শান্তা মারিয়া:
আর কোনো কথা নাই। ভালো কথার দিন শেষ। প্যাচাল পাড়ারও আর সময় নেই। এখন একটাই দাবি এ দেশকে ধর্ষণমুক্ত করতে হবে। এদেশে এখন আর কেউ নিরাপদ নয়। দরিদ্র আয়শা থেকে ধনীকন্যা শাজনীন। পথশিশু থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। আট মাস বয়সী শিশুকন্যা থেকে পাঁচ সন্তানের জননী। সংখ্যালঘু থেকে সংখ্যাগুরু, পাহাড়ি থেকে বাঙালি, আদিবাসী থেকে ভিনদেশী কেউ নিরাপদ নয়। কোন স্থান নিরাপদ নয়। মসজিদের ভিতরে, ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, হাসপাতালে, পাঁচ তারা হোটেলে কোথাও কেউ নিরাপদ নয়।
শুধু তাই নয়, ধর্ষকদের আবার আস্ফালনও আছে। আপন জুয়েলার্সের মালিক নিজেই তার ধর্ষক ছেলের পক্ষে সাফাই গাচ্ছে। ধর্ষণের সময় ধর্ষক সাফাত আস্ফালন করছে যে এই দুই মেয়েকে কেটে ফেললেও কিছু হবে না। এরপরও যদি আমরা সবাই চুপ করে থাকি তাহলে বলতে হবে আমরা কেউ বেঁচে নেই।
আমরা এখন মাঠে নেমে গেছি। এখন আলোচনার সময় নয়। এখন সোজা মার লাগাতে হবে। সাইজ করা ছাড়া পথ নেই। আমরা ৯ মাসে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করতে পেরেছি। পাকিস্তানি ধর্ষকদের দেশছাড়া করতে পেরেছি। কিন্তু দেশ থেকে খাস দেশীয় মাল লুচ্চা ধর্ষকদের দূর করতে পারছি না।
আসুন ধর্ষণের বিরুদ্ধে সর্বস্তরে প্রতিরোধ গড়ি। গ্রামে–শহরে সবজায়গায় যেখানেই ধর্ষক পাবেন, প্রতিরোধ করবেন। তাদের বিরুদ্ধে গনশাস্তির ব্যবস্থা হোক। যে বাড়িতে ধর্ষক আছে তাদেরকে একঘরে করুন। কোন ছেলের নামে যদি একবার ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তবে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করবেন না, সেই বাড়িতে মেয়ের বিয়ে দিবেন না।যে অফিসের বস ধর্ষক সেখানে কেউ চাকরি করবেন না। ধর্ষক যদি নিজের আত্মীয় হয় তাহলে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিন। যে যার যার অবস্থান থেকে প্রতিরোধ করুন।
ধর্ষণের পক্ষে যারা সাফাই গায় তারাও পোটেনশিয়াল ধর্ষক। এরকম কোন কথা অফিসে, আদালতে, স্কুলে-কলেজে, হাটে বাজারে যেই বলুক, সাথে সাথে সবাই মিলে প্রতিবাদ করুন। ধর্ষণ শুধু নারীর ইস্যু নয়, শুধু নারী সংগঠনের দায় নয়, এটি নারী–পুরুষ সকলের ইস্যু। যারা ধর্ষক সাফাত, নাঈম (শোনা যাচ্ছে তার প্রকৃত নাম হালিম), সাদমানের পক্ষে যায় এমন একটি কথাও বলবেন, তাদেরকে সাথে সাথে মার দিতে হবে। ওই হারামজাদাদের গায়ের চামড়া তুলে মরিচ লাগানো দরকার। চোরাচালানকারীর ধর্ষক ছেলের পক্ষে যে কথা বলবে সে একটা বেজন্মা। ধর্ষক ও তাদের চোরাচালানকারী বাপের জন্য আমার প্রস্তাবিত শাস্তি– ভিকটিমরা তাদের কিল, ঘুষি, লাত্থি মারবে যেমনে খুশি। অতঃপর তাহাদের নপুংসক করে দেওয়া হবে। তারপর তাদের চোরাচালানকৃত সোনা তাদের গিলানো হবে।
যদি কেউ প্রশ্ন করে বা বলে মেয়েরা কেন হোটেলে গিয়েছিল, কোনো জবাব দিবেন না, সোজা মুখ বরাবর ঘুষি মারবেন।
সকল ধর্ষককে শাস্তি দিতে হবে। দেশে আর একটি ধর্ষণও হতে দেওয়া যাবে না। যে এলাকায় এমন হবে, সেই এলাকা ঘেরাও করা হবে। সেই এলাকার পুলিশকে জবাবদিহি করতে হবে। সেই এলাকার থানা ঘেরাও করা হবে।
ধর্ষকের আর কোনো ছাড় নেই। আসুন আমরা জনতার শক্তিতে, আমাদের শক্তিতে দেশ থেকে ধর্ষণের নাম নিশানা মুছে দেই। আপনি যদি মানুষের বাচ্চা হয়ে থাকেন তো প্রতিবাদে সামিল হোন। নইলে কাল যদি আপনি বা আপনার সন্তান ধর্ষণের শিকার হয় তাহলে কেউ পথে নামবে না।