নাঈমাহ তানজিম:
সব বাঘা বাঘা, রুইকাতলা, ক্ষমতাধর অভিনেতা-পরিচালক এর নাম বের হয়ে আসছে, যারা পর্দায় একদম ভালোমানুষ এর অভিনয় করেন। কিন্তু বাস্তব এবং তাদের অন্ধকার জীবন ঠিক ততটাই দুর্গন্ধযুক্ত।
নানা পাটেকার তনুশ্রীর বাপের বয়সী। তারপরেও কুদৃষ্টি দিতে বাদ দেয়নি। আলোকনাথ এর প্রতিটা চরিত্র থাকতো বাবার, এবং আদর্শ, ভদ্র বাবার। এর মধ্যে তার দ্বারা নির্যাতিত ৩ জন মুখ খুলেছেন। একজন লেখিকা-পরিচালক, তিনি ১৯ বছর আগে রেপড হয়েছিলেন, আরেকজন অভিনেত্রী যিনি প্রায়ই শুটিং এর মধ্যে উত্যক্ত হতেন, আর একজন আলোকনাথ এর মেয়ের বয়সী অভিনেত্রী, যাকে এই লোক মাঝরাতে দরজায় নক করে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন।
আরও কষ্টের ব্যাপার হচ্ছে, এই তিনজনই এর আগে মুখ খুলেছেন, কিন্তু কেউই বিচার পাননি। বরং আলোকনাথ তার প্রভাব-প্রতিপত্তি খাটিয়ে এদেরকে হয়রানির চূড়ান্ত করেছে। সে রেপ করার পর, এবং বাকী দুই জনকে নির্যাতন করার চেষ্টা করে বিফল হওয়ার পর, ইন্ডাস্ট্রির বাকি পরিচালক-প্রযোজককে বলেছে, এরা প্রত্যেকে অহংকারী এবং ‘কাজ করতে অক্ষম’, এদের সাথে সে আর কাজ করবে না, এবং এরা যেন ভবিষ্যতেও কাজ না পায়।
বলাই বাহুল্য, এই তিনজনের প্রত্যেকেই প্রচণ্ড সমস্যা মোকাবিলা করেছেন, সবাই আলোকনাথ এর চরিত্র জানার পরেও এই তিনজনকে সমর্থন দিতে কেউ এগিয়ে আসেনি।
আরো এসেছে বিকাশ বেহল, আর গায়ক কৈলাশ খের এর নাম।
আশ্চর্য! যারা পর্দায় বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেন, যারা নারীদেরকে নিয়ে, তাদের ঘুরে দাঁড়ানো নিয়ে সিনেমা বানান (Queen 2014), যারা নারীকে নিয়ে গান করেন, তারাই নারীকে এতো এতো অসম্মান করেন!
আর এইসব নির্যাতিত নারীরা এমনিতে ঝকঝক করতে থাকেন, এমনিতে তাদের বড় দূরের, বড় অচেনা মনে হয়। কিন্তু এইসব নির্যাতন এর বর্ণনা দেওয়ার সময়, যে যন্ত্রণা তাদের মুখে ফুটে উঠে, সেটা কোথায় যেন খুব চেনা, খুব পরিচিত!