আনিকা জিনাত:
ফেসবুকে পড়ছিলাম কয়দিন আগে.. আর এক আপুর কাহিনী। আজকে যখন নিজের সাথে হলো ভয়াবহতাটা টের পেলাম।। মেয়ে বলে আজ এত অনিরাপদ??
আজকে ভার্সিটি থেকে আসার সময় রামপুরা থেকে রাইদা বাসে উঠি আমি আর আমার ফ্রেন্ড বাসায় আসার জন্য। অন্য সব লোকাল বাস গুলো থেকে রাইদা একটু ভালো, সিটিং সার্ভিস যাকে বলে। যাই হোক বাসে উঠে বসি। প্রায় মুগদা আসার পর আমার পাসের লোকটা নেমে যায়। আমার দুই সিটে আমি একা। বাসের সিটটা একটু নড়াচড়া করতেছিলো। ব্রেক করলে সিটটা সামনে চলে যাচ্ছিলো… হতেই পারে পাবলিক বাস। পিঠের সিট আর বসার সিট এর জয়েন্ট দুইয়ের মাঝে ফাক হয়ে যাচ্ছিলো বারবার।। হঠাত মনে হলো ঐই ফাক
দিয়ে পিছের লোকটা হাত দেওয়ার চেষ্টা করছে। বুঝতে পেরে আমি পিছে লোকটার দিকে তাকায় দেখলাম.. বয়স – ৪৫+ হবে।
আমার তাকানো দেখে সে কিছুই বুঝলো না ভাব। আমি সরে পাশের সিটে যেয়ে বসলাম।
বাস থেকে নামার পর আমার ফ্রেন্ড বলতেছে তোর জামা ছিঁড়লো কেমনে?
তখন দেখি এ অবস্থা!! আমি তো থ!!
তখন বুঝলাম ঐ যে ঐ সময় মনে হইসিলো ঐ সময়ই তাইলে!! তারপর রিক্সায় আমার ভেবে পাইনা কি পাইলো এটা করে..কেনো করলো…
তারপর ভাবলাম পায়জামাটা দেখি তো, তখন হাত দিয়ে দেখি পায়জামাও।
এতোকিছু কখন কেমনে করলো।। আমি কিচ্ছু টের কেমনে পাইলাম না।।
হাত পা কাঁপা শুরু হয়ে গেসে তারপর..।।
লোকগুলো কত ভয়াবহ.. তারা এমন ব্লেড/কাঁচি নিয়ে ঘুরে?? তাদের এসব করে কী লাভ হয়? পায়জামা পর্যন্ত সে সুক্ষ্মভাবে বাসের মতো পাবলিক প্লেসে কেটে ফেললো? কতটা ট্রেনিং তারা পায় তাহলে?
এগুলা কী শুরু হইসে? মেয়ে বলে আজকে এতো কিছু কেন আমাদের সহ্য করতে হবে?
আজকে আমার করছে এমন প্রতিদিন কতজনের করে আল্লাহ জানে.. লজ্জা / ভয়ে মেয়েরা হয়তো কথা ও বলতে পারে না।।
আল্লাহ না করুক আজকে সেই ব্লেড দিয়ে শরীররে টান দিলেও আমার কাটার আগে করার কিছু ছিলো না।।
একটু যদি আমি বাসের মধ্যে টের পাইতাম স্যান্ডেলটা খুলে মারতাম।
সবাই একটু সাবধানে থাকবেন।।