জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতার বিষয়ে রায় আজ

jamayat e islamiউইমেন চ্যাপ্টার: জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে রিটের রায় হবে আজ বৃহস্পতিবার।

চুড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের বেঞ্চ গত ১২ জুন রিটটি রায়ের জন্য ‘অপেক্ষমাণ’ রাখেন।

তরিকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করলে করলে হাই কোর্ট একটি রুল জারি করে ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি।

রুলে জামায়াতের নিবন্ধন কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০বি(১)(বি)(২) ও ৯০(সি) অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে জামায়াতের নেতৃবৃন্দকে ৬ সপ্তাহের সময় বেঁধে দেয় বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ও বিচারপতি মো. আবদুল হাইয়ের বেঞ্চ।

পরবর্তিতে রুলটি বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে চলে গেলে আংশিক শুনানির মধ্যেই ওই বেঞ্চের এখতিয়ার পরিবর্তন হয়। ফলে বিষয়টির ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ততে আসতে পারেনি আদালত।

২০০৮ সালে সংসদে গণপ্রতিনিধিত্বকারী ৩৮ টি দলের সঙ্গ জামায়াত নিবন্ধিত হয়।

এরপর দেশব্যাপি জামায়াতের নিষিদ্ধের দাবী জোরালো হলে বৃহত্তর বেঞ্চে গত ১২ জুন শুনানির পর থেকে রায়টি অপেক্ষমাণ।

রিট আবেদনকারীর আইনজীবী তানিয়া আমির জামায়াতকে নিবন্ধনের অযোগ্য উল্লেখ করে বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি জামায়াতের নিবন্ধন বাংলাদেশের সংবিধানের সাথে সংঘর্ষিক।

যদিও জামায়াতের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক এই রিটকে অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য করা হয়েছে উল্লেখ করে এটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

তিনি বলেন, “দেশের আরো অনেক রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্রে একই ধরনের বিধান থাকলেও ওইসব দলের বিরুদ্ধে কোনো রিট আবেদন করা হয়নি।”

জামায়াদের নিবন্ধনকে চ্যালেঞ্জকারীদের মধ্যে তরিকত ফেডারেশন, জাকের পার্টির গঠনতন্ত্রও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে দাবী করেন তিনি।

তিনি বলেন, এই অভিযোগে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হলে আরো অনেক রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনই বাতিল করতে হবে আদালতকে।

রিট আবেদনে জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা নিয়ে চারটি পয়েন্টে প্রশ্ন তোলা হয়।

প্রথমত, জামায়াত নীতিগতভাবে জনগণকে সব ক্ষমতার উৎস বলে মনে করে না। সেইসঙ্গে আইন প্রণয়নে জনপ্রতিনিধিদের নিরঙ্কুশ ক্ষমতাকেও স্বীকার করে না।

দ্বিতীয়ত, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুসারে কোনো সাম্প্রদায়িক দল নিবন্ধন পেতে পারে না। অথচ কাজে কর্মে ও বিশ্বাসে জামায়াত একটি সাম্প্রদায়িক দল।

তৃতীয়ত, নিবন্ধন পাওয়া রাজনৈতিক দল ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গের কোনো বৈষম্য করতে পারবে না। কিন্তু জামায়াতের শীর্ষপদে কখনো কোনো নারী বা অমুসলিম যেতে পারবে না।

চতুর্থত, কোনো দলের বিদেশে কোনো শাখা থাকতে পারবে না। অথচ জামায়াত বিদেশের একটি সংগঠনের শাখা। তারা স্বীকারই করে তাদের জন্ম ভারতে। বিশ্বজুড়ে তাদের শাখা রয়েছে।

শেয়ার করুন:
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.