বিবাহ বিচ্ছেদ: সঙ্কট, নাকি সরল সমীকরণ?

সঙ্গীতা ইয়াসমিন:

সম্প্রতি “ঢাকায় ঘন্টায় এক তালাক” শিরোনামে প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে আশঙ্কাজনক হারে বিবাহ বিচ্ছেদের হার বাড়ছে, এবং নারী কর্তৃক বিচ্ছেদের আবেদনে ঊর্ধ্বগতি; যেখানে পুরুষের আবেদন শতকরা ৩০ ভাগ হলেও নারীরা এগিয়ে আছেন ৭০ শতাংশে।

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, গত সাত বছরে সারাদেশে বিবাহ বিচ্ছেদের প্রবণতা বেড়েছে ৩৪ শতাংশ। মূলত শিক্ষিত নারী-পুরুষদের মধ্যেই এই প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায় যা উচ্চবিত্ত ও শহরকেন্দ্রিক। বিবাহ বিচ্ছেদের প্রধান কারণ হিসেবে স্বাবলম্বী নারীকে মেনে না নেওয়া কিংবা বনিবনা না হওয়াকেই উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। আবেদনকৃত নারীরা পুরুষের সন্দেহবাতিক মনোভাব, পুরুষত্বহীনতা, যৌতুক, ব্যক্তিত্বের সংঘাত, পরনারী এবং মাদকাসক্তিকেই দায়ী করেছেন বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হিসেবে।
অপর পক্ষে, পুরুষের আবেদনে স্বামীর অবাধ্য হওয়া, ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী না চলা, বদ মেজাজ, সংসারের প্রতি উদাসীনতাকেই উল্লেখ করা হয়েছে।

বিবিএস এর দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিক্স এর জরিপকৃত উপাত্তের ভিত্তিতে পারিবারিক সম্পর্কের বর্তমান এই চিত্রে আমাদের অনুসন্ধিৎসু মন এমন প্রশ্ন করতেই পারে, তবে কি বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থা একটি বড় ধরনের পরিবর্তনের দিকে এগোচ্ছে? শিক্ষিত-সচেতন নারী-পুরুষেরা কি দিন দিন বিবাহ নামক এই প্রাচীন প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে আস্থা হারাচ্ছে, কিংবা এই প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব কমে যাচ্ছে? এ বিষয়ে সমাজ-মনস্তত্ত্ববিদেরা নিশ্চয়ই আরও গভীর গবেষণা করতে পারেন। তবে আপাতদৃষ্টিতে এই চিত্র আর্থসামাজিক উন্নয়নে নারীর ক্ষমতায়ন তথা নারীর অবস্থানকেই নির্দেশ করে বলে অন্তত আমার বিশ্বাস।

এই তথ্য যতই হতাশাব্যঞ্জক কিংবা বাংলাদেশের সমাজের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে সংকেত দিক না কেন, এর অন্তরালে একটি সুক্ষ্ম চিত্র সুস্পষ্টতই দৃশ্যমান। কেবল পুরুষের পক্ষ থেকে চিহ্নিত কারণগুলোর দিকে লক্ষ্য করলেই দেখতে পাই, স্বামীর অবাধ্যতা, ইসলামের বিধান অনুযায়ী না চলা এবং বদমেজাজী হিসেবে নারীটিকে প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে; যার প্রতিটি কারণ আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করার দরকার নেই, বরং একটি আরেকটির সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। যা হাজার বছরের পুরুষতন্ত্রের লালিত মানসিকতারই পরিচায়ক।

পুরুষতন্ত্র নিজেদের সুবিধে অনুযায়ী কখনও ধর্মকে বর্ম বানিয়েছে, আবার কখনও সন্তনাকে শিখণ্ডী বানিয়েছে, কখনও বা সামাজিক রীতি-নীতির দোহাই দিয়ে নারীকে অবদমন করেছে। বিবাহ নামক কাগুজে সম্পর্ক দিয়েই নারীর পায়ে সামাজিক শেকলের শক্ত যে বেড়ি পরানো হয় তার পুরোটাই ভিত্তিহীন। ধর্ম-পরিবার তথা সমাজের এই গরাদ ভেঙে নারী এতোকাল বেরিয়ে আসতে পারেনি কেবল তাঁর অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতার কারণে।

আজকের গোলকায়িত বিশ্বে নারী যখন হেঁসেল থেকে বেরিয়ে দুচোখের তারায় দেখছে আলোর পৃথিবী, তাঁর সঙ্গী পুরুষটি রয়ে গেছেন তখনও সেই প্রাচীন যুগে। যেদিন কেবল বিবাহ নামক সনদের বলেই নারী বনে যেত শ্বশুরালয়ের সকলের জন্য বিনে পয়সায় কেনা আজীবনের ক্রীতদাসী! আজকের ঢাকা শহরের জীবনযাত্রার মানের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি, বেড়েছে জীবনমানের অসাম্য চাহিদা। আর এহেন পরিস্থিতিতে একজনের আয়ে নূন্যপক্ষে ৩-৪ সদস্যের পরিবারের খরচ জোগান দেওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। পরিবারের আর্থিক যোগান দিতেই নারীকে বাইরে যেতে হয়। তখনও সেই রোজগেরে নারীর অন্তপুরের দায়িত্বের ভার লাঘব হয় না, উপরন্তু সে হয়ে যায় সাতদিনের চব্বিশ ঘন্টার গৃহপরিচারিকা।

এমন দৃশ্য কারও অচেনা নয়, একইসাথে অফিস ফিরতা স্বামীদেবতাটি যখন টিভির রিমোট নিয়ে সোফায় গা এলিয়ে দেন এক কাপ গরম কফির আশায়, স্ত্রীটিকে তখন সেই কফির যোগান দিতে ঢুকতে হয় হেঁসেলেই।তবে, আজকাল কোনও কোনও স্বামী যে গেরোস্থালীর কাজে হাত লাগাচ্ছেন না তা নয়, যদিও সেই সংখ্যা অতি নগণ্য। সামাজিক শ্রমবিভাজনের হাজার বছরের রীতি ভেঙে গৃহকর্মে পুরুষের অনুপ্রবেশ এখনও কোনো রীতিতে পরিণত হয়নি আমাদের সমাজে। উপরন্তু যৌথ পরিবারে শাশুড়ি, ননদিনীদের কাছ থেকে রোজগেরে বধূটির বাড়তি গঞ্জনাই পাওনা হয় উপহার হিসেবে।

আমাদের সমাজ এখনও ছেলের বউকে বিনে মায়নার দাসী হিসেবেই দেখেন, তাঁর শিক্ষা-দীক্ষার সনদ, উচ্চপদে চাকুরী, কোনোকিছুই শ্বশুর বাড়িতে বহুমূল্যের তালিকায় পড়ে না। পরিবারে বেশি আয় করা ছেলেটি যেমন মাছের মুড়োটি পাতে পান, গ্লাসভর্তি দুধ পান, কিংবা নিয়ম করে রোজ একটি ডিম পান পাতের পাশে, এমন কোনও গল্প পাওয়া যাবে না, যৌথ পরিবারে রোজগেরে বধূরা সেই একইভাবে ট্রিট পান শ্বশুরালয়ে।
বস্তুত পুত্রবধূ সকলের কাছে কেবলই নারী! এই শিক্ষাই আমাদের সমাজ দিয়ে থাকে, শৈশব থেকে মৃত্যু অবধি। এটাই আমাদের হাজার বছরের চর্চিত-চর্বিত পিতৃতন্ত্র! যা নারীকে পরিয়েছে দাসত্বের শৃঙ্খল।

আজ কবির ভাষায় বলতে হয়, “সেই যুগ হয়েছে বাসী, যে যুগে পুরুষ দাস ছিল না কো, নারীরা আছিল দাসী।” আজ বাংলাদেশের মেয়েরা, আমাদের নারীরা যখন আপন যোগ্যতায়, নিজ দক্ষতায় অবদান রাখছে গৃহে, কর্মপরিসরে, সমাজে, এবং রাষ্ট্রে। তখন নারী তাঁর জীবনযাপনের সিদ্ধান্তও নিজে নেবে, সেটাই তো স্বাভাবিক! এ নিয়ে সমাজেরও ভ্রুকুটি করবার কিছু নেই।

বিচ্ছেদের এই বর্ধিত হার দেখে, একজন নারী হিসেবে মোটেও শংকিত নই আমি। বরং আমি মনে করি, দ্বিধাদ্বন্দ্বের দিন শেষ হয়েছে, শেষ হয়েছে নারীর অস্তিত্বের লড়াইয়ের দিন। নারীর এই স্বাধীনচেতা মানসিকতায় প্রত্যক্ষ করছি কিছু মেয়ে, নিজেদেরকে মানুষ ভাবতে শিখেছে। শিরদাঁড়া সোজা করে চলার শক্তি অর্জন করেছে। বিবাহ নামক দণ্ডাদেশ ছুঁড়ে ফেলে তুড়ি মেরে বেরিয়ে এসেছে। শিখেছে ডানা মেলে উড়তে আপন আকাশের সীমানায়। শিশ্নবিহীন, শৌর্যবীর্যবিহীন বীরত্বের গোমর ফাঁস করে দিয়ে, পুরুষতন্ত্রের গালে সজোরে চপেটাঘাত করতে পেরেছে।

কালের আবর্তে যেমন বদলায় অনেক কিছুই, তেমনি দিনও বদলায়। সমাজকেও এগিয়ে যেতে হয় বদলানো সময়ের হাত ধরে। আর এভাবেই তো এগিয়ে যায় সভ্যতা। সমাজের আদি প্রতিষ্ঠান যদি মরচে ধরে থাকে, ঘষেমেজে তা পরিস্কারের দায় তো সমাজকেই নিতে হবে। দরকার তাতে রাংতা মিশিয়ে গ্যাল্ভানাইজিং করার, কিংবা ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে নতুন কিছু গ্রহণ করার। সুতরাং এই প্রতিষ্ঠান যদি টিকিয়ে রাখতেই হয়, তবে তার বেশিরভাগ দায়ই নিতে হবে পুরুষকে-পুরুষতন্ত্রকে। আজীবন নারীকেই কেনো সংসার টিকিয়ে রাখতে হবে নিজের জীবন-যৌবন বিসর্জন দিয়ে? নারীই কেবল জঠরের দায় কেনো বয়ে বেড়াবে?
এতো অন্যায়! অনাচারের পাহাড়ে একদিন ধস নামবেই!

একথা অনস্বীকার্য যে, উচ্চবিত্ত, শহুরে, কিংবা উচ্চ শিক্ষিতাতের ক্ষেত্রে বিবাহ বিচ্ছেদ যতটা না ক্ষমতায়নের সূচক, মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত কিংবা স্বল্প শিক্ষিত নারীর জীবনে ততটা গৌরবের নয় মোটেই। নিম্নবিত্ত ও গ্রামাঞ্চলের সমাজ এখনও বিচ্ছেদের জন্য নারীর দিকেই অঙ্গুলি প্রদর্শন করে।পুরুষের পক্ষে দ্বিতীয় বিয়ে যতটা সহজ, দু’একটি ব্যতিক্রম ছাড়া নারীর জন্য সেই রাস্তা খোলা নেই বললেই চলে।এসকল বাস্তবতা মাথায় রেখে আজও অনেক নারীই বিয়ে ভেঙে বেরিয়ে আসতে চায় না।
সর্বোপরি সন্তান! যার দায় সব সমাজেই মায়ের ওপরই বর্তায়। আজও এমন অনেক পরিবার আছে, শুধু সন্তানের মুখ চেয়ে সারাজীবন পার করে দিয়েছে স্বামী নামক জান্তব দানবের সাথে। শারীরিক-মানসিক নির্যাতনসহ অযৌন জীবন যাপন করেও সংসার ত্যাগ করেননি। কিন্তু এও তো সত্য যে, ভালোবাসাবিহীন, সম্মানবিহীন, পারস্পরিক বোঝাপড়াবিহীন যৌথ জীবন মৃত্যুর সমান! প্রতিদিন ধুকে ধুকে মরণ সুখকর নয় কারও পক্ষেই। তাই যখন একসাথে থাকাটা অসম্ভব হয়ে যায়, তখন বিচ্ছেদই শ্রেয়।

পাশ্চাত্যের সমাজে বিবাহ বিচ্ছেদ কোনো ব্যাপারই নয়, সিঙ্গেল প্যারেন্ট, সিঙ্গেল মাদার এসবই স্বাভাবিক ঘটনা। এসব সমাজে নারীরা আমাদের দেশের মতো গৃহপালিত স্ত্রীকূল নয়, আর সন্তানের ভরণপোষণ; শিক্ষা-স্বাস্থ্যের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সুতরাং সন্তান লালন-পালন নিয়ে ভাবতে হয় না তাঁদের। সেসব সমাজে মতের অমিল হলেই তাঁরা একসাথে থাকে না। পারস্পারিক শ্রদ্ধা রেখেই, বোঝাপড়া, আলোচনা করেই ওরা আলাদা হবার সিদ্ধান্ত নেয়। এতে সন্তানেরাও মানসিক প্রস্তুতি নিতে পারে।

আশ্চর্যের বিষয় হলো, খুব ব্যতিক্রম ছাড়া সন্তানের দায়িত্ব কেউই অস্বীকার করেন না; সন্তানের কারণেই দুই পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ, যাতায়াত, সবই চলে বিচ্ছেদের পরেও। সন্তানেরা এসব নিয়ে ভাবেও না, খুব সহজেই বলে, ওরা দুজন একসাথে থাকছে না, তার মানে এই নয় যে, ওরা খারাপ মানুষ। সুতরাং এই বিচ্ছেদ শিশুদের ওপরে খুব বেশি প্রভাব ফেলে না।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমরা কী ভাবি? কেমন দেখতে চাই আগামীর বাংলাদেশ? আমরা কি বিচ্ছেদের সকল দায় নারীর ঘাড়ে দিয়েই সুখনিদ্রা যাপন করবো? নাকি স্বাভাবিক ট্রেন্ড ভেবে সহজেই মেনে নেব এই পরিবর্তন? নাকি বিবাহরক্ষায় এই নিয়ে বিস্তর গবেষণা শুরু করবো? আমরা যা-ই ভাবি না কেন একটা বিষয় মাথায় রাখতেই হবে, বিবাহের অন্যতম উদ্দেশ্য শুধু বংশবিস্তার নয়!
নর-নারীর সুখী দাম্পত্যজীবন কেবল সামাজিক নিয়মরক্ষাও নয়, যা ব্যক্তিগত স্থিতিশীলতা তথা উৎপাদনশীলতার সাথেও সম্পর্কিত। সেদিক বিবেচনায় নর-নারীর যৌথবাসকে সুস্থ ও স্বাভাবিক করতে হলে কথা বলতে হবে অনালোচিত অতি গুরুত্বপূর্ণ কারণ নিয়েও। বাংলাদেশের সমাজে বিবাহবিচ্ছেদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সেই কারণটি সর্বদাই রয়ে যায় পর্দার অন্তরালে; যৌন অতৃপ্ত দাম্পত্য জীবন! এই কারণে যে বহু পরিবার ভেঙে যায়, যা নথিভূক্ত হয় না বললেই চলে। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের পন্থা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করার কোনো পরিবেশ আদতে নেই আমাদের দেশে।

পরিশেষে বলবো, সমাজ যদি তার আদি প্রতিষ্ঠানটিকে টিকিয়ে রাখতেই চায়, তবে রাষ্ট্র ও সমাজকে গুটিকয়েক বিষয়ের ওপরে জরুরিভাবেই দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে হবে।

প্রথমত, আমাদের শিক্ষাক্রমে যৌন শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা এখন সময়ের দাবী।মানবজীবনের একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াকে অজ্ঞতার কারণে অবহেলা করার ফলেই পরিবারে-সমাজে নেমে আসে অযাচিত-অনাকাঙ্ক্ষিত অধ্যায়; ধর্ষণ এবং বিচ্ছেদ দুটোই এই রাখ-ঢাকের ফসল।

দ্বিতীয়ত, প্রাক বিবাহ কাউন্সেলিং; এই প্রতিষ্ঠানের প্রাচীন কাঠামো বহাল থাকলেও সময়ের সাথে সাথে পরিবার কাঠামো, তথা যাপিত জীবনের প্রণালী বদলেছে। সুতরাং এই সম্পর্ক থেকে আমাদের প্রত্যাশা ও ফললাভ বিষয়ে বিবাহযোগ্য নর-নারীদের তথ্যসমৃদ্ধ হওয়া দরকার।

তৃতীয়ত, পারিবারিক কাউন্সেলিং; মূলত যৌথ পরিবার এবং দূরে থাকলেও শ্বশুরালয়ের অন্যান্য সদস্যদের প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত মায়েরা ছেলে হারানোর যাতনা থেকে মুক্তি এবং বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে শিশুদের দায়িত্ব নিতে পরিবারের অন্যান্যদের ভূমিকাও মুখ্য।

চতুর্থত এবং সর্বোপরি বলছি, আসুন সময়ের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে যে নারী, তাঁর সহযোদ্ধা হই, সারথী হই! আর নয় বাঁধার বিন্ধ্যাচল। এগিয়ে যাই হাত রেখে হাতে। পার করি জীবন সুন্দরের সাথে। বিশ্বাস করতে শিখুন, নারীও মানুষ!
দিন বদলের গানে নতুন সুর বাজুক, বাঁচুক নারী নিজের মতো। একে একে ভেঙে যাক সামাজিক সকল ট্যাবু, চূর্ণ হয়ে যাক সামাজিক শ্রমবিভাজন। উবে যাক নারীর ঘাড় থেকে সংসারের জোয়াল।

সঙ্গীতা ইয়াসমিন, টরন্টো, কানাডা।

শেয়ার করুন: