উইমেন চ্যাপ্টার:
রাত ৩ টার সময় রাস্তার পাশে ঘুমিয়ে থাকা মানুষগুলোও হয়তো জানতো না তাদের জন্য প্যাকেট ভর্তি মোরগ পোলাও, জর্দা, টিক্কা নিয়ে হাজির হবে কয়েকজন সুপার ভলান্টিয়ার।
সুপার ভলান্টিয়ার বলছি কারণ ফুড ব্যাংকিং এর জন্য আজকের কল টি আসে রাত ২ টার সময়। বিয়ের প্রোগ্রাম এ প্রায় ২২০ জনের খাবার বেঁচে গিয়েছে। রাত ২ টা বাজা সত্ত্বেও ভলান্টিয়ার ম্যানেজ করে উনাদেরকে কনফার্ম করার জন্য ১৫ মিনিটের বেশি সময় লাগেনি। কনফার্ম করার পর মিরপুর, উত্তরা, মগবাজার থেকে আমাদের ৭ জন ভলান্টিয়ার রাত ২.৩০ এর মধ্যে খাবারগুলা সংগ্রহ করে ফেলেন।
মগবাজার থেকে কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত ৯০ জন রিক্সাচালক, রাস্তার পাশে ঘুমিয়ে থাকা মানুষ, ফ্লাইওভার নির্মাণ শ্রমিক কে খাবারগুলা দিয়ে বাকি ১৫০ জনের খাবার নিয়ে যাওয়া হয় কমলাপুর বস্তিতে। ১৫০ জনকে খাবারগুলো দেয়ার পর ভোরে ভলান্টিয়ার রা তাদের বাসায় ফিরে।
২২০ জনের মোরগপোলাও, ৩০ জনের জর্দা, ৬০ টা টিক্কায় মোট ২৪০ জন অসহায় মানুষদের মুখে হাসি ফোঁটাতে পেরেছি আমরা। হাসিগুলা হয়তো এক বেলার, কিন্তু আপনার আমার আত্মার তৃপ্তিটা সবসময়ের। হয়তো তারাও অপেক্ষায় থাকবে কোন এক রাতে আবার তাদের জন্য প্যাকেট ভর্তি খাবার নিয়ে আসবো, আমরাও অপেক্ষায় থাকবো ফুড ব্যাংকিং এর কল এর জন্য।
অনুষ্ঠান এ খাবার বেঁচে গেলে ফোন করুন আমাদের ফুড ব্যাংকিং এর নাম্বার এ।
#প্রচেষ্টা_ফুড_ব্যাংকিং
#01842002023
#প্রচেষ্টা_ফাউন্ডেশন
(প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশনের সংক্ষিপ্ত পরিচয়: বছর চারেক আগে ইকরাম উদ্দিন আবীর নামের একজন উদ্যোক্তা বাংলাদেশ টেক্টটাইল ইউনির্ভার্সিটির কয়েকজন মিলে শুরু করেছিলেন এই ফাউন্ডেশন। বস্তির শিশুদের নিয়ে দুটি স্কুল চালান তারা, মোট ১৬০টি শিশু সেখানে। একেকটা বাচ্চার দায়িত্ব নেয়া আছে একেকজনের। সাতশ টাকা মাথাপিছু খরচ।
এর মাঝেই হঠাৎ করে চিন্তা আসে ফুড ব্যাংকিং এর। প্রচুর খাবার নষ্ট হয় বিভিন্ন প্রোগ্রামে অথচ অনেক লোকজন না খেয়ে থাকে। উদ্যোক্তাদের মতে, এর মধ্যে দুটি বিষয় কাজ করে, এক খাবারের অপচয় বন্ধ হয়, দুই, কিছু ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে খাবার তুলে দেয়া হয়। ভলান্টিয়াররাই কাজগুলো করে। ফোন পাওয়ার সাথে সাথে যার যার সুবিধা অনুযায়ী চলে যান, এবং কোন সময় নিজ খরচে, কিছু খরচ ফাউন্ডেশনের মাধ্য জোগাড় হয় এসব খাবার সংগ্রহ এবং বিলিবণ্টনের জন্য। প্রচেষ্টার আরেকটি কাজ আছে, তাহচ্ছে ব্লাড ডোনেশন।)