উইমেন চ্যাপ্টার: শনিবার আটকের পরই যুবলীগ নেতা মিল্কিকে হত্যার পরিকল্পনায় নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছিলেন মিল্কির গাড়িচালক মারুফ রেজা সাগরের স্ত্রী ফাহিমা ইসলাম লোপা।
আজ রোববার আদালতে মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার মাহমুদ আদনানের কাছে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে জবানবন্দি দেন।
এর আগে লোপা জানান, তিনি তার স্বামীর কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তারেককে মিল্কির অবস্থান জানিয়েছিলেন। মিল্কিকে হত্যার জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই তারেক চেষ্টা করছিলেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে, গত ৩১ জুলাই রিয়াজুল হক খান মিল্কি হত্যাকাণ্ডে সাথে জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে আটক করে সাতদিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। এরা হলেন, তুহিনুর রহমান ফাহিম, সৈয়দ মোস্তফা ওরফে মুজতবা আলী রুমি, রাশেদ মাহমুদ, সাইদুল ইসলাম ওরফে নুরুজ্জামান, সুজন হাওলাদার ও জাহাঙ্গীর মণ্ডল। তারা বর্তমানে রিমান্ডে আছেন।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ২৯ জুলাই রাতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন মিল্কি।
এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মেজর রাশিদুল হক খান বাদী হয়ে জাহিদ সিদ্দিকী তারেককে (৩৫) প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক ব্যক্তির বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনার পরপরই ভিডিওচিত্র দেখে হত্যাকারী শনাক্ত করে পুলিশ এবং তারেককে গ্রেপ্তার করে। পরদিন আহত অবস্থায় তারেককে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের সময় কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন তারেক ও তার একজন সহযোগী।