নিকৃষ্ট নারী ও নারীবাদ বনাম আপনাদের অজ্ঞতা

গোধুলি খান:

আমার ঘরের দরজায় বেগম রোকেয়ার একটা পোস্টার সাঁটা ছিল। স্কুল-কলেজ জীবনে। পরীক্ষার দিনগুলিতে কথা শোনাতাম পোস্টারের বেগম রোকেয়াকে।

কী দরকার ছিল আপনার এতো নারীশিক্ষার আন্দোলন করার? জীবন তো ফানা ফানা হয়ে গেল পড়তে পড়তে। আপনার কপাল ভালো ছিল, তাই পরীক্ষা দিতে হয়নি। পড়তে পড়তে আমার কালো অঙ্গ কাইল্যা হয়ে গেল। ইশ কী দরকার ছিল আপনার এতো ঝামেলা করার?

আমার মা শুনলেই বলতেন, “আজ এমন করে বলছিস, একদিন বুঝবি নারী শিক্ষার দরকার কত? সেই আমলে উনি বুঝেছেন, মেয়েদের জীবনের সব থেকে বড় প্রয়োজন শিক্ষা। নারী শিক্ষাই শুধু না, সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়াটাই বেশি প্রয়োজন জানবি, বুঝবি একদিন”।

সেই ১৮৮০ সালে জন্মানো একটা মেয়ে, শৈশবে বোন করিমুন্নেসার সাথে বাসায় আরবি আর উর্দু শিখতে শুরু করেন। সম্ভ্রান্ত ভূস্বামীর কন্যা হিসেবে বাসায় আরবি আর উর্দু শেখা ছিল দস্তুর। তাদের বড়ভাই ইব্রাহীম সাবের আধুনিকমনস্ক ছিলেন। সবাই রাতে ঘুমিয়ে গেলে, গোপনে বাংলা ও ইংরেজি শিক্ষা দিয়েছেন দুই বোনকে। জানাজানির পরে লাঞ্ছনা-গঞ্জনা শুনেছেন তারা পদে পদে, সমাজের সমস্ত তিতা কথা পায়ে দলে চলেছে বাংলা ও ইংরেজি শিক্ষা।  

ইব্রাহিম সাবেরকে নারীবাদী বলাই যায়, কারণ তিনি বুঝেছিলেন মানুষ হিসেবে সমতার কথা। শিক্ষাই পারে সেই সমতা দিতে। অবাক লাগে ১৮ শতকের শেষভাগে নারীর প্রতি যে গঞ্জনা, লাঞ্ছনা, তা এই একাবিংশ শতকেও এসেও কমেনি। বরঞ্চ আরো নোংরা আর নতুন নতুন পথ বের করা হয়েছে নারীকে লাঞ্ছনা-গঞ্জনা দিতে।

সোজা ভাষায় বলা কথার জটিল মানে কেন বের করতে হবে? নারীবাদ নিয়ে এতো হৈ চৈ করছে অধিকাংশ মানুষ, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে। কিন্তু কষ্ট করে নারীবাদের অর্থ জেনে নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করলে কিঞ্চিত ভাল লাগতো। খুব অল্প কথায় নারীবাদ হলো মানুষ হিসেবে পুরুষের সমান অধিকারের আন্দোলন, এর মানে এই না যে নারী পুরুষের রোল প্লে করবে। নারী মানুষ হিসেবে পুরুষের সমান অধিকার চাইছে এই আন্দোলনে। তাত্ত্বিক ভাষায় নারীবাদ দাবি করে: নারী পুরুষের তুলনায় একদিকে সক্ষম, অন্যদিকে সামাজিক অবদানের দিক দিয়ে পুরুষ থেকে কম নয়।

এই আন্দোলনে কোথাও পুরুষকে ছোট করা বা তার অধিকার কেড়ে নিয়ে নারীকে দিয়ে দিতে বলা হচ্ছে না। তাহলে কেন বারে বারে নারী পুরুষের মাঝে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন একদল পুরুষ নারী উভয়ই। তর্ক করতে হলেও একটু পড়াশোনা করা ভালো। তাহলে আপনি যুক্তি দিতে পারবেন, বুঝবেন, শুনবেন। বাজে ও নোংরা তর্ক করে কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করার মাঝে সাময়িক শ্লাঘা অনুভব করলেও আদপে আপনার হার। কারণ এতে আপনার জানার বা পড়ার পরিধি বোঝা যায়। আপনার অজ্ঞানতা, আপনার হিংসা আর বিদ্বেষের কারণে আজ নারীবাদ শব্দটি ক্রমশ: গালিতে রূপ নিয়েছে।

আপনার অজ্ঞতা কারণ আপনি নারীবাদ সম্পর্কে জানেন না। জানেন না নারীর শারীরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া। শুধু তাই না, আপনি যখন ঘাড় ত্যাড়া করে, গলার রগ ফুলিয়ে এঁড়ে তর্ক করেন, যুক্তি না বুঝে, বা না পেরে গালাগালি করেন, বিভিন্ন নোংরা বিশেষণে নারীকে বিশেষায়িত করছেন, এতে কি নারীর কোনো ক্ষতি হয়? হয় না। আপনার ব্যবহার আপনার বংশের পরিচয় দেয়।

উপমহাদেশের বাঙালি মুসলিম সমাজের মেয়েদের শিক্ষার আলো ১৯০৬ সালের দিকে শুরু হলেও পুরুষ শিক্ষার প্রচলন কিন্তু আরো আগে। কিন্তু এতো আগে শিক্ষা আলো পেয়ে কী লাভ হলো বলেন তো! আজো অধিকাংশ পুরুষরা সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারলেন না, মনের ঘরে তো অন্ধকার। সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত পুরুষই নারীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।

ভেবে দেখুন ইব্রাহিম সাবেরের কথা, বাঙালী মুসলিম হয়েও সে তার বোনদের ১৮৯০ সালের বাংলা ও ইংরেজি শিক্ষার প্রয়োজনের কথা ভাবতে পেরেছিলেন। নারীবাদের ইতিহাসের পরতে পরতে পুরুষের একাত্মা, সহযোগিতা, কাঁধে কাধ মিলিয়ে থাকার কথা রয়েছে। বলতে দ্বিধা নেই যে ১৮৩৭ খ্রিঃ ফরাসি দার্শনিকইউটোপীয় সমাজবাদী চার্লস ফুরিয়ে প্রথম ‘নারীবাদ’ শব্দটির আনুষ্ঠানিক ব্যবহার করেন। পৃথিবীর হাজারো সফল পুরুষ নারীবাদী হিসেবে পরিচিত। উনারা তৎকালীন ইউরোপীয় সমাজে ক্ষমতা, প্রতিপত্তিতে ও প্রভাবশালী ছিলেন। কেউ ছিলেন ইতিহাসবেত্তা, কেউ আইনজ্ঞ, কেউ দার্শনিক, কেউ প্রফেসর বা কেউ রাজনীতিবিদ।

আবার আমাদের উপমহাদেশে রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, সৈয়দ আহমদ খান, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখ অনুধাবন করেছিলেন নারী শিক্ষা ও ক্ষমতায়নের প্রয়োজনীয়তার কথা। নারী উন্নয়ন যে দেশে ও সমাজে বেশি সেই দেশ ও সমাজ তত বেশি উন্নত।

১৮৩৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত নারীবাদী পুরুষের সংখ্যা কম নয়। কিন্তু আমাদের দেশে নারীবাদ বার বার মুখ থুবড়ে পড়েছে ধর্মের কারণে।

সেই ১৯ শতকের গোড়ার দিকে বেগম রোকেয়া তার  “আমাদের অবনতি” শীর্ষক প্রবন্ধে লিখেছেন,

“যখনি কোন ভগ্নী মস্তক উত্তোলনের চেষ্টা করিয়াছে, তখনি ধর্মের দোহাই বা শাস্ত্রের বচন রূপ অস্ত্রাঘাতে তাঁহার মস্তক চূর্ণ হইয়াছে। ……… আমরা প্রথমত যাহা সহজে মানি নাই তাঁহা পরে ধর্মের আদেশ ভাবিয়া শিরোধার্য করিয়াছি।…আমাদিগকে অন্ধকারে রাখিবার জন্য পুরুষগণ ঐ ধর্মগ্রন্থগুলিকে ঈশ্বরের আদেশপত্র বলিয়া প্রকাশ করিয়াছেন। পুরাকালে যে ব্যক্তি প্রতিভাবলে দশজনের মধ্যে পরিচিত হইয়াছেন, তিনি আপনাকে দেবতা কিংবা ঈশ্বর প্রেরিত দূত বলিয়া প্রকাশ করিয়াছেন। ক্রমে যেমন পৃথিবীর অধিবাসীদের বুদ্ধি-বিবেচনা বৃদ্ধি হইয়াছে, সেরূপ পয়গম্বর দিগকে (অর্থাৎ ঈশ্বর প্রেরিত মহোদয়া দিগকে) এবং দেবতা দিগকেও বুদ্ধিমান হইতে বুদ্ধিমত্তর দেখা যায় !!

তবেই দেখিতেছেন। এই ধর্মগ্রন্থগুলো পুরুষ রচিত বিধিব্যবস্থা ভিন্ন আর কিছুই নহে। কেহ বলিতে পারেন তুমি সামাজিক কথা বলিতে গিয়া ধর্ম লইয়া টানাটানি কর কেন? তদুত্তরে বলিতে হইবে, ‘ধর্ম’ শেষে আমাদের দাসত্বের বন্ধন দৃঢ় হইতে দৃঢ়তর করিয়াছে, ধর্মের দোহাই দিয়া পুরুষ এখন রমণীর উপরপ্রভুত্ব করিতেছেন। তাই ধর্ম লইয়া টানাটানি করিতে বাধ্য হইলাম” (রোকেয়া, আব্দুল কাদির, ১৯৭৩)।

সেই জের আজো আমাদের টেনে যেতে হচ্ছে। নারীকে সবভাবে পুরুষের থেকে নিকৃষ্ট করে রাখা হয়েছে, আমাদের মতো সমাজগুলিতে। নারী এতোটাই নিকৃষ্ট যে তার নিজের শরীর নিয়ে কথা বলার অ্ধিকার নেই, নেই তার পছন্দে মতো পোশাক পরার। নেই স্বাধীনভাবে চলাফেরার বা কাজের। আমাদের সমাজে নারীর উপর সবকিছু চাপিয়ে দেয়া হয়, আর বারে বারে বোঝানো হয় নারী নিকৃষ্ট, তাদের কথা বলার অধিকার নেই। আর বললেও থাকবে নিদিষ্ট কিছু বিষয়ে।

নারী তার অনুভব ও অনুভুতির কথা বলার অধিকার রাখে না। তার অনুভব ও অনুভতির কথা বলবে ও লিখবে পুরুষ। নারী বললেই তাকে বলা হবে কুলটা, পতিতা, দুশ্চরিত্রা। শুধু আজ না, নারীবাদের শুরু থেকেই নারীর আন্দোলন বিরোধী পুরুষের আস্ফালন দেখা যায়।

আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী মাইকেল কিমেল নারীবাদের প্রতি সংবেদনশীল পুরুষদেরকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করেন: প্রোফেমিনিস্ট, ম্যাসকুলিনিস্ট এবং অ্যান্টিফেমিনিস্ট। প্রোফেমিনিস্ট পুরুষগণ বিশ্বাস করেন নারীবাদী আন্দোলনের ফলে আসা পরিবর্তন পুরুষদেরও উপকার করবে। তারা পাবলিক স্ফিয়ারে নারীদের অধিক অংশগ্রহণ এবং বাসায় শ্রমবণ্টনের পরিবর্তনকে সমর্থন করেন। অ্যান্টিফেমিনিস্টরা নারীদের ভোটাধিকার এবং পাবলিক স্ফিয়ারে তাদের অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন, চিরাচরিত পিতৃতান্ত্রিক পারিবারিক মডেলকে সমর্থন করেন। আর ম্যাসকুলিনিস্ট আন্দোলন পুরুষদের একটি দলের আন্দোলন। তাদের মতে, যার জন্ম “পুরুষত্বে নারীত্বারোপের”এর একটি পরোক্ষ প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই আন্দোলনের জন্ম। কী আর করা যায় নারী তার মানবিক অধিকার দাবী করলে দোষ। নারী তার সামাজিক অধিকার দাবী করলে দোষ, অর্থনৈতিক অধিকার দাবি করলে দোষ।

যোগ্য নারী কেন সমান অধিকার পাবে না ভাবুন তো, আপনি আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী যদি সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন, তাহলে নারী পেলে অসুবিধা কোথায়? নারীর উপর প্রভুত্ব না করে সহযাত্রী হোন। নারী প্রতি কুৎসা রচনা না করে, সমব্যথী হোন। নারীর উন্নয়নের ফল তো সবাই ভোগ করে। শিক্ষিত জাতি চাইলে তো শিক্ষিত মা পেতে হবে সবার আগে। অশিক্ষা-কুশিক্ষা দিয়ে নারীকে ঘরে বন্ধি করে কোন উন্নয়ন টেকসই হবে বলেন তো?

নারী উন্নয়নে আপনাদের সমস্যা, কর্মক্ষেত্রে সফল নারীদের নিয়ে নির্দ্বিধায় নোংরা কথা বলেন, নারী যোগ্যতাকে পদে পদে খাটো করে দেখান। মানতেই পারেন না, একজন নারী বিদ্যা-বুদ্ধিতে, কর্মে সফলতার পরিচয় দেবে। নারী সমস্ত অর্জনকে বাঁকা চোখে ও নোংরা মনোভাব নিয়ে দেখা, আপনারদের মত কিছু অসুস্থ মনের পুরুষের মজ্জাগত হয়ে গেছে। নিজের অযোগ্যতাকে না মানতে পারার কারণেই আজ এতো কথা, এতো তর্কবিতর্ক, নোংরা কথার ছড়াছড়ি।   

সেই “অযোগ্য গালিবাজ, গলার রগ ফুলানো পুরুষ যারা” আপনাদের কথাই আপনাদের বলি, আপনারা নিজেদের নারী থেকে এতো উচ্চস্তরের ভাবেন, তাহলে নিকৃষ্ট নারীদের লেখা কেন পড়েন, নারীরা চটি লিখছে, চটি পড়া খারাপ জেনেও চটি পড়ছেন কেন? চটি সাইটে ঢুকছেন কেন? কেউ তো আপনাকে ইনভাইটেশন পাঠাচ্ছে না! অশ্লীল মনে হলে বার বার সেই অশ্লীলের কাছে কেন ফিরে আসছেন? নারী যদি আপনাদের কাছে পাপাচারে প্রলুব্ধকারী মনে হয়, তাহলে নারী ও নারী সম্পর্কিত সবকিছু এড়িয়ে চলুন। আপনি থাকেন না কেন আপনাকে নিয়ে। নারীর দোষ পদে পদে না ধরে, পরতে পরতে আপনার মনের মাঝে ময়লা জমেছে তা হারপিক দিয়ে পরিষ্কার করুন। দেখুন এরপর চারপাশ অনেক সুন্দর আর ঝকঝকে।

নারীর অধিকারের আন্দোলন নিয়ে মনের সংকীর্ণতা ঝেড়ে ফেলুন, মুক্তমনা হতে না পারলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি নাই করলেন। সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন তার জীবনসঙ্গী বেগম রোকেয়ার প্রতি উদারতার পাশাপাশি মুক্তমনের পরিচয় দিয়েছিলেন। তিনি লেখাপড়ায় শুধু উৎসাহ না, স্কুল খোলার জন্য আলাদা অর্থও জমা করেছেন।

আবারো অনুরোধ না বুঝে তর্ক না করে, বা তর্ক করার জন্য তর্ক না করে পড়ুন ভালো করে, বুঝুন, তারপর আসবেন গলাবাজি করতে। আপনার করার কিছু নেই বলে অনলাইনে বসে নোংরামি করেন এটা বোঝার জন্য রকেট সায়েন্স বোঝা লাগে না। চেষ্টা করুন জীবনে কিছু করে সফল হতে, যে সময় আপনি ব্যয় করছেন নারীকে নোংরা কথা বলে, গালাগালি করে, সময় কাটান নিজের কাজের উন্নয়নে। বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনাদের মত কিছু অসুস্থ পুরুষরাই ধর্ষণ করে, আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা নির্বিশেষে। আপনি এতো সমাজ সচেতন, তাহলে প্রতিবাদী হোন সমাজে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের। আপনাকে কেন দেখি না শিশু ধর্ষণের ব্যাপারে প্রতিবাদি হতে? কেন দেখি না নারীর উপর সহিংসতার প্রতিবাদ করতে? আপনাকে কেন দেখি না মানবিক হতে? আপনার সব আগ্রহ নারীকে খাটো করার দিকে।

আপনাদের লেখা পড়ে মনে হয়, কেউ কেউ তো তার জীবন পতিতা সঙ্গ করে কাটাচ্ছেন, এ কারণে তিনি জানেন যে মেনোপজ হয়ে যাওয়া বুড়ি পতিতাগুলি লেখালেখি করে। মায়া হচ্ছে আপনার জন্মদাত্রীর জন্য। তিনিও নিশ্চয় মেনপোজ বন্ধ হওয়া একজন বুড়ি পতিতা। যাক যৌনকর্মীদের জন্য সহানুভূতি হচ্ছে, কারণ তাদের আপনাদের মতো মনের কাস্টমারদের সাথে টাইম স্পেন্ড করতে হয়। যৌনকর্মীরা একাজে এসেছে পেটের দায়ে, পরিস্থিতির শিকার হয়ে, প্রতারিত হয়ে।  আচ্ছা ভালো পুরুষ কি যৌনকর্মীর কাছে যায়? মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন বোঝাই যায়। আপনাদের মতো বিকৃত মনের পুরুষদের জন্য আধা সের করুণা, দুই মুঠ সহানুভূতি আর এক চিমটি আশা দিলাম ঘুটে।  

আপনারা  যতই বাঁধা দেন না কেন মস্তক তুলে দাঁড়াবেই নারীরা। আগেও দাঁড়িয়েছে, আগামীতেও দাঁড়াবে, আজ না হোক আগামীতে আপনার ভুল ভাংবে। মানসিক দৈন্যতার শিকল ভেঙ্গে আপনিও আগামীতে নারীর পাশে এসে দাঁড়াবেন। আমি বড্ড আশাবাদী মানুষ, আপনাদের ভাষায় আমরা নিকৃষ্ট, তবু বিশ্বাস করি আপনি আসবেন একদিন পাশে। সংসারে বলেন, আর সমাজে বলেন, অধিকার আদায়ের দাবি থেকে পিছিয়ে পড়তে রাজি নই। চাইনা কোনো নারী পিছিয়ে পড়ুক। আপনার মতো পুরুষদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।

শেয়ার করুন:
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.