চিনে রাখুন এই শিশু নির্যাতককে

উইমেন চ্যাপ্টার:

এই সেই আয়শা লতিফ, যার ছবি সবাই দেখতে চেয়েছিলেন। এখন একটু ভালো করে দেখুন মুখটা, এবং চিনে রাখুন। কী সুন্দর না তিনি? কর্নেল তসলিম স্ত্রী তিনি। 

এই মুখশ্রীর আড়ালে তিনি একজন শিশু নির্যাতক, শুধু তাই নয়, পেটের দায়ে কাজ করতে আসা শিশু নির্যাতক তিনি। কিন্তু আইন তার জন্য নয়, এইদেশের আইন দুর্বলদের আরও দুর্বল এবং পথে নামিয়ে দেয়ার জন্য। যারা ক্ষমতাবান, যারা ডিওএইচএস জাতীয় জায়গাগুলোতে থাকেন, তাদের জন্য আইন নীরব। 

কিছুদিন আগেই ছোট্ট শিশু সাবিনার ছবিসহ খবরটি ছাপিয়ে ছিলাম আমরা। ডিম ভাজতে গিয়ে পুড়িয়ে ফেলার অপরাধে তার এই হাল করেছে এই নারী। সে এখন অন্ত:সত্ত্বা, জানি না আগে তার সন্তান আছে কীনা! মাতৃত্ব বা মনুষ্যত্ব কী জিনিস, এই নারীকে প্রয়োজনে ধরে এনে সেই শিক্ষাটা দেয়া উচিত। 

বন্ধু-সহযোদ্ধা শামীম আরা নীপার ওয়াল থেকে: 

“ছয় মাসের অন্তঃসত্বা আয়শা লতিফ ১১ বছরের সাবিনা কে পিটিয়ে জখম করে দিয়েছে…!!!
আয়শা লতিফের এই সুন্দর পাশবিক মুখশ্রী টুকু সবাই চিনে রাখুক…। 
ওরা গরীব মা বাবা’র সাথে টাকা’র বিনিময়ে ও ভয় দেখিয়ে এই পাশবিক নির্যাতনকে জায়েযও করে নিয়েছে হয়তো…!
তাই বলে কি আমাদের কোন দায়িত্ব কর্তব্য নেই…? এই ঘটনাগুলোতে সমাজ ও এই দেশের নাগরিকদের কি কোনো ভূমিকা নেই…??? (আয়শা লতিফের ছবি ফেইসবুক থেকে সংগৃহীত)”

শিশু নির্যাতক আয়শা লতিফ এবং তার স্বামী কর্নেল তসলিম

সাবিনাকে কেউ একজন উদ্ধার করে পল্লবী থানায় নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) তার চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু কোনো অশরীরী ক্ষমতা বলে সাবিনাকে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ‘উন্নত’ চিকিৎসার নামে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সিএমএইচ এ, যেখানে সাধারণের আর প্রবেশ থাকবে না, আমরা জানবোও না, সাবিনার শেষপর্যন্ত কী হয়? কত টাকায় আপোস হয়? এবং এভাবেই চলতে থাকবে দেশ, আর এই যে সুন্দর মুখশ্রীরাও বিভিন্ন পার্টিতে আরও সুন্দরী রমনী সেজে স্বামীর বগলদাবা হয়ে সুখে দিনাতিপাত করতেই থাকবেন। 

আরেকটা মর্মন্তুদ ঘটনা না ঘটনা পর্যন্ত আমরাও শীতঘুম দেবো, ঘটলে পর আগমোড়া ভেঙে জেগে উঠে দেখবো, দেশটা সেখানেই থেমে আছে, একচুলও নড়েনি। বাহ। আর কিছু যদি নাও পারেন, ধিকটুকু অন্তত জানিয়ে আসুন এই নারীকে। আমরা তো ক্ষমতার কাছে অসহায়। তাই শতধিক তোমায়, আয়শা। 

শুনেছি সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ আইন নাকি আরও ভয়াবহ। আমরা চাই, এই ঘটনাার বিচার হোক। দোষী উপযুক্ত শাস্তি পাক, আর ক্ষতিগ্রস্ত পাক ক্ষতিপূরণ। এবং সেই খবরটি আমরা জানতে চাই।

আগের খবরটার লিংক: https://womenchapter.com/views/21479

শেয়ার করুন:
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.