সাবরিনা স. সেঁজুতি:
তাড়াহুড়ো করে ঘরে ঢুকলো তমাল, সুমন সাহেবের বড় সন্তান, একমাত্র ছেলে। সাইদুজ্জামানের মতো অনেকের মনেই সন্দেহ, “এটা আসলেই সুমন সাহেবের ছেলে তো?” চালচলন কথাবার্তায় পরিবারের কারো সাথে তার কোন মিল খুঁজে পাওয়া যায় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় বর্ষের ছাত্র তমাল। মোটামোটি ভাল ছাত্র হিসেবেই পরিচিত। তবে আজকাল প্রাতিষ্ঠানিক ফলফল তেমন ভালো হচ্ছে না, এরকম নানা কানাঘুষা শোনা যায় লোকমুখে। কেউ কেউ বলে, ছেলে প্রেমে পড়েছে। কেউ বলে ছেলে বখে গেছে। কেউ বলে সঙ্গদোষ।
একটি মেয়ের সাথে তাকে প্রায়ই দেখা যায়, তবে সেটা প্রেম নাকি ইতস্তত ঘোরাঘুরি তা বোঝা মুশকিল। অবশ্য এ সমাজে একটি ছেলের সাথে একটি মেয়ে কথা বললেই প্রেম হয়ে যায়। আর যদি তাদের একাধিকবার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় তাহলে গুজব তো রটবেই।
ঘরে ঢুকেই চট করে গোসল সেরে নিলো তমাল। ধোয়া একটি শার্ট গায়ে চেপেই আবার ছুটলো। টিউশনি করাতে যাচ্ছে।
তমালের মা, রক্সি, তমালের আগমন টের পেল যখন সে বের হয়ে যাচ্ছে। নরম গলায় জানতে চাইলো, খাবি না?
তমালের চট জলদি উত্তর, না, খেয়ে এসেছি। টিউশনি আছে, সময় নেই হাতে। বেরুলাম।
রক্সি মনে মনে ভাবলো, ইউনিভার্সিটিতে উঠার পর থেকে ছেলে টিউশনি করে। সারাদিন ঘরের বাইরে কোথায় কোথায় থাকে, কি করে, রক্সি তেমন কিছুই জানে না। মা হিসেবে সে কি ছেলের প্রতি একটু বেশিই বেখেয়াল?
পরক্ষনেই ভাবল, ছেলে মানুষ, এতো খোঁজ নেবার কি আছে। এ তো আর মেয়ে নয়।
তাছাড়া জনে জনে ঘরের সবার খোঁজ রাখার এতো সময় কোথায় তার। সারাদিন ঘরের কাজ, সন্ধ্যায় তমালের বাবার সাথে ক্লাব। সেই মাঝরাতে বাড়ি ফেরা। ক্লাবে মাঝে মাঝে তিন্নি সাথে যায় বটে কিন্তু তমাল কখনই যায় না । তাকে নিতেও চায় না রক্সি । কেমন যেন বেমানান লাগে রক্সির পাশে এতো বড় ছেলেকে।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল রক্সি সুমনকে। তখন সুমন ছাত্র ছিল। তেমন কিছুই করতো না। রক্সি আর সুমনের পরিবারের মাঝে এ নিয়ে নানা ঝামেলা, কথা কাটাকাটি এমনকি মমালা মোকদ্দমা হতে চলেছিল । রক্সির বাবা আর ভাইয়েরা বিয়ে ভেঙ্গে দেবার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল। এতো সব ঝামেলা থামাবার আর কোন উপায় খুঁজে না পেয়ে রক্সি আর সুমন তখন তাড়াহুড়ো করে বাচ্চা নিলো। রক্সি মা হচ্ছে সেই খবর পেয়ে রক্সির বাড়ির লোকজন আর কথা বাড়ালো না। এদিকে সুমনের বাড়ির লোকজন বংশের পরবর্তী প্রজন্মের মুখ দেখার প্রত্যাশায় চুপ হয়ে গেল। তাদের বিয়েটা টিকে গেল। তমালের জন্ম পারিবারিক দ্বন্দ্ব মেটাবার প্রয়াস হিসেবে বিবেচনা করা যাতে পারে। নতুবা এতো কম বয়সে মা হবার একদম ইচ্ছে ছিল না রক্সির।
এখন এতো বড় ছেলে নিয়ে বাইরে যেতে রক্সির অস্বস্তি লাগে। নিজেকে বয়স্কা মনে হয়। অতীত যেন ফিরে ফিরে আসে। শুরুটা যেমনই থাক। এখন তারা ভাল আছে। সুমন সরকারি চাকরিতে ঢুকেছে, প্রমোশন পেয়েছে, টাকা করেছে। বাড়ি-গাড়ি কোন কিছুর অভাব নেই তাদের। এখন কেউ তাদের সামনে মুখ তুলে কথা বলার সাহস পায় না।
তাছাড়া ছেলেও এমন কিছু ঘরমুখো নয় যে তাকে নিয়ে ঘুরবে। কথা বার্তা, চাল চলনে ঘরের কারো সাথে ছেলের মিল খুঁজে পায় না রক্সি। মাঝে মাঝে ভাবে, এই ছেলে তার পেটের ছেলে তো!
তমাল হন্যে হয়ে বের হলো বাসা থেকে। রিক্সা খুঁজছে। বাড়ির সবাই গাড়ি ব্যবহার করলেও সে তার বাবার অফিসের গাড়ি একদম বিপদে না পড়লে ব্যবহার করে না। রিক্সাই তার একমাত্র ভরসা এই ঢাকা শহরে।
প্রায় ২০ মিনিট হাটার পর একটা খালি রিক্সা এগিয়ে আসতে দেখলো তমাল। ইশারায় ডাকলো।
-মামা কই যাইবেন?
– আজিমপুর যাবা?
-যামু মামা, কিন্তু ৪০ টাকা, ঘুইরা যাইতে হইবো।
তমাল হাতের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো হাতে সময় কম। তাই অগত্যা ৪০ টাকা শর্তেই উঠে পরলো রিক্সায়। টিউশনি শেষ করে মৃত্তিকার সাথে দেখা করতে যাবে ঠিক করেছে । টিউশনিতে দেরী হয়ে গেলে আর দেখা করার সময় পাবে না। এদিকে ছাত্রীর সামনে পরীক্ষা । তাই টিউশনিতে ফাঁকি দেওয়ার কোন উপায় নেই আজ।
যদিও তমাল জানে, দিনে দেখা না হলেও রাতে কথা হবে। তবু প্রতিদিন দেখা না করলে ভালো লাগে না তমালের।
মৃত্তিকা আজকাল খুব ব্যাস্ত। ক্লাস করে, টিউশনি করে, ভার্সিটির ক্লাবগুলোতে কাজ করে, পাশাপাশি ওর ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকদের সাথে গবেষণার কাজে যোগ দিয়েছে। ওর জন্য দিনে একঘন্টা সময় বের করে তমালের সাথে দেখা করা বেশ কঠিন। তবু তমাল যদি সময় বের করতে পারে, দুজনে কোথাও বসে এক কাপ চা অথবা কফি খায়, অথবা একসাথে রিক্সা করে বাড়ি ফেড়ে। এটাই ওদের দেখা করার ধরন।
আর কোনভাবেই দেখা করা সম্ভব না হলে, মৃত্তিকা নিজের কাজ গুছিয়ে অবশ্যই একটা ফোন দিবে। তবে সে-ই মধ্যরাতে। সান্তনা একটাই যত যাই ঘটুক রাতে একটা কল দিতে মৃত্তিকার কখন ভুল হয় না। এটা তার প্রতিদিনকার রুটিনের অনেক কাজের মধ্যে একটা। আর রুটিনের বাইরে মৃত্তিকা এক পা-ও ফেলে না। ঝড় হোক, বৃষ্টি হোক, অসুখ করুক- মৃত্তিকার রুটিন ঠিক আছে। জ্বর নিয়ে কোকাতে কোকাতে হলেও রুটিন মাফিক কাজ তার করা চাই। এমনিতে মৃত্তিকা যে খুব খুঁতখুঁতে তা নয় কিন্তু রুটিন মানার ব্যাপারে সে যে কেন এতো খুঁতখুঁতে কে জানে!
রিক্সা আটকে গেলো হাতিরপুলের সিগিনালে। লম্বা ট্রাফিক জ্যাম। তমাল ভাবলো আজও টিউশনিতে দেরি হয়ে যাবে। টিউশনি শেষে আর মৃত্তিকার সাথে দেখা হবে কি না কে জানে! অস্বস্তি শুরু হলো তমালের মনে।
আজ গরমও পড়েছে খুব। জ্যামে বসে থাকাতে গরম আরো বেশি মনে হচ্ছে তমালের কাছে। দরদর করে ঘামছে সে। রিক্সাওয়ালার গায়ে যে পাতলা শার্ট ছিল, সেটা ভিজে রিক্সাওয়ালার গায়ের সাথে লেপ্টে গেছে। তমালের মায়া হলো দেখে। মনে হলো, এই গরমে রিক্সা চালানোর জন্য রিক্সাওয়ালাকে এমনেতেই ১০ টাকার ভাড়া ৪০ করে দেয়া উচিৎ। তবু রিক্সায় চড়ার সময় প্রায়ই ৫/১০ টাকা নিয়ে কতই না দামাদামি করে সে প্রতিদিন। অবশ্য ছাত্র মানুষের কাছে ৫/১০টাকাই অনেক। চার টাকায় একটা বেনসন পাওয়া যায়। ১০ টাকায় ২টা বেনসন কিনে, এক কাপ চা-ও খাওয়া যাবে।
গত কয়েক বছরে রিক্সা ভাড়া হু হু করে বেড়েছে ঢাকা শহরে। আজ থেকে ৮/১০ বছর আগেও সাইন্স ল্যাবরেটরি থেকে আজিমপুরের রিক্সা ভাড়া ছিল ৫-৬ টাকা। দিনে দিনে রিক্সার চাহিদা যেমন বেড়েছে, রিক্সা বেড়েছে সাথে ভাড়াও বেড়েছে। তার মূল কারন, বড় রাস্তাগুলোতে রিক্সা চলাচল এখন একদম বন্ধ। ফলে রিক্সাগুলো সরু অলিগলি দিয়ে ঘুরেঘুরে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাচ্ছে । ঘুরে যাবার কারনে বেশি পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে। সময় বেশি লাগছে ফলে ভাড়াও বেড়ে যাচ্ছে। তবু অনেকক্ষেত্রেই এক রিক্সা নিয়ে সরাসরি যাওয়া যাচ্ছে না এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়। মাঝপথে রিক্সা বদল করতে হচ্ছে।
যাদের পক্ষে চড়া রিক্সা ভাড়া দেয়া সম্ভব হচ্ছে না, তাদের একমাত্র ভরসা এখন পাবলিক বাস। কিন্তু পাবলিক বাসের চরম সংকট। বাস যা আছে তাতে ধাক্কাধাক্কি করে জায়গা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। প্রতিদিন সেই বাসে উঠার ধাক্কাধাক্কি প্রতিযোগিতায় নামছে হাজার মানুষ। নারী-পুরুষ, কিশোর-কিশোরী, খোকা-খুকী, শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সকলে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি ছাড় দিচ্ছে না। ধাক্কাধাক্কির সুযোগে কেউ কারো পকেট হাতিয়ে নিচ্ছে, কেউ কারো বুকে, গায়ে হাত দিচ্ছে। সে এক অসুস্থ সমাজের অসুস্থ দৃশ্য। কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের পক্ষে লোকাল বাসের এই করুণ দৃশ্য খুব বেশিক্ষণ উপভোগ সম্ভব নয়।
ট্রাফিক কন্ট্রোলের দোহাই দিয়ে বছর কয়েক আগে ঢাকার বড় রাস্তাগুলোতে রিক্সা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে লাভ হয়নি কিছু। শুধু রিক্সাওয়ালাদের পেটে লাথি আর মধ্যবিত্তের পকেটে টান পড়া ছাড়া। যা একটু সুবিধা হয়েছে তা ঐ গাড়িওয়ালাদের। রাস্তায় রিক্সা থাকলে গাড়ি চালাতে চালকের যে দারুণ ভোগান্তি, সেই ভোগান্তি থেকে তারা মুক্তি পেয়েছে। তবে ট্রাফিক জ্যাম থেকে যে খুব মুক্তি মিলেছে তা বলা যাবে না।
নাগরিক ন্যুনতম সুবিধার দাবিতে সমাজের শিক্ষিত মধ্যবিত্তরা কিছুদিন পর পর বেশ গলা চড়ায়। তবে শেষ পর্যন্ত কেউ তাদের গোনায় ধরে বলে মনে হয় না। অনেকের কাছেই মধ্যবিত্তরা হলো ‘না ঘরকা না ঘাটকা’। না এরা চুরি করতে পারে, না কাউকে শান্তি মতো চুরি করতে দিতে পারে।
হতদরিদ্র জনগোষ্ঠির পরিসংখ্যান দেখিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হাত পেতে কোটি কোটি টাকা উপার্জন সম্ভব, কিন্তু মধ্যবিত্তের পরিসংখ্যান কী কাজে আসে বলুন? দেশে দু’টাকা উপার্জন মানে দেশের উন্নয়ন, সাথে একদল লোকের পকেট ভারী । সেখানে এই মধ্যবিত্তদের জায়গা কোথায়? এরা দেশের ঝামেলা ছাড়া আর কী?
ট্রাফিক জ্যামে বসে সমাজের এসব অসামঞ্জস্যতা নিয়ে ভাবা তমালের একটা বদ অভ্যাসের পর্যায়ে চলে গেছে। এই বদ অভ্যাসে তা দিচ্ছে মৃত্তিকা। রাত জেগে তারা এসব নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ফোনালাপে ব্যাস্ত থাকে। এখন তমাল ভাবছে, সে আসলে কোন দলে পরে? পকেট ভারী করা সুবিধাভোগীদের দলে? নাকি শিক্ষিত মধ্যবিত্তের দলে, যাদের কেউ গোণায় ধরতে চায় না? ওর চাল চলন আর বন্ধু নির্বাচনের অবস্থা দেখলে লোকে অবশ্য ধরেই নিবে, সে মধ্যবিত্তের দলে। কিন্তু সুবিধাভোগী পরিবারের সদস্য হয়ে কি সুবিধাবঞ্চিতের দলে সত্যি-ই ভিড়া যায়?
সুমন সাহেব অবশ্য ভাবেন ছেলে হাত থেকে গেছে। তমালও তার বাবার মন মানসিকতা আঁচ করতে পারে। তবে তেমন একটা পাত্তা দেয় বলে মনে হয় না। চোখের সামনে বাবাকে মূল্যবোধ বিসর্জন দিতে দেখেছে তো, তাই এখন আর তার প্রতি তমালের তেমন কোন অনুভূতি-টনুভূতি কাজ করে না।
তমালের জীবনের এখন একটাই লক্ষ্য, নিজের পরিচয়ে বেঁচে থাকা। তাই বোনের মতো কথায় কথায় বাবার পরিচয় সে টানে না। একার্থে গোপনই করে। শুধু তার পরিচয়ে যারা তার সাথে মিশে, তারাই তমালের বন্ধু হয়। মৃত্তিকা তাদের মধ্যে একজন।
মৃত্তিকা তার দেখা প্রথম মেয়ে যে বন্ধুত্বের শুরুতে জিজ্ঞেস করেনি তোমার বাবা কি করে। ঘটনাক্রমে যদিওবা একবার তাকে জানাতে হয়েছিল যে তার বাবা সরকারি কর্মজীবি। তবে তাতে মৃত্তিকার কোন ভ্রূক্ষেপ ছিল বলে মনে হয়নি। সেদিন তমাল হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিল। মৃত্তিকার কৌতুহল শুধু তমালকে নিয়ে। তমালের বিশ্বাস, চিন্তা ভাবনা, মূল্যবোধ- এসবের প্রতি মৃত্তিকা যত না আগ্রহী, তার পরিবার সম্পর্কে জানতে ততটাই উদাসীন। আজকাল ঢাকা শহরের মেয়েরা বন্ধু নির্বাচনেও ছেলের পারিবারিক বায়োডাটা চেয়ে বসে। সেই হিসেবে মৃত্তিকা একদম অন্যরকম। সেকারণেই মৃত্তিকার সাথে সময় কাটাতে তমালের এতো ভাল লাগে।
মৃত্তিকার আরেকটি বিষয় তমালের খুব ভালো লাগে, সেটা হলো তার নারকেল চরিত্র। নারকেল চরিত্র উপমাটা তমালের দেয়া। অর্থাৎ যাদের বাইরে থেকে দেখতে খুব শক্ত মনে হয় কিন্তু ভিতরে ভিতরে জলের মতো তরল। মৃত্তিকাকে বাইরে থেকে দেখে যে কেউ বলবে ডানপিটে-শক্ত মনের মেয়ে, কিন্তু শুধু তার কাছের মানুষটি জানে ভিতরে ভিতরে সে কত অনুভূতিপ্রবণ।
মৃত্তিকা আর তমাল আসলে খুব ভালো বন্ধু। এই ভালো বন্ধুত্বের ধরণটিকে হয়তো অনেকেই প্রেম বলবে, তবু তাদের প্রেমের তীব্রতা বন্ধুত্বের তীব্রতার কাছে পিছিয়ে থাকবে সবসময়। এ সমাজের অনেকের পক্ষেই সেটা বোঝা কঠিন। বিশেষ করে, যে সমাজে নারী কখনো পুরুষের বন্ধু হতে পারে না, সেই সমাজে তমাল আর মৃত্তিকার সম্পর্ক, তাদের চিন্তা ভাবনা বেশিরভাগের কাছে অবোধ্য হবে সেটাই স্বাভাবিক।
তমাল ও মৃত্তিকা, দুজনেই জানে যে তাদের বন্ধুত্বের এই সম্পর্কে ভালোবাসার উপস্থিতি স্পষ্ট। কিন্তু ভালোবাসার বেড়াজালে বেঁধে তারা তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্কটিকে জলাঞ্জলি দিতে নারাজ। সে কারণেই হয়তো, এযুগের ছেলে মেয়ে হয়েও ওরা কখন অফিসিয়াল ডেটে যায়নি।
তবে তমাল মৃত্তিকার ব্যপারে অসম্ভব সিরিয়াস। এই বন্ধুটিকে ধরে রাখার জন্য সে সব কিছু করতে রাজি। প্রয়োজনে তার পুরো পৃথিবী বিসর্জন দিতেও রাজি। মৃত্তিকা অবশ্য তমালের এই গভীর প্রেমবোধের ব্যাপারটা জানে না। তবে আশা করা যায় খুব বেশিদিন তা গোপনও থাকবে না।
চলবে……।