উইমেন চ্যাপ্টার: মাসে ১০০ কোটি টাকা দেয়ার শর্তে জামিন পেয়েছেন সোনালী ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারিতে জড়িত হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম। এর আগে জেসমিন বিচারিক আদালত থেকে আরেকবার জামিন পেলেও উচ্চ আদালত তাতে অসম্মতি জানানোয় তিনি মুক্তি পাননি।
ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জহুরুল হক শর্তসাপেক্ষে জামিনের এই আদেশ দেন বলে জানা গেছে।
অনিয়মের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের আড়াই হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে হলমার্কের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় জেসমিন অন্যতম আসামি।
দুদকের মামলায় জেসমিনের স্বামী, হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। কারাগারে রয়েছেন জেসমিনের বোনের স্বামী তুষার আহমেদও।
কোম্পানির লেনদেনে কোনো ভূমিকা ছিল না দাবি করে জেসমিন হাইকোর্টে জামিনের আবেদনে বলেছিলেন, কোম্পানির লেনদেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদের একক স্বাক্ষরে হতো বলে অনিয়মের দায় তার ওপর বর্তায় না।
জামিনের আবেদনে জেসমিন বলেন, তিনি ঋণগ্রহিতা ১১ কোম্পানির চেয়ারম্যান হলেও রমনা থানায় দায়ের করা ১১ মামলার ১০টির এজাহারেই তাকে আসামি করা হয়নি।
জেসমিনের আইনজীবী বলেন, আবেদনকারী কেবল দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তিনি কোম্পানির ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। যে কোনো বিচারে তিনি একজন গৃহিণী।
অনিয়মের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের আড়াই হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার অভিযোগ ওঠার পর গত বছর ৭ নভেম্বর মানিকগঞ্জ থেকে জেসমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার আগে গ্রেপ্তার হন তার স্বামী তানভীর। তাদের বিরুদ্ধে দুদক ১১টি মামলা করে।
ঋণের অর্থ ফেরত দিতে রাজি হওয়ায় এবং ছেলের এসএসসি পরীক্ষার কথা বিবেচনায় নিয়ে জেসমিনকে ৫০ হাজার টাকার মুচলেকায় দেড় মাসের জামিন দিয়েছিল বিচারিক আদালত।
এরপর দুদকের এক আবেদনে জেসমিন ইসলামের জামিন কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট। পাশাপাশি তার দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।