উইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক: মিশরের রাজধানী কায়রোতে মুরসি সমর্থকদের উপর হামলায় কমপক্ষে ১০০ জন নিহত হয়েছে।
বিবিসি অনলাইনের এক খবরে বলা হয়েছে, রাব্বা আল আদাবিয়া মসজিদের আশেপাশে এখনো চলছে ব্যাপক সংঘাত। সংবাদমাধ্যম কর্মীরা সেখানে রাস্তায় রক্ত দেখতে পায় বলেও খবরে বলা হয়েছে।
আন্দোলনকারীদের কাছাকাছি থাকা একটি ফিল্ড হাসপাতালের উদ্ধৃতি দিয়ে খবরে বলা হয়, একশ জন নিহত ছাড়াও প্রায় এক হাজার আন্দোলনকারী গুরুতর আহত হয়েছে।
এদিকে দেশটির সেনাপ্রধান মুরসির সমর্থকদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামার জন্য ডাক দিলে গত একদিনে উভয় পক্ষের লাখ লাখ লোক রাস্তায় জড়ো হয়।
হাজার হাজার লোক তাহরির স্কয়ারে মুরসিবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। সেখানে তারা সেনাদের সমর্থন পাচ্ছে বলেও খবরে জানা যায়।
কায়রো ছাড়াও সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেকান্দ্রিয়া সহ মেডিটেরিয়ান সিটি এবং আরো অনেক স্থানে ব্যাপক সংঘাতের খবর পাওয়া গেছে। এসব স্থানে কমপক্ষে ৫ জন নিহত ও অন্তত ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
মুসলিম ব্রাদারহুডের মুখপাত্র জেহাদ আল হাদ্দাদ জানান, ‘তারা(সেনাবাহিনী) আহত বা ভয় দেখানোর জন্য গুলি চালাচ্ছেনা। বরং তারা হত্যা করার জন্য গুলি চালাচ্ছে।’
এদিকে শুক্রবারের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি সমাবেশের আগে মুরসিকে হামাসের সাথে সম্পৃক্ততার সন্দেহে ১৫ দিনের জিজ্ঞাসাবাদে নেয়া হয়। এ সম্পর্কিত এক খবরে বলা হয়, এমন ঘটনা প্রমাণিত হলে মুরসিকে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত করা হতে পারে।
তবে মুরসিকে মুক্তি দিতে জাতিসংঘ সহ পশ্চিমা চাপ অব্যহত রয়েছে। জাতিসংঘ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ অনেক দেশ ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টকে মুক্তি দেবার আহ্বান জানিয়েছে।