পিংকি মাইতি:
কারো ছিপে পনেরো সের-ই রুই
আর কেউবা আস্ত ছিপটাকেই খোয়া’ই!
‘কপালে পুরুষ হলে’ টোপ গিলবে-পনের সের ওজনের রুই, নয়তো ছিপ নিয়ে যাবে কোলা ব্যাঙে আর মাছ নিয়ে যাবে চিলে।
‘বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস’ আর শপিং কমপ্লেক্সের ট্রায়াল রুমে ঢুকে ট্রায়াল দেওয়ার মধ্যে কিন্তু খুব একটা তফাত নেই।
যদি আপনি সাহসী হন, ওসব বিয়ে-শাদির মাথায় গুলি মেরে, দুজনে-কূজনে, রাতে বা দিনে চাইলেই মর্জিমাফিক কোনোও রকম পূর্বশর্তাবলী ব্যতিরেকে অরগাজমের সুখ নিতে পারেন-আপকা অন্দর ভি খুশ্, অউর বান্দর ভি।
আর আপনি যদি আমার মতো ‘তোরে বিনা সুজন চিনি না-তোর সাথেতেই ঘর বাঁধবো, রইব দু’জনা’ টাইপ হয়ে থাকেন, তো আপনার কপালে কয়েক মণ দুঃখ আছে!
বেশিরভাগ পুরুষদের প্যান্টের জিপার খুলতে আর লাগাতে ঠিক যতটুকু সময় লাগে, তার এক দশমাংশ সময়ের মধ্যেই কিন্তু আপনার ওই সো কল্ড প্রেমিক পুরুষটি ওসব ‘কমিটমেন্ট-ভমিটমেন্টে’র মুখে দিব্যি নুড়ো জ্বেলে উল্টে আপনাকেই ‘ছিনাল, *শ্যা’ সাজিয়ে দিতে পারে।
সে যাক্ গে-টোপ কিন্তু আপনিও ফেলেছিলেন!
হ্যাঁ, কথাটা আমি আমার সুইট কিউট বোনুসোনা আর ‘ভাজা মাছটি উল্টে খেতে না জানা’ দি’ভাইদেরই বলছি।
প্রতিশ্রুতি ভঙ্গই হোক কিংবা প্রতারণা, এতে আপনারও ‘সহাস্য বদনে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে’র দায়টুকু তো কোনোভাবেই অস্বীকার করা যায় না।
এখন আপনি রুমাল কিংবা টিস্যু পেপারে চোখ-নাক মুছতে মুছতে পুরোনো কাসুন্দির হেঁচকি তুলতেই পারেন-“বিয়ে করবে কথা দিয়েছিল তো,তাই-“
আচ্ছা-গা থেকে পোষাক খোলার আগে আপনি এটা ভেবে দেখেছিলেন কি-বিয়ে করবে বলেছে, বিয়ে কিন্তু করেনি!
আর যদি ভবিষ্যতে বিয়ে করবে বলেও শতভাগ নিশ্চিত থেকে থাকেন, তাহলে বিয়ের পরেই বা নয় কেন?
নাকি আপনারও তর সয়নি!
ভাববেন না, ভিক্টিম ব্লেমিং করছি।
কিন্তু সকালে চায়ের কাপ হাতে রোজকার বাসি খবর পড়তে পড়তে সত্যিই আমি ক্লান্ত! বড্ড গা গুলোয়!
আজ মেদিনীপুরের রাঙামাটি, কাল নোয়াখালি, পরশু কোতবাজার, তরশু অমুক–“বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস”।
উফফ্! আপনাদের শিক্ষা হবে কবে?
যদি কিছু না মনে করেন-‘বিশ টাকা’র জ্ঞান আপনাদের ফ্রিতে দিই-
বলছি,
শেষমেশ ঝোলা যখন আপনাকেই বইতে হবে, আবেগের বেগে ভেসে যাওয়ার আগে এটা মাথায় রাখুন-ঝোলাটা খালি রাখবেন, নাকি ভর্তি!
নিজেকে ‘এঁটো শালপাতা’টা-তা না ভেবে বরং এটা ভাবুন-‘ফুচকা’ আপনিও খেয়ে ছিলেন।
মন দিয়ে যখন ফিরিয়ে নিতে পেরেছেন, শরীর তো সেখানে দশ মিনিটের ‘শাওয়ার কা মামলা’! জাস্ট ধুয়ে ফেলুন।
‘শরীরে মিলিবে শরীর, তর্কে বেগুন’।
আর আপনি যদি এও ভেবে থাকেন-শরীর পেতে, থুক্কু ফাঁদ পেতে ‘চাঁদ’ ধরবেন, তাহলে আমি নিজে আপনার জন্য বড়বাজারের ‘রুমেলা সম্ভার’ থেকে ফিফটি পার্সেন্ট ডিসকাউন্টে এক ডজন রুমাল পাঠিয়ে দেবো।
বলা যায় না-কখন কাজে লাগে!
ওই যে কথায় আছে না-“কপালে নেইকো ঘি, ঠক্ ঠকালে হবে কী!”