সঙ্গীতা ইয়াসমিন:
অতি প্রাচীন এবং পরিচিত প্রবচন-“মানব শিশুকেই মানুষ হয়ে ওঠার কঠিন লড়াইটা জন্ম থেকে আমৃত্যু চালিয়ে যেতে হয়।” এখন প্রশ্ন হচ্ছে মানুষ হয়ে ওঠার লড়াইটা কী আর এতে মাতা-পিতার ভূমিকাই বা কী?
খুব দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের দেশে মা-বাবা হবার আগে সন্তান প্রতিপালন বিষয়ে জ্ঞানার্জনের খুব সহজ কোন রাস্তা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নেই। খুব নিকট অতীতে আমাদের শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিক স্তরে গার্হস্ত্য বিজ্ঞান (মেয়েদের জন্য) পাঠ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হলেও আমাদের দেশে অনেক মেয়েকেই মাধ্যমিকের চৌকাঠ ডিঙানোর আগেই বসতে হয় বিয়ের পিঁড়িতে।
অপরপক্ষে, প্রাতিষ্ঠানিক সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী মায়েদেরও এই দক্ষতা অর্জনের বিষয়টি সর্বদাই অগুরুত্বপূর্ণ তালিকায় রয়ে যায় সামাজিক কারণেই। তাই,গর্ভধারণের পূর্বে গর্বের ধন লালন-পালনের কৌশল রয়ে যায় নব্য মায়েদের কাছে অজানা। আর পিতা(?), সেতো আরও দূরের পথ!
বর্তমান সময়ে আমাদের সামাজিক অবক্ষয়ের চরম যে ধ্বংস আমরা প্রত্যক্ষ করি নানবিধ অ্যান্টিসোশ্যাল কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে, তার দায়ভার অনেকাংশেই পরিবারের ওপর বর্তায়। কারণ পরিবারই শিশুর প্রথম বিদ্যালয়। পরিবার থেকেই ব্যক্তির ব্যক্তিগত মূল্যবোধ তৈরি হয়। ব্যক্তির নীতিশিক্ষার যে ভিত পরিবার তৈরি করে পরবর্তী জীবনে ব্যক্তি বাইরের জগতের সাথে তা মিলিয়ে নেয়, কিংবা কিছু সংযোজন-পরিমার্জন করে মাত্র।
“এই চুপ চুপ! একদম চুপ! একটিও শব্দ বের হবে না, এতো জোরে আওয়াজ বন্ধ কর” এমন ধমকের সুরে তিন বছরের এক দুর্ভাগা শিশুকন্যার মুখ চেপে ধরলেন তার বাবা। যিনি আপাদমস্তক পর্দাবৃত করেও ব্যর্থ হলেন কন্যার আপন মনে কথা বলা আর আনন্দ প্রকাশের উচ্ছলতা ঢেকে রাখতে। আর সেকারণেই এই ভয়ঙ্কর ব্যঘ্র গর্জন! ফলে শিশুটি আরও উচ্চস্বরে কান্না শুরু করলো, এবং বাবাও যথারীতি আরও ক্ষিপ্ত হলেন। আজ থেকে প্রায় ১৬ বছর আগে বাসের এক সহযাত্রী দম্পতির সন্তান শাসনের এই দৃশ্য আজও আমায় সেই শিশুটির করুণ, ভীতিকর আর বেদনাদায়ক শৈশবকেই মনে করিয়ে দেয়! সাথে সাথে এও ভাবি, খুব অস্বাভাবিক নয় এই দৃশ্য আজকের বাংলাদেশেও।
বলা বাহুল্য, শিশুর লালন-পালনে আমরা তার শরীরকে যতটা গুরুত্ব দেই, ঠিক ততটাই অবহেলা করি তার মানসিক বর্ধনকে। এটি আমাদের অজ্ঞানতা, অশিক্ষা এবং অসাংস্কৃতিক চর্চার ফসল। আর এর সাথে যখন ধর্মের বর্ম যুক্ত হয় তখন তা শিশুদের মানসিক বিকাশের পথে হয়ে ওঠে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। শিশুর পরিপূর্ণ মানসিক বিকাশের ওপরই নির্ভর করে সে বড় হয়ে কোন ধরনের ব্যক্তিত্বের অধিকারী হবে।
সমাজ মনস্তাত্ত্বিকদের মতে, শিশুর শৈশবকালীন পরিচর্যার ওপরেই নির্ভর করে তার পরবর্তী জীবন যাপনের স্টাইল। কোন শিশু বড় হয়ে অ্যান্টিসোশ্যাল হবে, ক্রিমিনাল হবে কিংবা সমাজসেবী হবে তা চাইল্ড রেয়ারিং প্যাটার্নের ওপর নির্ভর করে শতকরা ৮০ভাগ।
শিশুর শারীরিক বৃদ্ধির মতই মানসিক বৃদ্ধিরও কতগুলি স্তর আছে, যা প্রকাশ পায় তাদের আচরণে।বুদ্ধিবৃত্তিক,শারীরিক আর মানসিক বৃদ্ধির সেই সামগ্রিক আচরণের সমষ্টিই একজন শিশুকে পূর্ণাঙ্গ মানব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। যেমন আমরা প্রায়শঃই বলি কেউ খুব দায়ালু, কেউ খুব রাগী, খুব চঞ্চল শান্ত কিংবা খুব গম্ভীর, আবার কেউ খুব খোলা মনের। এসবই একজন ব্যক্তির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ধরন ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ভিন্নতা তৈরি করে, সেটিই তার ব্যক্তিত্ব। অর্থাৎ, ব্যক্তি যে রূপে অন্যের কাছে প্রকাশিত হয় কিংবা যেভাবে নিজেকে উপস্থাপন করে তাই তার ব্যক্তিত্ব। ব্যক্তিত্বের প্রচলিত সংজ্ঞায় সামগ্রিক অর্থে বলা যায়;
“Personality refers to individuals’ characteristic patterns of thought, emotion, and behavior, together with the psychological mechanisms — hidden or not — behind those patterns.” (Funder, D. C., 1997)
শিশুর প্রথম জীবনের তিন থেকে পাঁচ বছরের দিনগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বছরগুলোতে দ্রুত শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ, স্নায়ুতন্ত্রের উন্নয়ন ও মাইলিনেশন হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুর আড়াই থেকে তিন বছর বয়সের মধ্যে মস্তিষ্কের ৮০ ভাগ কোষের সংযোগ ঘটে।কোষগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন ও বৃদ্ধির জন্য এগুলোকে উদ্দীপ্ত (Stimulation) করতে হয়। শিশুর সাথে ভাবের আদান প্রদান ও পারস্পরিক ক্রিয়া (Interaction) এই উদ্দীপ্ত করণের প্রধানতম উপায়।
শিশুরা ভালবাসা ও নিরাপত্তার অনুভূতি পেলে তাড়াতাড়ি শেখে। যে শিশুরা নিরাপদ বোধ করে তারা পরবর্তী জীবনে সহজেই বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত মানিয়ে নিতে সক্ষম হয়। একক পরিবারে বাবা-মাকেই সন্তানের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব নিতে হয়। সেক্ষেত্রে যে বিষয়গুলোর প্রতি অধিক যত্নশীল হওয়া বাঞ্ছনীয় সেগুলি-
শিশুর সাথে কথা বলা, ছড়া বলা, গান করা ও গল্প শোনানো
শিশু সব কথা বুঝতে না পারলেও তার সাথে কথা বলা দরকার। এতে সে শব্দ শুনে শুনে অভ্যস্ত হয়, সে তার মস্তিস্কে সেসব জমা করে এবং একসময় কথা বলতে শেখে। নিয়মিত ছবিসমৃদ্ধ সহজ ও সাধারণ গল্পের বই পড়ে শোনালে তার কল্পনার জগত অনেক প্রসারিত হয়, সে শুনে শুনে বলার এবং গল্প বানানোর প্রচেষ্টা করে। এতে তার মস্তিস্কের কোষের কার্যাবলী বৃদ্ধি পায়। কল্পনা শক্তি প্রখর হয়। কোন কোন শিশুর গানের প্রতি, সুরের প্রতি আলাদা আকর্ষণ থাকে, তাই গুনগুনিয়ে শিশুকে গান শোনালেও তা শিশুর মনোযোগ বৃদ্ধি করে। আর এতে করে শিশুর শব্দ ভাণ্ডার পূর্ণ হয়, ভাষা হয় সমৃদ্ধ এবং আবেগ হয় সুতীক্ষ্ম।
শিশুর সাথে নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার না করা
বেশিরভাগ সময়ই আমরা শিশুদের সাথে এটা বলো না, ওটা করো না, চুপ করো, তুমি বেশি কথা বলো বা বেশি বোঝো, বড়দের মাঝে কথা বলতে এসো না ইত্যাদি বাক্য ব্যবহার করে থাকি। আমরা মনে করি শিশুরা কেন বেশি কথা বলবে? তারা থাকবে চুপচাপ শান্ত-শিষ্ট, আমরা যা বলবো সেটা তারা মেনে চলবে। এইসব নেতিবাচক শব্দ তাদেরকে দমিয়ে রাখে। প্রশ্ন করার, জানার কৌতূহল কমে যায়, ভেতরে ভেতরে সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে এবং একধরনের ভীতি তৈরি হয়, সহজভাবে কিছু বলায় সে আর স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। যা তাকে একজন লাজুক প্রকৃতির মানুষে রুপান্তরিত করে।
শিশুকে অবোধ জ্ঞান না করা
আমরা মনে করি শিশুরা কিছুই বোঝে না। তাদের সামনে সব কথা বলা, সব ধরনের আচরণ করা যায়। অনেক সময় শিশুর সামনে পারিবারিক কলহের অনেক অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিরও তৈরি করে ফেলি, যা শিশুমনে ছাপ ফেলে।তার পরবর্তী জীবনে সেসব প্রয়োগের চেষ্টা করে।সে যদি পরিবারে সকলের এবং বাবা-মায়ের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক দেখে নিজের জীবনেও তাই শেখে।
শিশুর কথা মনোযোগ সহকারে শোনা
শিশু যখন কথা বলতে শেখে সে সর্বদাই তার প্রতি সকলের মনোযোগ প্রত্যাশা করে। সে চায় সবাই তাকে শুনুক, তার কথা যত অর্থহীনই হোক, তাকে মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। তার সব রকম সুখ-দুঃখের, আশা-স্বপ্নের প্রত্যাশিত জবাবও তাকে দিতে হবে। শিশুকে না শুনলে সে আহত হয় এবং শিশুও আপনাকে শোনার প্রতি আন্তরিক হয় না।
শিশুর কল্পনাকে মিথ্যে না বলা
শিশুমন কল্পনার ডানায় পাখনা মেলে উড়ে বেড়ায়। নানাকিছু ভর করে থাকে সেই কল্পনার রাজ্যে। শিশুরা বানিয়ে বানিয়ে নানা গল্প করে। গল্পের চরিত্রগুলোকে তারা সত্যকথনের মতো উপস্থাপন করে। বাবা-মায়ের উচিৎ তার গল্পে সমর্থন জুগিয়ে যাওয়া, কোন অবাস্তব তথ্যকেও কখনো অস্বীকার না করা বরং সায় দেওয়া; তাই নাকি? এমন হয়েছিল বুঝি? তুমি তখন কী করলে? এমন প্রশ্ন করা, এতে শিশুর বলার দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং তার সৃজনশীলতার চর্চা হয়।
শিশুকে শাস্তি না দিয়ে ভুল শুধরাতে সহায়তা করা
শিশুর কোনো কাজে কথায় কিংবা আচরণে ভুল হলে সে কারণে তাকে বকাঝকা না করে আলাদাভাবে একাকী তার ভুলগুলি সম্পর্কে এমন কৌশলে বলা উচিৎ, যাতে শিশু অপমানিত বোধ না করে। শিশু একজন পরিপূর্ণ মানুষ, এটা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। তাই পরিস্থিতির ব্যাখ্যায় শিশুকে ফলাফলের ভূমিকায় রেখে তার কোর্টেই বল দিয়ে তাকে বোঝানোই উত্তম পন্থা।
শিশুকে ছোট ছোট বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে উৎসাহিত করা
শিশুর নিজের ক্ষেত্রে; কখন কী খাবে, কোন খেলনা কিনবে, কোথায় যেতে কোন কাপড় পরবে কিম্বা কোথায় বেড়ানো তার বেশি পছন্দের সেসব বিষয়ে তার মতামত গ্রহণ করা।শিশু মতামত দিতে পেরে গর্ব অনুভব করে।সে বড় হচ্ছে সেই বোধ কাজ করে তার ভেতরে।যা তাকে আত্মমর্যাদা এনে দেয় এবং আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়।
শিশুর কাছে ভুল স্বীকার করা
বাবা-মা হিসেবে আমাদের আচরণেও কখনো সখনো ভুল ভ্রান্তি হয়। শিশুর চোখে সেই ভুল ধরা পড়লে তৎক্ষণাতই শিশুর কাছে শিশুর মতন সরলতায় ভুল স্বীকার করে নেওয়া উচিৎ, এবং এই ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে না মর্মে প্রতিশ্রুতিও দেওয়া উচিৎ। এতে লজ্জার কিছু নেই। এতে ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা বা অনুশোচনা বোধ করার শিক্ষাটা পায় শিশুরা এবং পরবর্তী জীবনে সেটি চর্চায় রাখে।
শিশুর সকল কাজের প্রশংসা করা
শিশুর ভালো কাজ ও ভালো আচরণের জন্য সবসময় প্রশংসা করা, যাতে সে দ্বিগুণ উৎসাহে কাজে মনোযোগী হয়, উৎফুল্ল থাকে তার মন। মনে রাখা দরকার, আনন্দঘন পরিবেশে শিশুরা অনেক বেশি শেখে।
নিজের ও পরিবারের ছোট ছোট কাজে যুক্ত করা
নিজের এবং পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল করে তোলার জন্য শিশু তার স্কুল ব্যাগ, বইপত্র, টিফিন বক্স এবং নিজের পরিধেয় কাপড় চোপড় গুছিয়ে রাখবে, ধীরে ধীরে ঘর-গেরস্থালীর কাজেও যুক্ত হবে। এতে করে সে পরিবারের একজন সক্রিয় সদস্য হয়ে ওঠে এবং নিজের প্রতি আস্থাবান হয়।
শিশুকে কখনো মিথ্যে প্রতিশ্রুতি না দেওয়া
যেটি আমরা করবো না কিংবা করার মতোসামর্থ্য নেই, সেই বিষয়ে শিশুদেরকে কখনোই মিথ্যে প্রলোভন, মিথ্যে আশ্বাস দেওয়া উচিৎ নয়। কোনো আশ্বাস বা প্রতিশ্রুতি দিলে সেটি রক্ষা করা উচিৎ। শিশু একবার যদি বুঝতে পারে বাবা-মা তার সাথে মিথ্যে বলেছে, এটিতে সে চরমভাবে আহত হয়; সে দ্বিতীয়ভার কোনো কথায় আস্থা রাখতে পারে না এবং সে মনে করে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা কোন অপরাধ নয়, মিথ্যে বলাও জায়েজ। তাই খুব সচেতনভাবেই মজা করার জন্যও শিশুর সাথে মিথ্যে বলা উচিৎ নয়, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা উচিৎ নয়।
শিশুকে নিয়ে বেড়াতে যাওয়া
পারিবারিক পরিমণ্ডলের বাইরেও শিশুকে নিয়ে উম্মুক্ত প্রকৃতিতে বেশি বেশি বেড়ানো উচিৎ। সে যেমন তার সমবয়সী শিশুদের কাছ থেকে শেখে, তেমনই প্রকৃতি থেকেও অনেক বেশি শেখে। মহামতি রুশো বলেছেন, “শিশুকে প্রকৃতির হাতে ছেড়ে দাও, প্রকৃতিই শিশুর বড় শিক্ষক, কোনটি তার করণীয় আর কোনটি নয় সেটি শিশু প্রকৃতির কাছেই শিখবে।” শিশু প্রকৃতিতে মূর্ত বস্তু (real object) অবলোকন করে, এবং তা তার হৃদয় ক্যামেরায় ধারণ করে। এতে তার শিখন স্থায়ী হয়। যা আত্মবিশাস তৈরিতে সহায়ক।
আমরা যৌবনকে ভালবেসে সন্তান উৎপাদন করি,তাদের নিয়ে রচনা করি আমাদের সীমাহীন আনন্দের পৃথিবী। তাদের ওপর চাপিয়ে দেই পৃথিবীর ওজনসম বিশাল স্বপ্নের ভার। আমাদের এক জীবনের অপূরণীয় শখ-আহ্লাদ-বাসনা তাদের মধ্য দিয়েই পূরণ করতে চাই। আর এটি করতে গিয়ে তারা সত্যিকারের মানবিক বোধসম্পন্ন মানুষ হয়ে উঠছে কিনা সেদিকে আমাদের প্রায়শই খেয়াল থাকে না। কিন্তু আমরা এও চাই তারা সচ্চরিত্রবান, বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণ্ময় হোক, চেতনায় উদ্ভাসিত থাক স্বদেশ প্রেম, মানবতা বোধে উজ্জীবিত হোক তাদের কর্মময় জীবন!
তাই আমরাই পারি আমাদের সন্তানদের একটি সুন্দর শৈশব উপহার দিতে। সেই শৈশবের অবারিত দ্বার খুলে দেবে বিশ্বের দুয়ার, লাগবে প্রাণে চেতনার জোয়ার। আপন আলোয় উদ্ভাসিত হবে অন্তর; জাগ্রত হবে বোধ, আজকের শিশু হবে আগামীর বিশ্বমানব!
(তথ্যসূত্রঃ শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ-ইউনিসেফ, উইকিপিডিয়া ও ওয়েবসাইট-শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়)।
সঙ্গীতা ইয়াসমিন, টরন্টো, কানাডা