উইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক (২৫ জুলাই): সাংবাদিক পেটানোর মামলায় জামিন আবেদন খারিজ করে আদালতে পাঠানো হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ গোলাম মাওলা রনিকে।
পটুয়াখালীর এই সাংসদকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করার পর মহানগর হাকিম এস এম আশিকুর রহমান এই আদেশ দেন। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে বেলা পৌনে দুইটায় আদেশ দেন আদালত।
রনির জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে রনির আইনজীবীরা তাঁকে কারাগারে প্রথম শ্রেণীর বন্দীর মর্যাদা ও চিকিত্সার সুবিধা চেয়ে আবেদন করেন। আদালত এ আবেদন মঞ্জুর করে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। বেলা সোয়া দুইটার সময় আদালতের হাজতখানা থেকে রনিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
সাংবাদিক পেটানোর মামলায় বুধবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন রনি। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পটুয়াখালী-৩ আসনের এই সাংসদকে গ্রেপ্তার করে।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করার দায়িত্বে থাকা ইনডিপেনডেন্ট টিভির সাংবাদিক ইমতিয়াজ মমিন সনি ও ক্যামেরাম্যান মহসিন মুকুলকে বেধড়ক মারেন রনি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এ সময় ধারণকৃত এক ভিডিওতে দেখা যায়, সংসদ সদস্য রনি নিজেই প্রতিবেদক ও ক্যামেরাপার্সনের ওপর চড়াও হয়ে লাথি মারছেন। ঘটনার পর ইনডিপেনডেন্ট টিভির পক্ষ থেকে রনিকে আসামী করে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। এরপর রনির পক্ষ থেকে এক পাল্টা মামলায় দুই সংবাদিকসহ ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের অন্যতম মালিক ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানকেও আসামি করা হয়।
রোববার আত্মসমর্পন করে রনি জামিন নেন। কিন্তু পরবর্তিতে ফোনে হুমকি-ধমকি দেয়ার অভিযোগ এনে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ শাহবাগ থানায় একটি ডায়েরি করলে আদালত রনিকে গ্রেফতারের আদেশ দেয়। আদেশের দুই ঘণ্টার মাথায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে পটুয়াখালীর এই সাংসদকে গ্রেপ্তার করে।