রিয়াজুল হক:
লেখকমাত্রই তো তার লেখার জন্য নানান প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে পারেন। তাহলে একজন লেখকের লিঙ্গীয় পরিচিতি সামনে এনে তার লেখার স্বাধীনতা প্রসঙ্গটির অবতারণা কেন? ওপরের শিরোনাম দেখে যে কেউ এ প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারেন। উত্তরটি বেশ সহজ–লেখালেখিতে পুরুষদের তুলনায় নারী লেখকরা তুলনামূলকভাবে বেশি প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন। সেইসঙ্গে প্রতিবন্ধকতার ধরন ও মাত্রাও ভিন্ন।
একজন পুরুষ লেখক সামাজিক মাধ্যমে বা অন্য কোনো মাধ্যমে তার নিজের মতামত বা জীবনের অভিজ্ঞতা, প্রত্যক্ষণ, ইচ্ছা–অনিচ্ছা, পছন্দ–অপন্দ, বা পর্যবেক্ষণ স্বাধীনভাবে ও ভিন্নভাবে লেখার পর প্রতিউত্তরে বা প্রতিক্রিয়ায় এমনসব মতামত বা কথা কি পাওয়া যাবে– তিনি ‘পতিত’ (যৌনপল্লীতে যান), তিনি ’এসকটের সদস্য’ (ঢাকাতেই কিন্তু এসকটের পুরুষ সদস্য আছে), তিনি যৌনপল্লীর ‘মামা’ (দালাল), তিনি ‘ধর্ষক, তিনি ‘যৌন ক্ষমতা’ হারিয়ে ফেলেছেন, তিনি ‘যৌনরোগে আক্রান্ত’ ইত্যাদি।
না, আমি নিশ্চিত– তা আপনি সন্ধান করে পাবেন না, পেলেও তা একেবারে নগণ্য। সেখানে দেখবেন, তাকে ঠিক ব্যক্তিক পর্যায়ে নয়, তাকে সামাজিক নানান সম্পর্কে (তবে তা পুরুষকেন্দ্রিক সম্পর্ক নয়; নারীকেন্দ্রিক সম্পর্কে, যেমন: ‘শালা’, ‘মামুরপুত’, ‘বেশ্যার পুত’, ‘খানকির পুত’ ইত্যাদি) প্রতিস্থাপিত করে গালাগালি করা হয়। অনেক সময়ে পুরুষ লেখকের রাজনৈতিক পরিচয় থাকলে তার ‘দালাল’, ‘স্বাধনতাবিরোধী’, ‘ইসলামবিরোধী’ ইত্যাদি অভিধাও জোটে।
কিন্তু একজন নারী লেখক সমাজিক মাধ্যমে বা অন্য কোনো মাধ্যমে নিজের মতামত বা জীবনের অভিজ্ঞতা, ইচ্ছা–অনিচ্ছা, পছন্দ–অপছন্দ, পর্যবেক্ষণ স্বাধীনভাবে ও ভিন্নভাবে লেখার পর কী কী প্রতিক্রিয়া আপনি বা আমি দেখবো! প্রতিক্রিয়ায় দেখা যাবে–সেই নারী লেখক হলেন ‘পতিতা’, তিনি হলেন ‘বেশ্যা, তিনি হলেন ‘মাসি, তিনি হলেন ‘বিগত যৌবনা, তার ‘যৌনসক্ষমতা নেই’, তিনি হলেন ‘বুড়ি, তিনি ‘যৌনরোগে অাক্রান্ত’, তিনি ‘স্বল্পবুদ্ধিসম্পন্ন’, তিনি দুখানা বই পড়েই ‘বিদ্বান হয়ে গেছেন’ ইত্যাদি বলে গালি দেয়া হচ্ছে।
একজন পুরুষ বা নারী লেখক যখন ‘জাতীয়তাবাদী’, ‘মানবতাবাদী’, ‘সাম্যবাদী’, আন্তর্জাতিকতাবাদী’, ‘পরিবেশবাদী’, ‘থিয়োলজিস্ট’, ‘সেক্যুলারিস্ট’ ইত্যাদি পরিচয়ে কোনো লেখা লেখেন, তখন সাধারণত তার পরিচিতি নিয়ে বিদ্রুপ বা প্রশ্ন করা হয় না, হলেও সেটি সীমিত। কিন্তু একজন নারী লেখক বিশেষত ‘নারীবাদী লেখক’ পরিচিতি নিয়ে কোনো লেখা লিখলেই তিনি নানান বিদ্রুপের শিকার হোন।
‘জাতীয়তাবাদ’, ‘সাম্যবাদ’, ‘পরিবেশবাদ’, ‘ইহজাগতিকতাবাদ’ ইত্যাদি ভাবনার মতোই ‘নারীবাদ’ও একটি ভাবনা, যার বিদ্যাজাগতিক ভূবনে দর্শনের একটি বিদ্যায়তন এবং বাস্তব জীবনে প্রয়োগের কর্মকৌশল রয়েছে। এ ভাবনায় বা দর্শনে কেউ আস্থা রাখলে, তা অন্যায় বা দোষের কিছু নয়। অন্য ভাবনা বা দর্শনের (জাতীয়তাবাদ, সাম্যবাদ, পরিবেশবাদ, মানবতাবাদ, ধর্মতত্ত্ব ইত্যাদি) আলোকে কোনো অলোচনা–লেখা–মতামত প্রকাশ করা গেলে, নারীবাদী দর্শনের আলোকে বা সূত্রে সমাজে, পোর্টালে বা সামাজিক মাধ্যমে কোনো বিষয়ে আলোচনার সমস্যা কোথায়?
‘জাতীয়তাবাদ’, ‘মানবতাবাদী’, ‘সাম্যবাদী’, ‘আন্তর্জাতিকতাবাদী’, ‘পরিবেশবাদী’, ‘থিয়োলজিস্ট’, ‘সেক্যুলারিস্ট’ ইত্যাদি পরিচয়ে পরিচিত হতে অন্যরা বা পুরুষরা বা একদল নারী যদি গর্ববোধ করতে পারেন, তাহলে আর একদল নারী বা নারী লেখকরা বা একদল পুরুষ ‘নারীবাদী’ পরিচয়ে পরিচিত হতে গর্ববোধ করবেন না কেন? কে কীভাবে নিজেকে পরিচিত করবেন, সেটি তার স্বাধীনতা। অন্য কারো সেখানে কিছু আরোপ করার ক্ষমতা ও একতিয়ার নেই।
অনেকেই বলেন, আমাদের সমাজে ধর্ষণের (সব ঘটনা গণমাধ্যমে আসে না) সংখ্যা বাড়ছে কেন? আমাদের সমাজে যৌন অপরাধের সংখ্যা বাড়ছে কেন? আমাদের ছেলেরা এমনকি মেয়েরাও কেন ‘জঙ্গী’ হচ্ছেন? আমাদের সমাজে মানুষগুলো বিশেষত পুরুষরা কেন এতো ‘আক্রমণাত্মক’ হয়ে উঠছেন? তারা কেন ‘হিংস্র’ হয়ে উঠছেন?
এর একটি (আরো অনেক উত্তর আছে) উত্তর হলো, এ ধরনের বয়ান–প্রতিক্রিয়া পরিবারে–সমাজে–রাষ্ট্রে নারীকে হীনভাবে দেখার, নারীকে যৌনবস্তু হিসেবে দেখার মনস্তত্ত্ব তৈরি করে। নারীকে অপমান করার স্পৃহা জাগায়। নারীর স্বাধীন সচলতাকে অন্তরীণ করতে উদ্বুদ্ধ করে। নারীকে তার ভাবপ্রকাশে, স্বাধীন চিন্তা করতে অবদমিত করতে শেখায়, বা তা ‘মেনে নেয়ার’ অথবা ‘ভীত হয়ে’ না লিখতে, না বলতে, না প্রকাশ করতে প্ররোচিত করে। সর্বোপরি এ ধরনের বয়ান পুরুষের মধ্যে ধর্ষকামীতা (নারীর শরীরের ওপর বলপ্রয়োগের মোটিভ)-র মনস্তত্ত্ব তৈরিতে অন্যতম প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।
একইসঙ্গে এ ধরনের বয়ান মানুষের মধ্যে ‘যুক্তিশীলতা’, ‘মননশীলতা’ ও ‘স্বাধীন চিন্তার’ পরিবর্তে এক ‘অাগ্রাসী পুরুষালি মনস্তত্ত্ব’ উৎপাদন ও পুনঃউৎপাদন। এখানে তা প্রাথমিকভাবে নারীর ওপর প্রোথিত হলেও এটি ক্রমান্বয়ে বিস্তৃত হয় অন্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ওপর; সর্বোপরি যেকোনো বিরুদ্ধমত বা ভাবনার প্রতি তা প্রবল হওয় ওঠে।
নারীর স্বাধীন মতামতের বিরুদ্ধে, যে বয়ান আমরা সামাজিক মাধ্যমে দেখি, মাধ্যম নতুন হলে বয়ানগুলো নতুন নয়। এটি ইতিহাসে প্রবলভাবেই প্রবাহমান। এর রকমফের শুধু বদলে গেছে। আমাদের বাস্তব জীবনের মুখভাষ্যে, দৈনন্দিন সংলাপে, আচার–অনুষ্ঠানে এর অস্তিত্ব প্রবলভাবে বিরাজমান। সমাজিক মাধ্যমে তার প্রতিফলনমাত্র। সেইসঙ্গে সমাজে এটি একধরনের ন্যায্যতাও আদায় করে নিয়েছে, তা না হলে কেন এ ধরনের আগ্রাসী ও অপমানকর মতামত অনেক ‘লাইক’ পায়, অনেক ‘শেয়ারড’ হয়। আবার ‘সামাজিক মাধ্যমে’ কোনো প্রাতিষ্ঠানিক সম্পাদকীয় নীতি কাজ করে না বলে, এর উপস্থিতি বা প্রকাশ অনেকটাই ‘কাঁচা’ থেকে যায়, কিন্তু এর খানিকটা পরিশীলিত রূপ আমাদের গণমাধ্যমেও পাওয়া যায়।
এ ধরনের বয়ান শুধু ‘বিকারগ্রস্ততা’, ‘অশালীন মন্তব্য’, ‘ব্যক্তিগত আক্রমণ’, ‘পরমত সহিষ্ণুতার অভাব’ হিসেবে না দেখে–একে দেখতে হবে একজন নারীর তথা একজন মানূষের তথা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের একজন নাগরিকের স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের, স্বাধীনভাবে চিন্তার বিরুদ্ধে ‘ব্যক্তি, গোষ্ঠীগত ও সামাজিক আগ্রাসনের’ একটি প্রকরণ হিসেবে। রাষ্ট্রিয় আাগ্রাসনের চেয়ে এর ব্যাপ্তি ও প্রভাব সমাজে মোটেও কম নয়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে নারীর স্বাধীন মতামত প্রকাশ ও চিন্তার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যে আগ্রাসনমূলক বয়ান, তা থেকে সুরক্ষা পাওয়ার উপায় কী? এর একটি হলো, আইনি সুরক্ষা, যার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। আমাদের সংবিধানে ‘ফ্রিডম অব স্পিচ’, ‘ফ্রিডম অব থট’ ও ‘ফ্রিডম অব কনসায়েন্স’–এর কথা বলা হয়েছে। ফ্রিডম অব স্পিচ মানে বাক প্রকাশের স্বাধীনতা, মৌখিক কথা বলা বা লেখার স্বাধীনতা। তাহলে একজন নারী লেখকের লেখার ও তা প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। ফ্রিডম অব থট মানে বোঝানো হয়েছে চিন্তার স্বাধীনতা। তার মানে একজন নাগরিক তথা একজন নারী লেখক যেকোনো বিষয়ে চিন্তা করতে পারেন, এবং তা প্রকাশ করতে পারেন। ফ্রিডম অব কনসায়েন্স মানে বোঝানো হয়েছে বিবেকের স্বাধীনতা। তার মানে একজন নাগরিক তথা একজন নারী লেখক সমাজের কোনো প্রথা, আচার–অনুষ্ঠান, অদর্শ/নরমস্ গ্রহণ বা বর্জনের পক্ষে বিবেকের তাড়নায় কথা বলতে পারেন, লিখতে পারেন। এগুলো সব তার সাংবিধানিক অধিকার।
তবে আমাদের রাষ্ট্র নাগরিকের, তথা লেখকের, তথা নারী লেখকের ‘ফ্রিডম অব স্পিচ’, ‘ফ্রিডম অব থট’, ‘ফ্রিডম অব কনসায়েন্স’ সুরক্ষার ক্ষেত্রে প্রায় ব্যর্থ। একজন নাগরিকের ‘ফ্রিডম অব স্পিচ/এক্সপ্রেসন’, ‘ফ্রিডম অব থট’, ‘ফ্রিডম অব কনসায়েন্স’ সর্বজনীন মানবাধিকার সনদ দ্বারাও সুরক্ষিত–যা বাংলাদেশ সরকার অনুস্বাক্ষর করেছে। কিন্তু আমাদের রাষ্ট্র ঐতিহাসিকভাবেই এখন অবধি তার শাসকগোষ্ঠীর সুরক্ষা দিতেই বেশি মনোযোগী ও সক্রিয়। সে সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী তথা নারী বা নাগরিকদের মতপ্রকাশের, চিন্তার, বিবেকের স্বাধীনতা সুরক্ষার বিষয়ে সংবেদনশীল নয়; সক্রিয়ও নয়।
তাহলে দায়িত্বটা নিতে হচ্ছে নাগরিকদের। কারণ এ দায়িত্বটি শুধু লেখকের বা নারী লেখকের একার হতে পারে না। এটি পুরুষ লেখকেরও দায়িত্ব। সর্বোপরি এটি লেখক–পাঠক, প্রকাশক, তথা নারী–পুরুষ, সব নাগরিকের দায়িত্ব। মনে রাখা দরকার, একজন নাগরিক শুধু ‘অধিকারভোগী’ নন, তিনি একইসঙ্গে অন্য নাগরিকের অধিকার সংরক্ষণে ‘বংশীবাদক (ভঙ্গ হলে দৃষ্টিগোচরে আনবেন) ও দায়িত্বপালনকারী’।
এখন প্রশ্ন হলো, নাগরিকের সে দায়িত্বটা কী? সে দায়িত্বের মধ্যে অনেক কিছু থাকলেও, একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো– সমাজে একটি বিপরীত বয়ান প্রবলভাবে তৈরি ও প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। সেই বিপরীত বয়ান হলো– প্রথমত: একজন মানুষ হিসেবে, এ রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে একজন নারীর নিজ জীবনের অভিজ্ঞতা, প্রত্যক্ষণ, তার ইচ্ছা–অনিচ্ছা, পছন্দ–অপন্দ, ভাললাগা–না-লাগা, অভিমত প্রকাশের স্বাধীনতা ও অধিকার রয়েছে। এটি তার মানবাধিকার ও সাংবিধানিক অধিকার।
দ্বিতীয়ত, ভালবাসা, যৌনতা, প্রজনন, বিয়ে, বৈবাহিক সম্পর্ক, এগুলো শুধু ব্যক্তিগত প্রপঞ্চ নয়, এগুলো সামাজিক প্রপঞ্চও। এগুলো নারী–পুরুষ সকলের অধিকারের অনুষঙ্গ। এগুলো শুধু ‘ব্যক্তিগত পরিসরের’ (প্রাইভেট ডোমেইন) বা ‘গোপনীয়’ বিষয় নয়, এটি ’জন পরিসরের’ (পাবলিক ডোমেইন) বিষয়ও বটে। সে কারণে এসব বিষয়ে যে কেউ (নারী–পুরুষ উভয়ে) তার মতামত পাবলিক ডোমেইনে স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে পারেন।
তৃতীয়ত, লেখার ক্ষেত্রে একজন নারী লেখকের স্বাধীনতা কতদূর বিস্তৃত বা তার দায়িত্ব কী, সেটি অালাদা কোনো বিষয় নয়, অালাদা কোনো মানদণ্ডেও নির্ণীত নয়, এটি প্রথা–আচার–সংস্কৃতি দ্বারাও সীমিত নয়। আমাদের সংবিধানের মতপ্রকাশ সম্পর্কিত যে ধারা (আর্টিকেল ৩৯ (২) আছে, তা নারী–পুরুষ সব লেখকের জন্যই প্রযোজ্য, নারী লেখকদের জন্য অালাদা কোনো দায়িত্বশীলতা বা সীমারেখা, ছক নেই।
চতুর্থত, একটি বিদগ্ধ সমাজের বৈশিষ্ট্য হলো, লেখককে আক্রমণ নয়, লেখকের লেখা নিয়ে তর্ক, বিতর্ক, প্রতর্ক করা। লেখকের লেখাকে গ্রহণ বা বর্জন চলবে। কারণ এটি পাঠকের স্বাধীনতা, তিনি কী গ্রহণ করবেন, বা করবেন না। কিন্তু লেখককে পরিবারচ্যুত, সমাজচ্যুত বা দেশান্তর করা চলবে না। তাকে হুমকি দেয়া যাবে না, তাকে উদ্দেশ্য করে অপমানজনক বা অবমাননাকর ভাষা বা শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। তাকে মুরতাদ, কাফের, দেশদ্রোহী, ‘স্বাধীনতাবিরোধী’ বলা বা অন্যকোনোভাবে আক্রমণ করা যাবে না। এটি করা হলে, তা হবে একজন নারী লেখকের তথা নারীর তথা একজন নাগরিকের মানবাধিকার ও সাংবিধানিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। নিশ্চিতভাবে এটি একটি অপরাধ।
লেখকের স্বাধীনতার, অধিকারের কথাগুলো পুরুষ লেখকের বেলায়ও প্রযোজ্য। কিন্তু মনে রাখা দরকার, একজন পুরুষ লেখক সাধারণতঃ আক্রমণের শিকার হোন তার শ্রেণি, রাজনীতিক, সামাজিক, ধর্মীয়, জাতিক, কিংবা ভাষিক পরিচয়ে। কিন্তু নারী লেখকদের বেলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারী আক্রমণের শিকার হোন তার লিঙ্গীয় পরিচয়ে। এই প্রেক্ষাপট ও তফাৎটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে।