ধর্ষণের মহামারি বনাম ধর্ষকের লিঙ্গ কর্তন বিতর্ক

উম্মে হাবিবা:

Moon Taslima Sheikh আপা দেশে আশংকাজনক হারে চলতে থাকা ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন এর ঘটনার প্রেক্ষিতে লিঙ্গ কর্তন সংক্রান্ত একটা স্যাটায়ারধর্মী লেখা লিখেছিলেন। সেই লেখার লিঙ্ক শেয়ার করেছিলাম। একজন আইন জানা বিজ্ঞ মানুষ (পুরুষ মানুষ) প্রতিবাদ করেছেন সেই লেখার এই বলে যে – ” its a filthy writing …… An offence is sattired in a worst manner which may give a wrong message. …… this sorts of write up is vulgar( personal opinion).
What would be the impact of that write-up over a girl!!!
Nothing?? What would be the message??? Nothing.”

আমার উত্তর:
প্রথমত, এটা একটা স্যাটায়ার, একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে লেখা। কী সেই পরিস্থিতি? সেটা হল প্রায় মহামারী আকারে মেয়েদের যৌন হয়রানি, ধর্ষণের শিকার হবার ঘটনা প্রতিকারহীন প্রতিবাদহীন ঘটে চলেছে। কতজন পুরুষ ভাই, বন্ধু, স্বজনেরা রাস্তায় নেমে জোর গলায় প্রতিবাদ করে বলছেন এটা চলতে পারে না, কিংবা ‘আমরা পুরুষরা মানুষ, ঐ সব ধর্ষকামী কাপুরুষদের দলে আমরা নই, আমরা ধর্ষকামীদের বিচার চাই…”; কতজনা আমরা লিখছি যে বিচারহীন এই ক্রমবর্ধমান অপকর্ম চলতে দেয়ার মানে হলো ‘আইনের শাসন’ নেই! How many time you/we are protesting those things? Where is that mass protest? Why WE all are not up-roaring saying that these should be STOPPED because these are crimes, because if rapes and sexual harassment continues to occur in such mass scale without any justice would mean that there is no rule of law?

যখন প্রতিকারহীন বিচারহীন এমন ঘটনা ঘটে যেতে থাকবে, তখন তার নানা রকম প্রতিক্রিয়া হবে। কারণ, সব ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া আছে। প্রতিক্রিয়ারও প্রতিক্রিয়া আছে। — কোনো কোনো মেয়ে ব্লেড হাতে নেবে লিঙ্গ কর্তনের জন্য, কিংবা পেপার স্প্রে নেবে বাঁচার জন্য। কেউ বাঁচবে, কেউ কেউ তারপরও বাঁচবে না। আবার অপকর্মকারীদের মধ্যে সুযোগ সন্ধানী কেউ কেউ ওঁত পেতে থাকবে, মিথ্যেমিথ্যি একজনকে ধরিয়ে দিয়ে বলবে – ‘ও ধর্ষকামী, ওর ওটা কেটে নাও’, অথবা হয়তো বা কেটেই ফেলবে; যেমন অহরহ মিথ্যে ছিনতাইকারী হিসেবে ধরিয়ে দিয়ে নিরীহ মানুষকে মার খাওয়ানো হয় বা মেরে ফেলা হয়, যখন আসল ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়।

এই যে এইসব স্যাটায়ার লেখা হচ্ছে, লেখা হচ্ছে রাগে দুঃখে। এটাও একটা প্রতিক্রিয়া। You cannot stop this reaction UNLESS You/ We stand up to raise our voice to stop these atrocities! — যদি আমাকে প্রশ্ন করা হয় যে আমি এমন কোন ‘কর্তন’ কে সমর্থন করি কিনা,- আমার উত্তর হবে ‘অবশ্যই না’! কারণ তা’ আইনের শাসনের বিপরীত।

কিন্তু এই যে ‘কর্তনে’র কথা উঠছে, বা ঘটতে শুরু করেছে, – তা’ ঘটছে কোন আইনানুগ ঘটনার প্রেক্ষিতে? ঘটেছে বা সে ঘটনার কথা উঠতে শুরু করেছে একটা ভয়াবহ ক্রমাগত চলতে থাকা অপরাধের ঘটনার প্রেক্ষিতে, তাইনা? কী সেই অপরাধ? সেটা হলো ধর্ষণ আর যৌন নির্যাতন। এই সব অপরাধ চলতে থাকার সময়ে শোরগোল তুলে সবাই বলছে না কেন আইনের শাসন গেল!

এখন ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়ায় যখন ‘কর্তনে’র কথা অবশ্যম্ভাবীভাবে উঠতে শুরু করেছে, তখন কী’মেসেজ’ যাচ্ছে, তা নিয়ে আমাদের মেলা মাথা ব্যথা! মূল ‘ক্রিয়া’ ঘটে যাচ্ছে যখন যথেচ্ছভাবে, তখন কী মেসেজ যাচ্ছে আমাদের ছেলেদের কাছে, বলতে পারেন?
তখন মেসেজ যাচ্ছে – ‘ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন ইত্যাদি তেমন বড় ব্যাপার না, বিচার-টিচার ছাড়াই পার পেয়ে যেতে পারো’,- তাই নয় কি!

A girl in such situation who moved with a blade probably never had a chance to read any such article; she just did it as she had no choice. THEN WHAT IS THE IMPACT OF SUCH WRITING?– ANSWER is- Its relevant for us to know and acknowledge that we are living in anarchy! It is to make us aware that Absence of RULE of LAW will bring more ANARCHY, will bring more such situations of no rule of law!

শেয়ার করুন:
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.