উইমেন চ্যাপ্টার:
দাভোলকার, পানসারে, কালবুর্গির পর এবার গৌরী লঙ্কেশ। বর্বর ধর্মপিশাচ হিন্দুত্ববাদীদের হাতে নারী সাংবাদিক নিহত হলেন এবার। উগ্র হিন্দু মৌলবাদের বিরুদ্ধে তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে সচেতন করছিলেন পত্র-পত্রিকায় তাঁর সাহসী লেখনির মাধ্যমে।
এ নির্মম ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জানাই। আর ধিক্কার জানাচ্ছি ভারতের সেই সব “হিন্দু নাস্তিক” ও “হিন্দু সেক্যুলার”দের প্রতি, যারা হৃদয়ে হিন্দুত্ববাদ আঁকড়ে রেখে ভারতকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলে দাবী করেন, আর ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরে মন্দিরের রাজনীতি ও মূর্তি পূজাকে নিজেদের সংস্কৃতি বলে প্রচার করেন।
বিশিষ্ট সাহসী ও নারীবাদী এই লেখিকা ভারতীয় সমাজের কুসংস্কার, হিন্দুত্ববাদ ও কুপ্রথার বিরুদ্ধে লেখালেখি করে সংবাদপত্রে ও ব্লগে আলোচিত হয়েছেন। প্রথাবিরোধী লেখালেখির কারণে এর আগেও হিন্দু মৌলবাদীদের পক্ষ থেকে তাঁকে বহুবার প্রাণ নাশের হুমকী দেওয়া হয়েছিলো এবং হত্যার চেষ্টাও করা হয়েছিলো। তবুও তাঁকে তাঁর লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করা যায় নি।
বিবিসি জানিয়েছে, ভারতের এক সিনিয়র সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশকে মঙ্গলবার রাতে ব্যাঙ্গালোরে তাঁর বাড়ির সামনেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
গৌরী লঙ্কেশ ঘোষিতভাবেই হিন্দু দক্ষিণপন্থীদের সমালোচক ছিলেন তাঁর লেখার মাধ্যমে।
ব্যাঙ্গালোরের পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার বিবিসিকে জানিয়েছেন, “মঙ্গলবার রাতে যখন তিনি বাড়ি ফিরছিলেন, তখন বাড়ির ঠিক সামনেই গুলি চালানো হয়। ঠিক কী কারণে এই হামলা হয়েছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।”
এক পুলিশ আধিকারিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, “গৌরী যখন বাড়ির দরজা খুলছিলেন, ঠিক সেই সময়েই বুকে সরাসরি দুটো আর মাথায় একটা গুলি করা হয়।”
চল্লিশ বছর আগে তাঁর বাবা যে ‘লঙ্কেশ পত্রিকে’ শুরু করেছিলেন, মিজ লঙ্কেশ সেটির সম্পাদক ছিলেন।