেখার নিচে যত “ফুস-ফুস/গুস-গুস” করতে চান, করেন। আমিও জেনে রাখি আমার নিজের চরিত্রের নানান দিক।

এবং আপনাদের “প্রাণপ্রিয় চরিত্রবান সাংবাদিক লোটাস” সম্পর্কেও জেনে রাখি।

ইশ…The Daily Star পত্রিকার এই একই যৌন নিপীড়ক (রেজাউল করিম লোটাস) সাংবাদিক দ্বারা নিপীড়নের শিকার অন্য নারী সহকর্মীরা ও বাইরের নিপীড়িতরা/victimsরা যদি পাবলিকলি মুখ খুলতে সাহস পেতো!

পাদটীকাঃ আমি কোথাও এখনও বলিনি – এই “বগুড়ার লুইচ্চা ছাওয়ালের তারেক” কানেক্শনের কথা।

#MeTooBangladesh

#JoyNari

শেয়ার করুন: