উইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক: জাতি শেষ শ্রদ্ধা জানালো মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কবি বেলাল মোহাম্মদকে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম এই প্রতিষ্ঠাতার মরদেহ বুধবার সোয়া ১১টার দিকে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নেওয়া হলে সর্বস্তরের মানুষ তাঁকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা ও ভালবাসা জানান।
মুক্তিযুদ্ধের এই সংগঠককে গার্ড অব অনার শেষে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে তার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এরপর একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ ও সাংসদ এ এন মাহফুজা খাতুন বেবী মওদুদ। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি ও দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, বাংলা একাডেমির পক্ষে একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।
এর আগে সকাল সাড়ে দশটার দিকে তাঁর কফিন নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশ বেতারের শাহবাগের কার্যালয়ে। সেখানে সহকর্মীরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
শহীদ মিনার থেকে তাঁর কফিন নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে। যেখানে শেষ জানাজার পরে মরদেহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে দান করা হবে।
মঙ্গলবার ৭৭ বছর বয়সে বার্ধ্যক্যজনিত কারণে মারা যান বেলাল মোহাম্মদ।
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য ২০১০ সালে তাকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হয়।
দীর্ঘদিন বাংলাদেশ বেতারে কাজ করার পর তিনি অবসরে ছিলেন।
১৯৩৬ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার মুছাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বেলাল মোহাম্মদ। ছাত্রজীবনেই জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। ছাত্র ইউনিয়নের চট্টগ্রাম কমিটির প্রথম সদস্য ছিলেন তিনি।
১৯৬৪ সালে দৈনিক আজাদীর উপসম্পাদক হিসেবে যোগ দেন বেলাল। ওই বছরই রেডিও পাকিস্তানের চট্টগ্রাম কেন্দ্রে স্ক্রিপ্টরাইটার হিসেবে কাজ শুরু করেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বেলাল মোহাম্মদ চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন।
২৬ মার্চ বেলাল মোহাম্মদ ও তার সঙ্গীরা মিলে কালুরঘাটের বেতার স্টেশনে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন, যেখান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করা হয়।