উইমেন চ্যাপ্টার:
বাল্য বিয়েতে সহযোগিতা ও সরকারি দায়িত্বে অবহেলার অপরাধে লালমোহন পৌরসভার উচ্চমান সহকারী নাজিম উদ্দিনকে পাঁচ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকালে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল আরিফ প্যানেল কোডের ১৮৮ ধারায় এই কারাদণ্ড দেন।
নাজিম উদ্দিন লালমোহন পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড বর্নালী সড়কের ছানাউল্ল্যা মিয়ার মেয়ে তাইয়্যেবা আক্তার প্রমির বাল্য বিবাহে সহযোগিতা স্বরূপ আইনের তোয়াক্কা না করে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন কার্ড ইস্যু করে। যাতে প্রমির জন্মতারিখ দেখানো হয় ৩১ মার্চ ১৯৯৯।
প্রমির পিএসসি ও জেএসসি সনদ অনুযায়ী তার বয়স না দেখিয়ে বিয়ের স্বার্থে জন্ম নিবন্ধনে বয়স বেশি দেখানো হয়েছে এবং সঠিক তথ্য যাচাই বাছাই না করা ও সরকারি নিয়ম অনুসরণ ছাড়া জন্মনিবন্ধন কার্ড দেওয়ায় নাজিম উদ্দিনকে এই সাজা দেওয়া হয়।
প্রভাবশালীদের পরিবারে বাল্য বিবাহ বন্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এটি একটি বড় পদক্ষেপ। (সূত্র: লালমোহনবিডি নিউজ)
ঘটনা-দুই
ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ৪নং ওয়ার্ডে জন্ম সনদ জাল করে এক কিশোরীর বিয়ের প্রস্তুতি নিলে বেসরকারি উন্নয়নমূলক সংস্থা কোস্ট ট্রাস্ট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মহিলা অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে রিনা (১৬) নামের এক কিশোরীর বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে বাপ্তা ৪নং ওয়ার্ডের মো. সামসুদ্দিনের মেয়ে রিনার সাথে একই বাড়ির লাল মিয়ার ছেলে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে চাকুরিরত মো. জামালের সাথে বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। এ সংবাদ পেয়ে কোস্ট ট্রাস্টের ইসিএম প্রকল্পের জসিম রানা ও রেশমা বেগম প্রথমে ওই বাড়িতে গিয়ে এ বিয়ে বন্ধের পরামর্শ দেন। কিন্তু উভয়ের অভিভাবক বিষয়টি গুরুত্ব না দিলে তা প্রথমে হট লাইন ১০৯৮ এ জানানো হয়।
তাদের পরামর্শে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৃধা মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলামকে জানানো হয়। অবশেষে তিনি মহিলা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও ভোলা সদর থানার পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে দেখা যায় সদ্য এসএসসি পরীক্ষা দেয়া রিনার রেজিষ্ট্রেশন কার্ড অনুসারে তার বয়স হয়েছে মাত্র ১৬বছর। ওই মুহূর্তে রিনার বাবা রিনার ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া একটি জন্ম সনদ দেখালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেই সনদটি জাল বলে চ্যালেঞ্জ করেন। পরবর্তিতে এ সনদের ব্যাপারে বাপ্তা ইউনিয়নের সচিব ও তথ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তাকে ডাকা হয়। এসময়ে তারা জানান, রিনার বাবা বাপ্তা ইউনিয়ন পরিষদের একটি কু-চক্রিমহলের সাথে হাত মিলিয়ে এ জন্ম সনদটি জাল করেছে। ওই মুহূর্তে লিখিতভাবে বিয়েটি বন্ধ করে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
বাপ্তা ইউনিয়নের জন্ম সনদ জালিয়াতি চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার প্রস্তুতি চলছে। (সূত্র: জনসংবাদ ডটকম)