প্রচণ্ড ডিপ্রেশনে বন্ধুত্বের হাতটা বাড়িয়ে দিন

দিবা খান:

ডিপ্রেশন! ডিপ্রেশন! ডিপ্রেশন!
কোথায় নেই এটা!
লোকেশন বললে বলতে হবে মানুষের মন।
তবে একটা মানুষের জীবনের যে কোন পিরিয়ডে হানা দিতে পারে ডিপ্রেশন।
এমন না যে সে বাচ্চা সে ডিপ্রেশড হবে কেন, বৃদ্ধবয়সে আবার কিসের ডিপ্রেশন! যে কোন বয়সে যে কারো হতে পারে ডিপ্রেশন।

আর যদি জীবনের কোন পিরিয়ডে ডিপ্রেশন একবার এসে যায়, তবে তা বারবার ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকে।
অনেকের ধারণা, হয়তো একাকী থাকলে মানুষ ডিপ্রেশড হয়ে যায়।

হ্যাঁ, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে মানুষ একাকী থাকলে ডিপ্রেশড হতে পারে।
তবে একাকী থাকার চেয়ে বেশি, নিজেকে একা মনে করাটাই অনেকের ক্ষেত্রে ডিপ্রেশনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
যে কোন ধরণের পারিবারিক কলহ-অশান্তি, দাম্পত্য জীবনে অসুখী, ব্যবসায়িক অসফলতা, আর্থিক অস্বচ্ছলতা, ভালোবাসা ঘটিত সমস্যা, যৌন নিপীড়ন, যে কোন ধরণের শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন, যে কোন সম্পর্কের টানাপোড়ন।

সর্বোপরি জীবনের যে কোন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডিপ্রেশন বাসা বাঁধতে পারে মনে।
এটা একটা মারাত্মক ধরণের আত্মঘাতি মানসিক সমস্যা। (এর মানে এই না যে, ডিপ্রেশনে থাকা মানুষগুলো পাগল)
একটা মানুষকে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দিতে পারে সবার অগোচরে।
গবেষণায় দেখা গেছে, আমেরিকার ২১% মহিলা এবং ১২% পুরুষরা তাদের জীবনে ডিপ্রশনের শিকার হোন।
আমাদের দেশেও এর সংখ্যা নেহাত কম নয়।
দ্যা ডেইলি অবজারভাব বিডি’র এর রিসার্চে দেখা গেছে এখন বাংলাদেশের প্রায় ৭৩.৬০ লাখ মানুষ ডিপ্রেশনে ভুগছে!
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে বুঝাই যায়, আমাদের তরুণ প্রজন্মের বিরাট এক অংশ প্রচন্ডভাবে এর শিকার।
আমি নিজেও তাদের একজন।
মানুষ ডিপ্রেশনে থাকলে স্বাভাবিক কিছু আচরণ পরিলক্ষিত হয়।

(এগুলা আমি নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে লেখার চেষ্টা করছি)
১. দুঃখের অনুভূতি। অবশ্যই এটা কোন সাধারণ দুঃখের অনুভূতি নয়। আই রিপিট এটা সাধারণ দুঃখের কোন অনুভূতি না।
এ এমন এক অনুভূতি ‘এক ফোঁটা জলের জন্য সাগরে ঝাপ’ টাইপ কিছু। হতাশা, বিষন্নতা, বিষাদগ্রস্ততা, নিজেকে অকর্মণ্য মনে করা, ছোট মনে করা এগুলো হল ডিপ্রশনের বন্ধুবান্ধব; এদের ছাড়া সে অসম্পূর্ণ।
আর ‘আত্মহরণ করার চিন্তা’ ডিপ্রেশনের ঘনিষ্ট আত্মীয়। যাকে প্রায়ই বাসাতে দাওয়াত করা হয়। এই আত্মীয় আবার সুযোগ পেলেই নরকে চিরস্থায়ী সফর করান।
তাছাড়া নিজেকে কষ্ট দেয়া, কান্নাকাটি করা; এগুলা ফ্রি, বাতাসের মত।

২. অতিরিক্ত রাগ। ডিপ্রশনে থাকলে হুটহাট রেগে যাওয়া, যে কোন ব্যাপারে অতিরিক্ত রিএক্ট করা, সাধারণ ব্যাপার।

৩. ধুমধারাক্কা মুড বদলে যাওয়া। মানে ডিপ্রেশনে থাকা মানুষ বেশি সময় একই মুডে থাকে না। অনেকেটা আমাদের দেশের বৈশাখী আবহাওয়ার মতো। এই প্রখর রোদ তো এই বজ্রপাতসহ শিলাবৃষ্টি।

৪.নেগেটিভ জিনিস তাড়াতাড়ি ক্যাচ করা। মানে নেগেটিভ ব্যাপারগুলো খুতিয়ে খুতিয়ে ধরে নিয়ে নিজেকে কষ্ট দেয়া। সেটা হোক নিজের বা অন্যের।
ধরেন নিজের কথাই বলি। কেউ হয়তো আমাকে বুদ্ধিমতী বলতে গিয়ে বলেছে “you are clever”
কিন্তু clever নামে চতুর। (যার অর্থ নেগেটিভ দাঁড়ায়)
এখানে কেন Intelligent শব্দ ব্যবহার না করে “clever” শব্দ ব্যবহার করলো! আমি কী আসলেই ক্লেভার! মানুষ কেন এমন ভাবে! কতশত চিন্তা!
মানে এই “clever” শব্দটাই হতে পারে আমার রাতের ঘুম হারাম করার একটা উপলক্ষ! এবং কষ্টদায়ক।

৫. অপরাধবোধ। যে কোন ব্যাপারে বা নিজ কৃতকর্মের জন্য অপরাধবোধটাও মাত্রাতিরিক্ত হয় তখন। আত্মদহন কুঁড়ে কুঁড়ে খায়।

৬. নিজের সীমারেখা বা দেয়াল তৈরী। ডিপ্রেশনে থাকা মানুষগুলো প্রতিনিয়ত তাদের সম্পর্কগুলোর মধ্যে নিজের অজান্তে দেয়াল তৈরী করে বসে।

৭. নিজেকে গুটিয়ে রাখা বা নিজেকে প্রকাশ না করা। ডিপ্রশনে থাকা মানুষগুলো নিজেকে আস্তে আস্তে গুটিয়ে নেয়। “আমি এ পৃথিবীর বা এ সমাজের যোগ্য না” টাইপ কিছু কথা প্রায়ই মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকে। তাছাড়া নিজের আবেগ-অনুভূতিগুলোর প্রকাশ করা যায় না সহজে। আসলে ডিপ্রেশনের কারণ প্রকাশের ভাষা বা ব্যাখ্যা করার মত অবস্থা সবার থাকে না।

৮. আগ্রহ হারানো। এক্ষেত্রে নিজের কাজের প্রতি বলেন বা সম্পর্কের প্রতিই বলেন মানুষ আগ্রহ হারাতে শুরু করে। নিজের ভালোলাগা গুলোও এক সময় ভালো লাগে না আর ডিপ্রেশনের কারণে। দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটা কাজেও অনীহা দেখা দেয়।
একটা সময় এর শেষ হয় জীবনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলার মাধ্যমে।

৯. অতিরিক্ত চিন্তাপ্রবণ হওয়া এবং প্রখর কল্পনাশক্তি: ডিপ্রশনে থাকবেন আর অতিরিক্ত চিন্তাপ্রবণ হবেন না তা হবেনা। যে কোন ব্যাপারে প্রয়োজনের অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা সাথে নিজের কল্পনাশক্তি দিয়ে সেটাকে মসলাযুক্ত করা সাধারণ হয়ে দাঁড়ায়। সর্বোপরি ডিপ্রশনের শুরু শেষে পরথে পরথে গেঁথে থাকে সেলফ হার্মিং।
.
এবার আসি ডিপ্রশন কাটিয়ে উঠার কিছু উপায়।
আবারো বলছি লেখাটা আমার নিজস্ব মতামত এবং নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে লিখছি মাত্র।
.
ডিপ্রশন কাটিয়ে উঠার প্রথম শর্তই হল নিজের সাথে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া।
আপনি নিজে থেকে যতক্ষন না চাইবেন ততক্ষন আপনি এটা কাটিয়ে উঠতে পারবেন না।
তাছাড়া একদিন দুইদিন পর হাল ছেড়ে দিলে হবে না।

এসময় সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রাখাটা খুবই জরুরী। আত্মহত্যার করার ইচ্ছা দেখা দিবে বার বার।
কিন্তু আপনাকে নিজের সাথে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে যে যত যাই হোক আমি আত্মহত্যা করব না।
“আমি লড়তে রাজী, স্বেচ্ছায় মরতে নয়।”
এটুকু নিজের মধ্যে গেঁথে নিলে আপনি মহাপাপ থেকে বেঁচে যাবেন।
এর সাথে প্রাত্যহিক প্রার্থনা চালিয়ে যেতে হবে। এতে মনে প্রশান্তি আসবে কিছুটা হলেও।
.
এর পরের ধাপ হবে সেল্ফ এ্যানালাইসিস।
মানে আত্মঅনুসন্ধান।
এখন আপনাকে নিজের প্রত্যেকটা আচরণ এবং অনুভূতিকে নজরে আনতে হয়।
প্রতিটা খারাপ লাগা বা অস্বস্তিজনক অনুভূতিকে নিজে নিজে বিচার বিশ্লেষণ করতে হবে।
সেলফ টক করাটা ভীষণ জরুরি।

নিজেকে প্রশ্ন করুন; আমি কেন এখানে এ আচরণ করলাম, আমি কেন এমন অনুভব করছি! নিজেকে বুঝতে শিখুন।
ডিপ্রেশনে থাকলে রাতজাগা স্বাভাবিক এবং এই রাতজাগাটাকে কষ্টঅনুভূতিতে পরিপূর্ণ না করে এ কাজে লাগাতে পারেন।
এবার বেছে নেয়া সম্ভাব্য কারনগুলো থেকে প্রাধান্য অনুসারে একটা সারিতে সাজান।
ভেবে দেখুন কারণগুলো কতটুকু যথার্থ নিজেকে কষ্ট দেয়ার জন্য!
জীবনে বাজে কিছু অতীত আছে? পারিবারিক অশান্তি? সম্পর্কে টানাপোড়ন? প্রিয়জন হারিয়েছেন? অসফলতা?
যাই আছে থাকুক, সেটার জন্য আপনার জীবন থেমে থাকেনি, থামবেনা। যা গত হয়েছে তা সামনে এনে নিজেকে কষ্ট দিয়ে আপনি কী/কতটুকু লাভবান হচ্ছেন ভেবে দেখেন।
নিজের ভুলগুলো ধরা পড়েছে?
তাহলে সে ভুলগুলো শুধরানো বা দ্বিতীয়বার যেন না করেন সেটা নিশ্চিত করতে হবে আপনার নিজেকেই।
অন্যের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটার প্রতিশোধ নেয়ার ইচ্ছাপোষন না করে সৃষ্টিকর্তার উপর ছেড়ে দিন। উনি ন্যায়বিচারক।
তাছাড়া সেলফ কন্টোল করাটা শেখা খুব জরুরী। নিজের আচরণ এবং অনুভূতিকে লাগাম ছাড়া করেছেন তো মরেছেন। এরা বারবার পায়তারা করবে লাগামহীন হওয়ার।
লাগাম টেনে ধরা সহজ না কিন্তু অসাধ্য কিছু না। বারবার চেষ্টা করলে একসময় আওতায় নিয়ে আসতে পারবেন।
উপরোক্ত কাজগুলো আপনার আত্মশক্তি এবং মনোবল বৃদ্ধি করবে।
পরবর্তীতে জীবনের প্রতি ধাপে এটা কাজে দিবে।
আপনি যখন মনে করবেন যে আপনার সমস্যাগুলো নিয়ে পরিবার বা বন্ধুবান্ধবের সাথে শেয়ার করা দরকার তখন শেয়ার করবেন।
মনে রাখতে হবে, মানুষ অনেক জাজমেন্টাল। আপনার ডিপ্রশনের কারণগুলো নিয়ে সমালোচনা আপনি নিতে পারবেন কী না! না পারলে থাক, আপনার এখনও অন্যের সাথে শেয়ার করার সময় আসেনি। এতে আপনার জটিলতা আরোও বাড়বে বৈকি কমবে না। আগে নিজেকে জিতুন পরে অন্যদের দেখা যাবে।
.
এরপর আপনাকে ভবিষ্যতে ফোঁকাস করতে হবে কারণ ভবিষৎত গড়ায় সময় এখন, যা আপনি নষ্ট করে দিচ্ছেন। এটা নিজের সাথে অন্যায়।
মনে রাখবেন, নিজের সাথে নিজে অন্যায় করতে নেই। আপনি নিজের সাথে অন্যায় করলে অন্যরাও সুযোগ পেয়ে বসবে।
এ সুযোগ দিতে নেই।
পরবর্তীতে আরো কয়েকটা ধাপে বলব কিভাবে নিজের চেষ্টায় ডিপ্রেশন থেকে ৯০% বেরিয়ে আসা যায়।

ডিপ্রশন কাটিয়ে উঠার প্রথম ধাপ বলেছিলাম আত্মঅনুসন্ধান।
তার পরের ধাপ হল আত্মশুদ্ধি।
প্রথম ধাপে আপনি জানলেন নিজের দোষ-ত্রুটি বা কোন ক্ষেত্রে আপনার সম্ভাব্য করণীয় কি হতে পারে।
পরের ধাপে এগুলোর চর্চা শুরু করতে হবে।
জীবনের জন্য, বেঁচে থাকার জন্য কয়েকটা নীতি নিজের মধ্যে তৈরী করে নিতে পারেন।
যেমন অতীতের ভুলগুলো শোধরানোর চেষ্টা, শোধরানো না গেলে দ্বিতীয়বার সে ভুল না করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া। যেটা আগেও বলেছি।
সাথে সাথে ন্যায়-নীতির আর সত্যের পথে নিজেকে অটল রাখা শিখতে হবে। যাতে পর্রবর্তীতে গিলটিনেস আপনাকে দহন না করে।
কারো ভালো করতে না পারলে প্রতিহিংসা বা প্রতিশোধ পরায়ণ হয়েও কারো ক্ষতি করবেন না কখনও।
এতে আপনার জীবনের হিসাব সহজ হবে।
তারপর নিজের ভালো লাগার মধ্য থেকে ভালো কাজগুলো খুঁজে নিয়ে পছন্দমত চর্চা করুন।
এতে প্রতিকূলতা আসতে পারে: এমনকি অনেক প্রতিকূলতা থাকেও। এসব প্রতিহত করা বা এড়িয়ে গিয়ে হলেও নিজের মনকে প্রশান্তি দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। ইচ্ছাশক্তি হারালে চলবে না।
যেমন: আমার সোসাল ওয়ার্ক পছন্দ। এতে আমি শান্তি পাই, আমার একমাত্র আত্মতৃপ্তির জায়গা।
বাঁধা প্রতিকূলতার আসলেও আমি থেমে থাকি না।
মানুষকে কিছু না কিছু করে বেঁচে থাকতে হয়।
আপনারকে এমন কিছু বেঁচে নিতে হবে যাতে আর কিছু না হোক আত্মতৃপ্তিটা পান।
পাশাপাশি পছন্দের মানুষ বা কাছের মানুষগুলোর সাথে সময় ব্যয় করুন। এতে করে অহেতুক চিন্তা হতাশা থেকে কিছুটা সময় হলেও দূরে থাকা হবে।
ডিপ্রশন এমন একটা ব্যাধি যে কোন ফাঁকপোকড়েই আপনাকে নিয়ে যাবে গভীর চিন্তা বা হতাশার শহরে।
তাই আপনাকে এ ডাকে সাড়া না নিয়ে অন্য কোন কাজ অন্য কিছুতে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে প্রতিনিয়ত।
মনে রাখা ভালো এগুলোর কিছুই অভার নাইট হবে না। আস্তে আস্তে একটা একটা করে নিজের মধ্যে সবগুলো ব্যাপার ধারণ করুন আপনার ভালো থাকার জন্য।

আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল পড়াশোনা।
অনেক তরুণই ডিপ্রেশনে দীর্ঘদিন থাকলে পড়াশোনা ছেড়ে দেন। কেউ কেউ চাকরি ছেড়ে দেন।
পরবর্তীতে দেখা যায় এগুলা জীবনের সবচেয়ে ভুল সিদ্ধান্তের মধ্যে একটি হয়ে দাঁড়ায়।
ভুলেও পড়াশোনা বা চাকরি ছাড়ার চিন্তা করবেন না।
এতে আপনার হতাশা বাড়বে বৈকি কমবে না।
তাই রেজাল্ট ভালো খারাপ যাই হোক চেষ্টা করতে হবে পড়াশোনা চালু রাখার।
এতে করে আপনি কিছুটা ব্যস্ত থাকবেন এবং এক্টিভ থাকবেন।
তাছাড়া ইউটিউব-এ ডিপ্রশন কাটানোর জন্য নানা ধরনের মোটিভেশনাল ভিডিও আছে সেগুলো শুনতে পারেন কাজে দিবে।
অনেক ধরণের মেডিটেশনের ভিডিও আছে যা থেকে উপকৃত হতে পারবেন।
আর যদি উপরোক্ত সবকিছু চেষ্টা করার পর আপনার মনে হয় আপনার কোন কাজে আসছে না।
কোন ধরনের উন্নতি হচ্ছে না।
তাহলে আপনি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দেখাতে পারেন।
সর্বপ্রথম এবং সর্বশেষ ভরসা হলেন সৃষ্টিকর্তা।
তিনি যা করেন আমাদের মঙ্গলের জন্য করেন।
খারাপ অবস্থা আমাদের জন্য পরিক্ষামাত্র।

আর এ অবস্থা থেকে উত্তোলনের চেষ্টা আমাদেরকেই করতে হবে এটা তারই নির্দেশ।
কারো ডিপ্রশনকে ছোট করে দেখবেন না।

এ ব্যাপারে আপনার ঠাট্টাবিদ্রুপ বা অবহেলা অবজ্ঞা হতে পারে একটি বিশাল ক্ষতির কারণ।
মাঝে মাঝে ডিপ্রশনে থাকা মানুষগুলো একটু সহযোগিতা বা সহমর্মিতা পাওয়ার জন্য আকুল হয়ে উঠে।

সাহায্য করুন, সহযোগিতা করুন, বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিন।
আপনার এটুকুতে যদি কেউ ভালো থাকে তাহলে আপনার মনেও শান্তি আসবে।
ভালো থাকুন সবাই।

শেয়ার করুন:
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.