অনন্যা মুমু:
ঘটনা-১
এক বড়ভাই যখনই দেখা হয় লুইচ্চামি করার যতো কৌশল অাছে সব এপ্লাই করে।কয়েকদিন অাগে তার সাথে ফেবুতে এড হলাম।তার প্রোফাইলে ঢুকে দেখি যে বৌয়ের সাথে যুগল ছবি অাপ্লোড করতে তিনি বেশ পছন্দ করেন।এরপর থেকে শুরু হলো ইনবক্সে প্যানপ্যান তার বৌয়ের বিরুদ্ধে।কয়েকদিন রিপ্লাই দিয়েছিলাম তারপর বেশ কড়া করে দু’টো কথা শুনিয়ে ব্লক করে দিলাম।
ঘটনা-২
এক বান্ধবীকে তার বাবা প্রায় ১৫০০০০০ টাকা খরচ করে বিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে।ঐ টাকা যোগাড় করতে অাঙ্কেলের অনেক কষ্ট হলেও অাঙ্কেল যোগাড় করেছিলল কারন তার মেয়ে ঐ ছেলেকে বিয়ে করার জন্য প্রায় উন্মাদ হয়ে গিয়েছিল।এখন সেই মেয়েই দেখি ফেবুতে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে দিচ্ছে যাতে কোনো মেয়ের বাবার মেয়ের বিয়েতে এত টাকা খরচ না করে তবে পাশাপাশি তার ১৫০০০০০ টাকা দিয়ে কেনা জামাইকে তার মা-বাবা জামাই ষষ্টীতে কত রকমের খাবার দিয়ে সমাদর করেছে সেই ছবিও অাপ্লোড করতে ভুল হয় না।
ঘটনা-৩
এক অনলাইন সেলিব্রেটি নারীমুক্তি, নারীস্বাধীনতা নিয়ে কথা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলে। সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্যবশত ঐ সেলিব্রেটির পরিবারের সাথে অামার ঘনিষ্টতা হওয়ার পর জানতে পারলাম, তার কাছে অাসলে নারী মানে অাজীবনের জন্য “বিয়ে করা গোলাম”। নারী বলতে সেই ভদ্রলোক বুঝে সংসার, চাকরি, শ্বশুর-শাশুড়ি সবকিছু মুখ বুঁজে সামলাবে, তবে দু’বেলা ভাত ছাড়া অার অন্য কিছু চাওয়া-পাওয়া থাকা যাবে না।
ঘটনা-৪
একজন মহিলা দিনে কমপক্ষে একটা স্ট্যাটাস দেয় তার বর্তমান স্বামীকে নিয়ে। অথচ মাত্র তিন বছর অাগে পাঁচ বছরের ছেলে এবং স্বামীকে রেখে পালিয়ে বিয়ে করেছে তার বর্তমান স্বামীকে।
এই পৃথিবীর এখন সবচেয়ে ভয়ানক বস্তুু হলো সোশ্যাল মিডিয়া। এইসব ভণ্ডামি দেখে অামরা খুব সহজেই কোনো মানুষ সম্পর্কে বা তার পরিবার সম্পর্কে পজিটিভ মনোভাব পোষণ করে তাদের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছি।কিন্তু কিছুদিন পরে যখন এই ভণ্ডগুলোর অাসল অবস্হা প্রকাশ পায় কেবল মুখ হা করে অবাক হওয়া ছাড়া অার কোনো উপায় থাকে না।