উইমেন চ্যাপ্টার:
মাত্রই একটা লেখা আপ করলাম, যেখানে একজন দাদা তার নাতনীকে বিয়ের জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠায় শেষপর্যন্ত দাদী অনন্যোপায় হয়ে নিজ স্বামীকে খুন করেছে। খুবই বাজে অভিজ্ঞতা। কাঙ্খিত নয়। সাথে সাথেই এক বড় আপা ইনবক্সে এই লেখাটি শেয়ার দিয়ে জানতে চাইলেন, এর ক্ষেত্রে কী বলবো? নিজের বাবা পাঁচ বছর বয়সী মেয়েটাকে ধর্ষণ করেছে, এবং পরে মেয়েটির দাদী নিজের ছেলেকে বাঁচাতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে শিশুটিকে।
কিছুক্ষণ নির্বাক চেয়ে থাকলাম নিউজটার দিকে। বলার আছে কিছু? এই সেদিনও তেজগাঁও থানার ভিকটিম সেলের কর্মকর্তা বলছিলেন এক অনুষ্ঠানে, প্রচুর সংখ্যায় এখন বাবা কর্তৃক মেয়ে ধর্ষণের কেস আসছে তাদের কাছে। মেয়েরা বলতেও পারছে না, বাড়িও ছাড়তে পারছে না, আর মেয়ের মাও সংসার ছাড়তে পারছে না কোথাও যাবার জায়গা নেই বলে।
এ কেমন সামাজিক অবক্ষয়ের শিকার হলাম আমরা? কেন এই অবস্থা? আজকেই কি নতুন হচ্ছে এসব? নাকি আগেও হতো, প্রকাশ হতো না কেবল!
ভারতে নির্ভয়া হত্যাকাণ্ডের পর সেদেশের সরকারের উপর ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ অব্যাহত আছে, সরকারও চেষ্টা করে যাচ্ছে, কিন্তু তারপরও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। যে ধর্ষক, সে অনায়াসেই তা করে যাচ্ছে।
নির্ভয়া হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় হয়েছে কদিন আগেই। ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছে। যদিও ধর্ষণের মতোন অপরাধের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডও নস্যি মনে হয়। এদিকে বয়সের কারণে একজন রেহাই পেয়ে গেছে, তারপরও আলোচিত এই ঘটনায় একটা ন্যায়বিচার অন্তত নিশ্চিত করা গেছে, এটাই আন্দোলনকারীদের সাফল্য।
কিন্তু এই যে পাঁচ বছরের মেয়েটিকে যে ধর্ষণ করলো তার বাবা, এর কী হবে? পুলিশ ২৬ বছর বয়সী শ্রমিক সাচিন শিন্দেকে গ্রেফতার করেছে, যে কিনা গত শনিবার রাতে মাতাল অবস্থায় তার ৫ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। এই ঘটনায় মেয়েটির দাদী অনুসুয়া শিন্দেকেও গ্রেফতার করেছে, কারণ সে তার ছেলেকে ধর্ষণের অভিযোগ থেকে বাঁচাতে নাতনীকে গলা টিপে হত্যা করেছে। কী ভয়াবহ! একটি অপরাধকে ঢাকতে আরেকটি অপরাধ! এবং এক্ষেত্রে নারী-পুরুষ উভয়ই যুক্ত। কাকে দোষ দেবেন তাহলে?
এবার দেখা যাক, ঘটনার দৌড় কোন পর্যন্ত যায়!