নারীবাদের শ্রেণি চরিত্র এবং শহুরে নারীবাদ

দিলশানা পারুল:

রাজপথের যে নারী আর সংসারের ঘেরাটোপে আটকে পড়া যে নারী, সেই দুইজনের নারীবাদের সংজ্ঞা, নারীবাদ বিষয়ে বোঝাপড়া, নারীবাদের ডাইমেনশন সমস্ত কিছু ভিন্ন! বইয়ে পড়া যে নারীবাদ, তত্ত্বে পাওয়া যে নারীবাদ, তার সাথে অভিজ্ঞতায় পাওয়া যে নারীবাদ, তার পার্থক্য আছে বৈকি! এই পার্থক্যটুকুর নাম কনটেকসচুয়ালাইজেশন মানে পরিপ্রেক্ষিত।

প্রেক্ষিত এবং ব্যক্তি নারীর অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে ব্যক্তি নারীর নারীবাদী বক্তব্য আসলে কোন শ্রেণির নারীদের প্রতিনিধিত্ব করবে? যেই নারী তুলনামূলকভাবে মুক্ত নারী, চাইলেই রাজপথ কাঁপাতে পারে, চাইলেই শ্রমিকের পক্ষে দাঁড়াতে পারে, চাইলেই রাষ্ট্রীয় দাবির সাথে একাত্ম হয়ে জোরে আওয়াজ তুলতে পারে, সেই নারী আসলে অনেক প্রিভিলেজড নারী! তিনি অনেক দূর পর্যন্ত ভাবতে পারেন, তার দূরকে কাছে থেকে দেখার একটা দৃষ্টিভঙ্গি জন্মায়। তিনি সাধারণ আর দশটা নারীর চেয়ে অনেক স্বাধীনতা ভোগ করার প্রিভিলেজ পান!

তবে এইটাও ঠিক এই প্রিভিলেজ সেই ব্যক্তি নারীকে অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়েই অর্জন করতে হয়েছে! রাজনৈতিক ওরিয়েনটেশন নারীবাদকে বোঝার শক্তি জোগায়, যে কারণে রাজপথে হাঁটা নারীরা অনেক সহজেই সামগ্রিক নারী সমাজের দাবি তুলতে পারে, সামগ্রিক নারী সমাজের দাবির সাথে একাত্ম হতে পারে!

আমার কাছে মনে হয় “বিবাহিত এবং মাতৃত্ব” শুধুমাত্র এই দুটি শব্দ নারীবাদকে বোঝার দৃষ্টিভঙ্গিকে সম্পূর্ণ্ পাল্টে দেয়। কিছু যায় আসে না কতগুলো নারীবাদী তত্ত্ব আমি আওড়েছি, কিছু যায় আসে না কত নারীর পক্ষে কত শত মিছিল আমি করেছি, বেডরুমে অনিতা (প্রতীকী নাম) নামক মেয়েটি কী ধরনের হিউমিলিয়েশনের মধ্য দিয়ে প্রতিনিয়ত যায়, এইটা অনিতার সাথে এক বিছানায় এক রাতে অদৃশ্য সহবাস করা ছাড়া বোঝার আর কোনো উপায় নাই!

আমার মায়ের কোনো রাজনৈতিক ওরিয়েনটেশন ছিলো না, আমার অল্প শিক্ষিত মা কোনদিন তসলিমা নাসরিন পড়েও দেখেননি! কিন্তু আমার কাছে তিনি শক্ত, পোক্ত নারীবাদী! তার সংসার জীবনের ব্রত ছিলো পাঁচ মেয়েকে শিক্ষিত করে নিজের পায়ে দাঁড় করানো। উনি আমাদের পাঁচ বোনকে দিয়ে প্রতিজ্ঞা করিয়েছিলেন মাস্টার্স্ করার আগে কেউ যেন বিয়ে না করি! কেন? সংসারের ঘেরাটোপে উনার প্রতিদিনের যে লাঞ্ছনা, গঞ্জনা, সেইটা উনাকে শিখিয়েছে মেয়েদের শক্ত পায়ে দাঁড়াতে শেখাতে হবে।

একজন গার্মেন্টস এর মালিকের স্ত্রী তার নির্যাতনের কথা আমার সাথে শেয়ার করছিলেন, আমার একজন এনজিও সহকর্মী ছিলো, যার ম্যানেজার পদে চাকরি করা স্বামী লাত্থি দিয়ে তাকে বিছানা থকে ফেলে দিয়ে কোমর ভেঙে ফেলেছিলো, আমার ঘরের যে সহকর্মী্ মেয়েটি ছিলো প্রায় প্রতিদিনই স্বামীর মার খেয়ে ঠোঁট কেটে কাজে আসতো। এই তিনজনের বিত্ত অবস্থার পার্থক্য থাকলেও শোবার ঘরের দরজা ব্নধ অবস্থায় আসলে কোনো পার্থক্য আছে কি? যে মধ্যবিত্ত ঘরের বউ, কিংবা উচ্চবিত্ত ঘরের সুন্দরী গ্ল্যামারাস গৃহিনী অথবা গার্মেন্টসে কাজ করা বিবাহিত মেয়েটি প্রতিদিন স্বামীর হাতে মার খায়, বিত্ত নির্বিশেষে এই তিনজনের কাছেই নারী অধিকারের সংজ্ঞা এক! একটা পয়েন্টে এসে এই তিন নির্যাতিতা নারীই ভাবেন, নারী মুক্তি মানে স্বামীর হাতের মার খাওয়া থেকে মুক্তি পাওয়া।

মাতৃত্ব শব্দটা যত মধুরই হোক মাতৃত্বের চর্চা্ বড় কঠিন! প্রতিটি মা হচ্ছেন শর্ত্হীন সার্ভিস প্রোভাইডার। দক্ষিণ এশিয়ার মায়েদের এই দায়িত্ব থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মুক্তি নাই! ওইজন্য শুধুমাত্র মাতৃত্বের দায় থেকে, সেন্স অফ রেসপনসিবিলিটি থেকে একজন মায়ের নারী হিসেবে যে বোধদয় ঘটে, মাতৃত্বের কার্য্ পন্থার মধ্য দিয়ে ব্যক্তি নারী তার যে এক্সপ্লয়টেশন আবিষ্কার করতে পারে, সেইটা আর অন্য কোনো ভাবে সম্ভব না।

সমাজ আমাকে ডাইনী হিসেবে আখ্যায়িত করবে, কারণ আমি মাতৃত্বের শর্ত্হীন রোল নিয়ে প্রশ্ন করছি। সমাজ ওইভাবেই পুরো বিষয়টাকে সাজিয়ে গুছিয়ে আমাদের সামনে এতো মহিমান্বিতভাবে হাজির করে, যেন মা বিষয়টাই হলো স্বর্গীয়। মাতৃত্ব এমনই স্বর্গীয় বিষয় যে, এইটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না। অথচ মা হিসেবে সন্তানকে শূন্য থেকে সাবালক করা পর্যন্ত, সার্বক্ষণিক যে কাজগুলো একজন মাকে সম্পন্ন করতে হয়, সেই কাজে তাকে সহযোগিতা কে করে? বিচ্ছিন্ন দুই একটি ঘটনাকে তর্কের জন্য উদাহরণ হিসেবে আনার আসলে প্রয়োজন নেই। সামগ্রিক চিত্র আপনি আসলে কী দেখতে পান?

ওয়ার্ক ডিস্ট্রিবিউশন যদি করেন আপনার বড় হওয়ার পিছনে আপনার মা কী কী কাজ করতেন বা করেছেন, আর পরিবার বা সমাজের অন্য যে কেউ আপনাকে বড় করার জন্য কী করেছেন? কতটুকু করেছেন? দক্ষিণ এশিয়ার একজন ফুলটাইম মা, তার যতো প্রতিভাই থাকুক সেইটা প্রকাশ করার কিন্তু কোনো সুযোগই পান না শুধুমাত্র সময় এবং এনার্জির অভাবে। এই মাতৃত্বের কাজের চাপ কমানোর চেষ্টা কি এই সমাজে দেখতে পান? শহরে আপনি ঘরের কাজের সহকর্মী রাখলেন, কিন্তু শতকরা আশি ভাগ মা, যারা গ্রামে থাকে, তাদের ক্ষেত্রে সমাধান কী?

সামগ্রিকভাবেই আমার মনে হয়েছে শুধুমাত্র বিবাহিত হওয়ার মধ্য দিয়ে এবং মা হওয়ার মধ্য দিয়ে এই সমাজে নারী তার এক্সপ্লয়েটেশন যেইভাবে আবিষ্কার করতে পারে সেইটা নারীবাদ সম্বন্ধে তাকে সম্পূর্ণ্ ভিন্ন একটি দৃষ্টিভঙ্গি দেয়।
আমি যত বড় তত্ত্ববাগীশই হই, আমি কে এইটা বিচার করার যে কোন অপমান ছোট এবং কোন অপমান বড়? ধর্ষিতা হয়েও অনেক মেয়ে শক্ত পায়ে দাঁড়িয়ে যায়। সমাজকে দুই তুড়ি মেরে বাঁচতে চেষ্টা করে। আবার ইভ টিজিং এর যন্ত্রণাতেও অনেক কিশোরী আত্মহত্যা করে। কোন নিক্তিতে মাপবেন কোন অপমানের ওজন কম, আর কোন অপমানের ওজন বেশি? বিষয়টা কি এমন শ্রমিক শ্রেণির নারীর অপমান হচ্ছে অপমান, কিন্তু মধ্যবিত্ত চাকুরিজীবী নারীর অপমান অপমান না, অলংকার? কিংবা বনানীতে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ, ধর্ষণ না, কারণ মেয়েটি উচ্চবিত্ত ঘরের? শ্রেণি বিভক্তিযুক্ত সমাজে যেমন শোষক এবং শোষিত দুই ভাগ, লৈঙ্গিক বিভক্তি যুক্ত সমাজেও তেমনি দুই ভাগ, নারী এবং পুরুষ (তৃতীয় লিঙ্গকে আলোচনায় আনছি না)।

পশ্চাৎপদ সমাজ ব্যবস্থায় পুরুষ শোষকের ভূমিকা পালন করে এবং নারী শোষিতের। এবং এই রোল প্লে ধনী-গরীব নির্বিশেষে সত্যি। আমি এক কলেজের শিক্ষকতা করা অবস্থায় এক ফেরিওয়ালা ফাঁকা রাস্তায় লুঙ্গি তুলে আমাকে তার লিঙ্গ প্রদর্শন করে যৌন সম্পর্ক্ এর জন্য আহবান জানিয়েছিল। আমার সামাজিক পদমযার্দায় এবং বিত্ত পরিচয়ে আমি মধ্যবিত্ত এবং ওই ফেরিওয়ালা নিঃসন্দেহে নিম্নবিত্তের এবং শ্রমিক শ্রেণির একজন। এইখানে আমার বিত্তীয় পরিচয় কি আমাকে কোন ধরনের সুবিধাজনক অবস্থান দিয়েছে? না, দেয়নি। বরং লৈঙ্গিক পরিচয়ের জন্যই কিন্তু ফেরিওয়ালা সুবিধাজনক অবস্থানে আছে।

বাড়ির নারী মালিক কি দারোয়ান দ্বারা ধর্ষিত এবং খুন হয়নি? জানি সমাজে যখন পচন ধরে তখন সর্বস্তরেই তা গ্রাস করে, নারীর প্রতি যে অন্যায়, সেইটা আলাদা কিছু না। এ্ সমাজেরই সামাজিক পচনের রিফ্লেকশন হচ্ছে নারীর প্রতি সহিংসতা বা অন্যায়। মানলাম। কিন্তু এই সমাজে একজন নারীকে শুধুমাত্র নারী হওয়ার জন্যই যৌতুক, স্বামীর নির্যাতন, শ্বশুর বাড়ির গঞ্জনা, বাল্য বিবাহ, ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিবাহ, ইভ টিজিং, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, উচচ শিক্ষায় বাধা, এরকম আরও অসংখ্য অন্যায়, অপরাধ, বাধার সম্মুখীন হতে হয়। আমাকে একটা অপরাধ, অন্যায়ের কথা বলেন যেটা একজন পুরুষকে শুধূমাত্র পুরুষ হওয়ার জন্য এই সমাজে ফেস করতে হয় ?

লৈঙ্গিক বিভক্তিযুক্ত সমাজে নারী বারগেইন পয়েন্টে নাই। বারগেইন পয়েন্টে আসতে এখনও অনেক অধ্যায় পাড়ি দিতে হবে। এই অধ্যায়গুলো নির্মাণের ক্ষেত্রে কোন নারীরা আসলে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে? বা কোন নারীরা আসলে প্রধান দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেবে? স্বাভাবিকভাবেই সমাজে নারী এবং পুরুষ উভয়েরই যে অংশটা শিক্ষা দীক্ষায় তুলনামূলকভাবে এগিয়ে থাকা, যাদের থাকা খাওয়ার মিনিমাম যোগান আছে, যে নারীরা অর্থনৈতিকভাবে তুলনামূলক স্বাবলম্বী এবং যাদের কাছে অর্থের সাথে জ্ঞানের যোগানও আছে, মানে যাদের কাছে Sources of information is available, সেই সকল নারীরাই যারা সমাজের প্রান্তিক নারীদের তুলনায় সুবিধাজনক অবস্থায় আছে, তাদেরকেই আসলে নারী অধিকারের পক্ষের অধ্যায়গুলো নির্মাণ করতে হবে, প্রাথমিক স্তরের দায়িত্ব নিতে হবে।

এখন আপনি বলতে পারেন, কেন এই নারীদেরই নিতে হবে? কিছু করার নাই, যেকোনো আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার জন্য কয়েকটি আবশ্যকীয় নিয়ামক লাগে, সেইগুলো কী? চেতনা যেইটার আবশ্যিক যোগান আসে জ্ঞান এবং শিক্ষা থেকে, টাকা এবং সময়। এখন আপনার কাছে আমার প্রশ্ন, এই ধরনের নারীরা আসলে কারা, যাদের চেতনা আছে, থাকা খাওয়ার যোগান আছে এবং সময় আছে? তারা কোথায় থাকে? বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন নারীরা আসলে শহুরে মধ্যবিত্ত নারী। ওই জন্যই প্রয়োজন এবং সময়ের তাগিদেই আসলে শহুরে নারীবাদের জন্ম।

আমাদের দেশের গ্রামে বা শহরে প্রান্তিক যে নারীরা আছেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে তাদের পরিবারের পেট সামলে, বাচ্চা সামলে মানে মায়ের দায়িত্ব পালন করে নারী অধিকার আন্দোলনে অংশ নেয়ার মতো অবস্থা আছে কিনা? এই প্রশ্নটা আপনার জন্য রেখে গেলাম।

এখন আসেন নারী অধিকার আন্দোলনের বক্তব্য কী হবে, সেই প্রশ্নে। ব্যক্তি নারী যখন সমস্যা চিহ্নিত করবে, তখন সেই সমস্যা চিহ্নিত করণের মধ্যে অবশ্যম্ভাবিভাবেই তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান প্রকটভাবে ছাপ ফেলবে। একদল মধ্যবিত্ত শ্রেণির নারী যখন তাদের সমস্যা চিহ্নিত করবে, তখন স্বাভাবিকভাবেই সেই সমস্যা মধ্যবিত্ত নারীর সমস্যাই প্রমিনেন্ট হবে।

তাহলে কারা সাবর্জনীন নারীর সমস্যা চিহ্নিত করবে? এবং কারা প্রান্তিক নারীদের পক্ষ হয়ে কথা বলবে? এই উত্তরে পরে আসছি। আগে আপনি বলুন এই মুহূর্তে প্রান্তিক নারীদের নিয়ে বাংলাদেশে কারা কারা কাজ করে? এনজিও ছাড়া কেউ না। প্রান্তে মানে গ্রামে অথবা বস্তিতে একমাত্র ছোট-বড় এনজিওগুলোই কাজ করে। বাংলাদেশে এখন পযর্ন্ত এমন কোনো রাজনৈতিক সংগঠন বা ভলান্টারি সংস্থা নাই, যারা আলাদা করে নারী সমস্যা নিয়ে প্রান্তিক নারীদের নিয়ে কাজ করে। আপনি আমাকে একটা রাজনৈতিক সংগঠন দেখান যাদের গ্রামীণ নারীদের নিয়ে এজেন্ডা আছে, কর্মসূচি আছে।

গার্মেন্টসের মেয়েদের নিয়ে আছে, কিন্তু সেইটা একদম শ্রমিক হিসেবে। এমনকি আলাদা করে নারী শ্রমিকদের জন্য যৌন নিপীড়নমুক্ত শ্রম পরিবেশ নির্মাণের দাবি কোন রাজনৈতিক সংগঠন করেছে? বড় দলগুলোর কথা তো বাদ দিলাম, এমনকি বামপন্থি সংগঠনগুলোও শুধুমাত্র আলাদা করে প্রান্তিক নারীদের সমস্যা সংকট নিয়ে কোনো কাজ করেছে কিনা?
আমার জানা মতে নাই। এই যে বিপুল জনগোষ্ঠি, দেশের অর্ধেক মানে আট কোটি। এই আটকোটির কোন সমস্যা আজ পর্যন্ত জাতীয় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হতে পেরেছে? তাহলে এনজিওর বাইরে এই বিপুল জনগোষ্ঠির সমস্যা সংকট নিয়ে কে কথা বলবে? যাদেরকে আপনি শহুরে মধ্যবিত্ত নারী বলছেন, এদেরকেই বলতে হবে। এবং এরাই বলবে। যেকোনো চিন্তার সাবর্জনিনতার জন্য রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন হয়। এই মধ্যবিত্ত নারীরাই শুরুর অধ্যায়ে শুধু নিজেদের লাঞ্ছনা, গঞ্জনার কথা বলবে। এইটারও প্রয়োজন আছে।

সংসারের ঘেরাটোপে প্রশ্নহীন আনুগত্যের বাইরে প্রশ্ন করা আগে শুরু হোক। তারপরের অধ্যায়ে এই প্রশ্নগুলোর সাথেই রাজনীতি যুক্ত হয়ে অনেক পরিশীলিত বক্তব্য হবে। এই মধ্যবিত্ত নারীর এক অংশই একদিন ক্ষুরধার রাজনৈতিক বোধ নিয়ে সাবর্জনিন নারী আন্দোলনকে নেতৃত্ব দেবে। প্রান্তিক নারীদের টেনে আনবে মূলস্রোতে। কবে? ওই যে বললাম, সবে তো নারী অধিকার আন্দোলনের প্রথম অধ্যায় দাঁড়াচ্ছে, অনেকগুলো অধ্যায় এখনও নির্মাণ করতে হবে।

শেয়ার করুন:
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.