ঈহিতা জলিল:
আজ উইমেন চ্যাপ্টারের জন্মদিন। উইমেন চ্যাপ্টার সবসময়ই আমার কাছে বিশেষ আছে এবং সারাজীবন থাকবে। এর কারণ তো অবশ্যই আছে। আমি লেখালিখি করি স্কুল জীবন থেকেই। আগে তো ফেসবুক ছিলো না ওগুলো সংগ্রহেও নেই। সম্প্রতি আমার এক স্কুল বন্ধু আমাকে আমার স্কুলে থাকাকালীন কিছু কবিতা পাঠিয়েছে। ওর কাছে ছিলো। আরো কত কত জনের কাছে যে আছে কে জানে!! বহু জনের প্রেমপত্র লিখে দিতাম!! এখন মনে হয় আহা!! ওগুলো যদি কপি রাখতাম!! কেমন মজা হতো!!
তারপর বিভিন্ন পত্রিকায় লেখা। এরপর ফেসবুক এলো। অনলাইনের জোয়ার এলো!!! একদিন আমি আবার লেখা শুরু করলাম। এখন তো অনলাইনে লিখেই মজা পাই। আমার ধৈর্য্য কম তো!! অনলাইনে পাঠানোও সহজ, আর পাঠকের প্রতিক্রিয়াও সহজে পাওয়া যায়!! দেখেও মজা পাই!!
সুপ্রীতি’দি কে আমি কবে থেকে যে চিনি আমার মনে নেই। একটা ট্রেনিং এ দেখা হয়েছিলো একবার। ওটুকুই। এরপর আর সামনাসামনি দেখা হয়নি কখনো। কিন্তু ঐ যে ফেসবুক!! এরজন্যই তো আমি ফেসবুক এতো ভালোবাসি!! এর মাধ্যমে দূরে থেকেও কাছে থাকা যায়!! আমার বাপজান জীবনের পরতে পরতে আমাকে কিছু সবক দিয়েছেন। যেমন: আমি যখন একা একা চলাফেরা শুরু করলাম তখন প্রথমদিন তিনি বললেন, “আমরা সবসময় তোমার সাথে সাথে থাকতে পারবো না, তুমি ভালো পথে চলবে নাকি খারাপ পথে এটা তুমি ডিসাইড করবে”।
তেমনি ফেসবুককে আসলে কে কিভাবে ব্যবহার করবে এটা নির্ভর করে তাঁর নিজের ওপর!! যে চাইবে ভালো কাজে লাগাতে সে ভালো কাজেই লাগাবে আর যে খারাপটা চাইবে সে খারাপ কাজে লাগাবে।
আমার “ছেলেদের মায়েরা কি একটু শুনবেন” লেখাটি আমি আমার ওয়ালে দিয়েছিলাম। দিদি হঠাৎ নক দিয়ে বললেন, লেখাটা দাও!! আমি তো মহা উত্তেজিত!! দিদি আমার কাছে লেখা চেয়েছেন!? তারপর তো সবকিছু স্বপ্নের মতো ঘটে গেলো!! কিছুদিন আগে দেখেছিলাম লেখাটি তখন পর্যন্ত ১,১২,৮০০ বার শেয়ার হয়েছে!! আমি লেখক ছিলাম, আছি, থাকবো। কিন্তু আমাকে লেখক পরিচিত দিয়েছে আমার এই লেখাটি। আর আমাকে উইমেন চ্যাপটার এর পার্ট বানিয়েছেন দিদি। তাই আমি যতদূরেই যাই, যেখানেই থাকি, উইমেন চ্যাপ্টার আর সুপ্রীতি ধর আমার মনে কোন না কোন কোণে অবশ্যই থাকবে। আমাদের মতের অমিল হবে, হয়তো কখনও ঝগড়াও হবে, হয়তো কখনও আড্ডা দেয়া হবে না, কিন্তু যখনই দেখা হবে, মনে হবে আরে, আমরা তো আত্মার আত্মীয়!! আজকে উইমেন চ্যাপ্টার এর পিছনে একজন সুপ্রীতি ধরের যে অবদান, সেটি স্বীকার না করে কোন উপায় নেই।
যে পথ দেখায় সে সবসময় আগেই থাকে। এই যে একজন সুপ্রীতি পথ দেখালো আমরা আরো সুপ্রীতিকে পেতে চাই। মেয়েদের জন্য আরো অনেক প্ল্যাটফর্ম চাই। একদিন আমরা কেউ থাকবো না, কিন্তু প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বলে যাবে “আমরা আসলে উইমেন চ্যাপ্টারকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছি”।
অনেক অনেক শুভ কামনা উইমেন চ্যাপ্টারের জন্য। আর অবশ্যই দিদি আপনার জন্যও। আপনাকে ছাড়া আসলে এতোকিছু কখনই সম্ভব হতো না। শুভ জন্মদিন।
ঈহিতা জলিল
২০.০৫.১৮
রবিবার
বিকাল: ০৩.৪৫ মিনিট