সিতি সালমা খান:
হ, আমি বেশ্যা মাগি,
ভাতার খাগি,
তর তাতে কী?
তর বাপে তো রইজ বিহানে
নিশাকালের হল্লা শেষে
আড়মোড়া দেয় মোর বিছানে।
এমনি, এমনি!
মশকরা নি?
গতর খাটাই
পয়সা ছাড়া অমন পাঠা
কে নেয় ঘরে
মিঠা স্বরে?
বুঝলি ভোদাই!
শোন তবে কই
এক না নিশায় —————
তর বাপে ছিল্ বেজায় খুশ।
টাকার আশায়, মদের নেশায়
এক্কেবারে মত্ত, বেহুশ।
মওকা ভারী, ছাড়তে পারি!
যেই না চাওয়া, অমনি পাওয়া।
কোন্ গাহকের বায়না ছিল সাতনরি হার, খাঁজে খাঁজে
পান্না ভরা
সেই হারটা আমায় দিল।
মনডারে কই, “ঐ আবাগী
তোর মনের আশা পূরণ হবি
কাইল সকালে এখান বেঁচি
পুঁচু সোনাক স্কুলে দিবি।
আর যা থাকে, সামলে রাখিস
একি আর তেমন জিনিস!”
আরে ছ্যা, ছ্যা, ছ্যা——–
চার ভরি হার, দেড় ভরি খাদ।
যার পাতে খাস-
ফুটা করিস তারই পাত!
তয় তরে কই__________
ভুলেও যদি এপথ মাড়াস
চলতি পথে একটু দাড়াস, রাত ফুরাবে, দিন হবে না
তোর ওই হাতে আর কোনদিন
ভাতের গেরাস ঠোঁট ছুঁবে না।
সাহস কত!
বেজম্মার পুত
জোর খাটাবি?
বেশ্যা আমি, গতর বেঁচি
পেটের দায়ে
তর বাপের অসৎ আয়
আমার কাছে শক্তি পায়,
আমার আয়ে আমার পুঁচু
রোজ দুবেলা অন্ন পায়।
হ, আমি বেশ্যা মাগি, ভাতার খাগি
তোর তাতে কি?
ইচ্ছা আমার, গতর খাটাই
নিত্যি রাইতের নাটক পালায়
নটী আমি, মূল ভূমিকায়!
ভোর বেলাতে পুঁচুর মা-ই।
তারপরেতেও জানাই তরে
তোর সাথে আমি শুইমু নারে
গতর বেঁচি, ইচ্ছা আমার
জোরে পাবি, সেই আশা ছাড়।
না কয়েছি, তফাৎ থাক।
কি কইলি তুই হারামজাদা
কিসের এত সাধাসুদা?
বেশ্যার আবার কিসের মানা?
জানস না তুই_____
“না” মানে না!!!!