নিজের শরীরকে জানো, অনাকাঙ্খিত গর্ভ এড়িয়ে চলো

শিল্পী জলি:

একজনের প্রশ্ন, আপনি কী প্রেমের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলছেন, নাকি ইনিয়ে বিনিয়ে শরিয়া আইনের বিরোধিতা করতে চাইছেন?

বুঝতে পারছি না জনাব কী বোঝাতে চাইলেন– সম্প্রতি, বত্রিশটি দাঁত থেকে আক্কেল দাঁতের একটি দাঁত খোঁয়া গিয়েছে।তাই একত্রিশটি দাঁতের আক্কেল নিয়ে ভাবছি, আমি আদৌও কী কোনদিন শরিয়া আইনের প্রেমে পড়েছিলাম? দেশেও কি আগে কখনও শরিয়া আইন চালু ছিল?

একটি ডকুমেন্টরিতে দেখলাম, দুবাইয়ের একটি মেয়ে দু’পায়ে শিকল বাঁধা অবস্হা হাঁটছেন। কবুল না পড়েই গর্ভবতী হওয়ায় শরিয়া আইনে তার এই সাজা, নয় মাসের জেল। ওখানকার শরিয়া আইন মোতাবেক বিয়ের আগে সেক্স/ ধর্ষণ ঘটলে এই সাজা। আর প্রেগনেন্সি যেহেতু যৌন মিলনের সাথে রিলেটেড, তাই অবিবাহিতারা গর্ভবতী হলেই ‘সেক্স কেন ঘটলো’ তার বিচারের আওতায় চলে আসে।
দেখলাম, বাংলাদেশী এক লাইলিকেও। মিডলইস্টের যে বাসায় কাজ করতো সে, তাদের ড্রাইভার একা পেয়ে চাকু ধরে তাকে ধর্ষণ করে। আর ঐ একদিনের ধর্ষণেই সে গর্ভবতী হয়ে যায়। তার পাসপোর্ট নিয়োগকারীদের কব্জায়, তাই চাইলেও পালাবার পথ খোলা নেই। আবার প্রতিমাসের বেতনও তাকে নিয়মিত দেয়া হয়নি। ধর্ষণ এবং গর্ভধারণের বিষয়টি মালিকের বউকে জানালে শরিয়া আইনে বিয়ে ছাড়া সেক্সের আওতায় এনে তাকে জেলে দেবার হুমকি দেন তিনি। অতঃপর হাতে-পায়ে ধরে অনেক কান্নাকাটি, কাকুতি-মিনতি করে সে একেবারে খালি হাতে কোনমতে পাসপোর্ট নিয়ে দেশে ফিরে আসে এবং দেশেই গর্ভপাত করিয়ে নেয়। সময়ে ওখান থেকে আসতে না পারলে কেউই তার জেল আটকাতে পারতো না ঐ দেশে।

কোরিয়ান এক মেয়েরও প্রেম ঘটেছিল মিডল ইস্টে। প্রেমের সুবাদে দৈহিক মিলনে একটি মেয়ে হয়, আবার আরেকটি মেয়ে অন দ্যা ওয়েতে, পেটে। প্রেমিকের সাথেও সম্পর্ক ভালোই। তার পরিবারের সাথেও যাতায়াত আছে, কিন্তু তারা বিবাহিত নয়। হয়তো ভিনধর্মাবলম্বী হবার কারণে বিয়ে করা সম্ভব হচ্ছে না। কে বা কারা যেনো তার গর্ভবতী হবার ঘটনাটি জানিয়ে দেয় পুলিশকে। জেলের সম্ভাবনা টের পেতেই সে কোরিয়ান সংবাদ চ্যানেলের সাথে যোগাযোগ করে কূটনৈতিক প্রেশার ক্রিয়েট করে নিজ দেশে ফিরে যেতে সক্ষম হয়। দুই মেয়েকে নিয়ে যেতে সক্ষম হলেও প্রেম এবং প্রেমিকের মায়া ত্যাগ করতে হয়। যাবার আগে প্রেমের খাতিরে প্রেমিকের নামও সে ফাঁস করেনি যদি আবার প্রেমিককে সাজা পেতে হয় সেই আশঙ্কায়।

জানলাম মিডল ইস্টের স্হানীয় মেয়েরা অবিবাহিত অবসহায় এই পরিস্হিতিতে পড়লে জেল এড়াতে গোপনে গর্ভপাত করিয়ে নেয়। কিন্ত বিদেশী শ্রমিক যারা আছেন তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফেঁসে যায় মূলত টাকা-পয়সা ঘাটতি, বৈধ কাগজ-পত্রের অভাব, এবং আইনের ফাঁকফোঁকড় না জানা থাকায়।

একবার এক ইংরেজ মেয়ে দুবাইয়ে সৌজন্যতা দেখাতে একজন প্রিয় ছেলে বন্ধুর চিকে/গালে শুধু হালকা একটি কিস করেছিল। ওমনি পুলিশ আটক করে বসে– কিস করেছিস কেন বলে? সে মনে করতে পারে না কখন কিস করেছে! কাকেই বা? ঘটনাটি মনে পড়লে বোঝাতে চায় ওটা শুধুই ভাব বিনিময়, নিছক ভদ্রতা! তবুও জেল ঘানি টানতে হয় যদিও প্রেম, সেক্স, গর্ভধারণ কিছুই ঘটেনি।

আরেক বিদেশি ছেলেও ঘানি টেনেছে শরিয়া আইনের ফাঁদে পড়ে। হাঁটার সময় একজন লোককে হাত দিয়ে সরাতে গিয়ে পাছার এক ভাগে/পাশে ( বাটচিক) হাত লেগে গিয়েছিল তার– নো সেক্স, নো ইন্টারেস্ট, নো ইনটেনশন, তথাপি জেল। তার অপরাধ, হাঁটার সময় আরেক ছেলের পাছায় কেন হাতের ছোঁয়া লাগবে!

যেসব দেশে শরিয়া আইন চালু আছে সেখানে মেয়েদের কথা বা সিদ্ধান্তেরও কোনও দাম নেই। এমনকি নিজের ডাক্তার দেখাতে গেলেও তাদেরকে একজন নাবালক পুরুষ হলেও চিকিৎসার সিদ্ধান্ত দিতে সাথে রাখতে হয়। ডিভোর্সেও সন্তানের প্রতি মায়ের কোনো অধিকার/দাবি থাকে না, বাবার একছত্র আধিপত্য। শরিয়া আইনে গানবাজনা, ছবি তোলা সবই নিষিদ্ধ। সেখানে কীসের সুখে আমি শরিয়া আইনের সপক্ষে গান গাইবো, বুঝলাম না! শুধু আমি কেন, কোন মেয়েরই কী শরিয়া আইন চাওয়ার কোন কারণ আছে?

প্রশ্ন করা হয়েছে, শরিয়া আইন না থাকায় দেশে ডাস্টবিনগুলোতে বাচ্চা পরে থাকে, গর্ভপাতের চাপে ডাক্তারদের হিমশিম খেতে হয়–আপনার কী বলার আছে?

বলবো, নিজের শরীর না বুঝে এবং বাচ্চা কিভাবে হয় সেটা না জেনে কোন মেয়েরই প্রেম বা বিয়ের ফাঁদে পা রাখার কোনো হক নেই। প্রেম বা বিয়ের রোমান্টিক এ্যাকশনে আরেকটি জীবনের আগমন ঘটতে পারে যে কোনো সময়, যার দায় নেবার অথবা এড়াবার সামর্থ থাকা দরকার অবশ্যই। সেই জন্যে দরকার মেয়েদের নিজের শরীর, কী, কেমন ইত্যাদি বিষয়গুলি জানা, যেনো অনিচ্ছাকৃতভাবে কোন গর্ভধারণ না ঘটে!

প্রেগনেন্সি কখন, কীভাবে ঘটে বুঝতে হলো সর্বপ্রথম বোঝা দরকার মেয়েদের ঋতুস্রাব/মাসিক চক্র এবং ওভুলেশন (ডিম্বাণু নিষিক্তের সময় বা এটাকে চিকিৎসাবিদ্যার ভাষায় ডেঞ্জার পিরিয়ডও বলা হয়ে থাকে)। সন্তান জন্মদানে সক্ষম নারীদের ওভ্যুলেশনে রিলিজড এই ডিম্বাণুর সাথেই পুরুষের শুক্রাণু মিলিত হয়ে গর্ভধারণ ঘটে এবং সন্তানের জন্ম হয়। সাধারণত লাভমেইকিং বা ইন্টারকোর্স বা যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে এই মিলন ঘটে। তবে যৌন মিলন ছাড়াও স্পার্ম সংগ্রহ করে অন্য পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম দেয়া সম্ভব, সেই আলোচনা আরেক দিন।

প্রতিটি মেয়েই জন্মের সময় লক্ষাধিক অপরিণত ডিম্বাণু নিয়ে জন্মে। যখন মাসিক শুরু হয় তখন থেকে প্রতিমাসে সাধারণত একটি করে ডিম্বাণু চূড়ান্তভাবে পরিণত হয় গর্ভধারণের লক্ষ্যে। ওদিকে জরায়ুও তৈরি হতে থাকে প্রেগনেন্সিকে সাপোর্ট দিতে। মেয়েদের দুটি ডিম্বাশয়ের একটি থেকে পরিণত একটি ডিম্বাণু ডিম্বনালী দিয়ে জরায়ু/ইউটেরাসে এসে অপেক্ষায় থাকে শুক্রাণু বা স্পার্মের সাথে মিলিত হবার লক্ষ্যে। আর ডিম্বাণু রিলিজ হবার পর মাত্র ১২ থেকে ২৪ ঘন্টার মতো কার্যকর থাকে গর্ভধারণ ঘটাতে। ঐ সময়ের মধ্যে যদি স্পার্মের সাথে তার মিলন না ঘটে, তাহলে আর কোনো গর্ভধারণ ঘটবে না ঐ ঋতুচক্রে/সাইকেলে। তবে একজন ফার্টাইল রমণীর শরীরের মধ্যে ওভুলেশনের আগেও চার/পাঁচদিন পর্যন্ত স্পার্ম জীবিত থাকতে পারে। তাই ওভুলেশনের আগ দিয়ে যৌন মিলন ঘটলে শরীর স্পার্মকে সংরক্ষণ করে অনুকূল পরিবেশ এবং পুষ্টি সরবরাহ করে যেনো ডিম্বাণু রিলিজ হতেই গর্ভধারণ ঘটতে পারে।

কখন ওভুলেশন ঘটে অর্থাৎ এগ রিলিজ হয় সেটা জানতে হলে পিরিয়ড/ঋতুচক্র/ মাসিকের চক্রটি বোঝা দরকার। প্রতিমাসে যেদিন প্রথম মেয়েদের যোনিপথে ব্লিডিং শুরু হয় সেই তারিখটি হলো মাসিকের প্রথম দিন। আর পরবর্তী মাসে মাসিক শুরুর আগের দিনটি হলো মাসিকের শেষ দিন। সাধারণত পরবর্তী মাসে মাসিকের শুরুর দিনটি থেকে ১৪ দিন বিয়োগ করলেই আগের মাসে কখন ওভ্যুলেশন ঘটেছিল বের করা যায়। কেননা সাধারণত নারীর শরীরে ওভ্যুলেশন ঘটার ১২ থেকে ১৬ দিনের মাথায় গিয়ে আবার মাসিক শুরু হয়। নরমালি ১২-১৬ দিনের পরিবর্তে ১৪ দিন ধরে হিসেব কষা হয় ওভ্যুলেশনের দিনটি বের করতে

গড়ে মহিলাদের মাসিক বা ঋতুচক্রের সাধারণ সাইকেল হলো ২৮-৩২ দিনের। এমনকি ২১-৩৫ দিনের মাসিক চক্রকেও নরমাল-ই ধরা হয়। তবে কারও কারও এর কম বা বেশিও হয়। অধিকাংশ মেয়ের মাসিকের ১১দিন থেকে ২১দিনের মাঝে ওভ্যুলেশন ঘটে, নির্ভর করে কার সাইকেল কেমন, কত দীর্ঘ ইত্যাদির উপর। তাছাড়া নানাবিধ কারণেও ওভ্যুলেশন আগে /পরেও ঘটতে পারে। যেমন ব্যায়াম, টেনশন, খাদ্য অভ্যাসের পরিবর্তন ইত্যাদি ওভ্যুলেশনকে এগিয়ে বা পিছিয়ে দিতে পারে।

ওভ্যুলেশনের সময় কিছু শারীরিক লক্ষণ প্রকাশিত হয়। যেমন ওভ্যুলেশনের কয়েকদিন আগে থেকে যোনিপথ দিয়ে ডিমের সাদা (আসলে রঙহীন) অংশের মতো তরল বা স্রাবের অতিরিক্ত নিঃসরণ ঘটে। যা স্পার্মকে ডিম্বাণুর সাথে মিলন ঘটাতে সাঁতরে যেতে সহায়তা করে। আবার স্পার্মকে বাঁচিয়ে রাখতে অনুকূল পরিবেশ এবং পুষ্টিও সরবরাহ করে।

ওভ্যুলেশনের সময় মেয়েদের সারভিক্স বা জরায়ুমুখও সফট থাকে, কিছুটা খোলা এবং শরীরের আরও ভেতরের দিকে ঢুকে যায় যেনো স্পার্ম সহজে প্রবেশ করতে পারে। আর মাসিকের সময় ঠিক তার উল্টা জরায়ুমুখ শরীরের বাইরের দিকে চলে আসে যেনো ব্লাড সহজে শরীর থেকে বের হয়ে যেতে পারে। ওভ্যুলেশন ঘটে যাবার পর যোনিপথে নিঃসৃত তরলের ধরনও বদলে যায় মেয়েদের। তখন নিঃসৃত তরলের ধরন ক্রিমের মতো সাদা রঙের হয়, আবার টেক্সচারও ঘন থাকে। এটা সার্ভিক্সকে সুরক্ষা দেয় খারাপ ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে।

ওভ্যুলেশন সাইকেলের দুটি ভাগ বা পর্যায় রয়েছে। প্রথম ভাগ মাসিকের শুরু থেকে ওভ্যুলেশন পর্যন্ত। এটাকে বলে ফলিকুলার ফেইজ। মেয়েভেদে এই ফেইজটি ৭ দিন থেকে শুরু করে ৪০ দিন পর্যন্ত হতে পারে। আর দ্বিতীয় ভাগটি হলো লুটেল ফেইজ, ওভ্যুলেশনের দিন থেকে পরবর্তী মাসিকের আগের দিন পর্যন্ত।
এটা সাধারণত ১২-১৬ দিনের। দ্বিতীয় ফেইজটি ততটা পরিবর্তিত হয় না বিধায় ওভ্যুলেশনই নির্ধারণ করে দেয় মেয়েদের মাসিকের সাইকেল কত লং বা শর্ট হবে।

মাসিকের শুরুতে শরীরে এসট্রোজেন কম থাকে। তখন শরীরের হাইপোথ্যালামাস গ্লান্ড পিটুইটারি গ্লান্ডকে বলে FSH (ফলিকল স্টিমুলেটিং হরমোন) হরমোন পাঠাও এগ বড়/মাচিউর করতে। কয়েকটি এগের মাঝে একটি এগ যখন পরিণত হয়ে যায় তখন শরীরে এসট্রোজেনের অতিরিক্ত নিঃসরণ হাইপোথ্যালামাস এবং পিটুইটারি গ্লান্ডকে জানায়, ডিম বড় হয়ে গিয়েছে। তখন আবার লুটেনাইজিং হরমোনের (LH) নিংসরণ ঘটে যা ২৪-৩৬ ঘন্টার মধ্যে পাকা বা পরিণত ডিমটিকে ফলিকল থেকে রিলিজ করে দেয়। আর সে যাত্রা শুরু করে ডিম্বনালী দিয়ে স্পার্মের সাথে মিলন ঘটাতে।

আর ফলিকল (করপাস লুটেনাম ) থেকে এগটি রিলিজ হয়ে গেলে সেটা প্রোজেস্টেরন সরবরাহ করতে থাকে গর্ভকে টিকিয়ে রাখতে যতদিন না প্লাসেন্টা বা ফুল প্রেগনেন্সি রক্ষায় প্রোজেসটরন সরবরাহের দায়িত্ব নিয়ে না নেয়।

উল্লেখ্য যে ওভ্যুলেশন ঘটলেও কখনও কখনও মাসিক নাও হতে পারে। আবার মাসিক ঘটলেও কখনও কখনও ওভ্যুলেশন নাও ঘটতে পারে, এমনও ঘটে কারও কারও ক্ষেত্রে।

যাই হোক, ওভ্যুলেশনের কাছাকাছি সময়ে কিছু লক্ষণ দেখা দেয় যেমন ব্রেস্টে ব্যথা ব্যথা ভাব, তলপেটের এক পাশে ব্যথা, মুডের ওঠানামা হরমোনজনিত কারণে, সেক্সের আকাঙ্ক্ষা, যোনিপথের অতিরিক্ত নিঃসরণ, সফট সারভিক্স এবং শরীরের গভীরে সারভিক্সের অবস্হান ইত্যাদি দিকে কিছুটা মনোযোগী হলেই নিজের শরীরে কখন ওভ্যুলেশন ঘটছে আন্দাজ করা সম্ভব। দরকার শুধু মনোযোগী হওয়া। তাছাড়া যত্নকরে ক্যালেন্ডারে মার্কিং করা কবে পিড়িয়ড হলো। তারপর মাসিকের ব্লিডিং শেষ হতেই শরীরের লক্ষণগুলো আরও মনোযোগ দিয়ে দেখা। এভাবে কয়েকমাস নজর রাখলেই নিজের শরীরের লক্ষণ, ধরন, ধারণ আওতায় চলে আসে। আবার অনলাইনেও ফার্টিলিটি চার্ট থাকে যেটাতে কখন মাসিক শুরু হলো এবং সাইকেল কত দিনের ইনসার্ট করলেই বলে দেয় কখন কখন সঙ্গম ঘটলে সন্তানের আগমন ঘটবে আর কখন ঘটবে না।

প্রেম বা বিয়ে নয় মানুষের অজ্ঞতাই অপরিকল্পিতভাবে সন্তানকে নিয়ে আসে পৃথিবীতে। নিজের শরীরকে কিছুটা জানলে যেমন ভালোবেসে সন্তানকে জন্মদানের চেষ্টা করা যায় তেমনি আবার সময়ে প্রতিরোধের ব্যবস্হাও নেয়া যায়। এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে হয়তো ধর্ষণও প্রতিহত করা যেতে পারে যদি ধর্ষককে বোঝানো যায় স্পার্ম পেলেই এখন প্রেগনেন্সি ঘটে যাবে, আর বাবার দায় গিয়ে তোমার কাঁধে গিয়ে ভর করবে, বুঝো কিন্তু। আমাদের লাইলী নিজে নিজের শরীরকে জেনে ধর্ষককে মানসিকভাবে আঘাত করতে পারলেই হয়তো ধর্ষণ ঠেকাতে পারতো সেদিন।

প্রেম, ভালোবাসা, বা বিয়েতে জড়াবার পূর্বশর্ত নিজের শরীরকে জানা। অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণে রোমান্টিক সম্পর্কের যেমন করুণ পরিণতি ঘটে, তেমনি বহুবিধ চাপে কেউ কেউ হয়তো নিজের সন্তানকেই খুন করে বসে! অজ্ঞতার এই মাসুল টানা অত সহজ নয়। জ্ঞানই শক্তি, জ্ঞানই মুক্তির পথ খুলে দেয় প্রতিটি ক্ষেত্রেই।

শেয়ার করুন:
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.