অদম্য লিমনকে স্যালুট

limonউইমেন চ্যাপ্টার: র‌্যাবের কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পা হারালেও মানসিকভাবে কখনও পঙ্গু হননি ঝালকাঠির লিমন হোসেন। বছরব্যাপী মামলা আর হয়রানির মধ্য দিয়ে জীবন কাটলেও, তাকে দমাতে পারেনি এসবকিছুই। এবারের এইচএসসি পরীক্ষাতেও সেই দৃঢ়তারই পরিচয় দিলেন আবারও। জিপিএ-৪ পেয়ে পাস করেছেন তিনি। স্বপ্ন দেখছেন ভবিষ্যতে ব্যারিস্টার হবেন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় পিরোজপুরের কাউখালী পিজিএস ডিগ্রি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন লিমন।

গত বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা থাকলেও ২০১১ সালে র‌্যাবের গুলিতে আহত হওয়ায় প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি লিমন।

দুপুরে কাউখালীর কলেজে গিয়ে পরীক্ষার ফল জানার পর সাংবাদিকদের লিমন বলেন, “আমি নির্দোষ, আজ তা প্রমাণ হয়েছে। গরিব ঘরের সন্তান হওয়ায় পড়ালেখা করে বড় হওয়ার স্বপ্ন ছিল ছেলেবেলা থেকেই। তাই এত বিপদের মধ্যেও আমি লেখাপড়া চালিয়ে গেছি।” লেখাপড়া চালিয়ে ব্যারিস্টার হতে চান বলে জানান তিনি।

২০১১ সালের ২৩ মার্চ বিকেলে ঝালকাঠী জেলার রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের কলেজ পড়ুয়া ছেলে লিমন র‌্যাবের অভিযানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পা হারান।

এই ঘটনা দেশব্যাপী আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলে। প্রশ্নবিদ্ধ হয় র‌্যাব, সরকার, সর্বোপরি প্রশাসন। শুধু তাই নয়, গুলিতে পা কাটা যাওয়ার পরও লিমনের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের করে তাকে রীতিমতো হয়রানি করা হয়। এ ঘটনায় দেশে-বিদেশে মানবাধিকার সংগঠনগুলোও তীব্র সমালোচনা করে। এরই পরিপ্রেকিক্ষতে সম্প্রতি দুটি মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

শেয়ার করুন:
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.