কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতিবন্ধকতা; জাতিসংঘের ঘোষণা ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা

মৌসুমী কাদের

প্রতি বছর ৮ মার্চ তারিখে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়। এবছর জাতিসংঘের থিম হচ্ছে ‘Women in the Changing World of Work: Planet 50-50 by 2030’।  বাংলাদেশ সরকার এর তরজমা করেছে,  ‘নারী-পুরুষ সমতায় উন্নয়নের যাত্রা, বদলে যাবে বিশ্ব, কর্মে নতুন মাত্রা’।

সারা বিশ্বেই এখন কাজের ক্ষেত্রটি বদলে যাচ্ছে আর এর একটা বিশাল প্রভাব পড়ছে নারীর উপর। একদিকে আমরা বিশ্বায়ন, প্রযুক্তি, ডিজিটাল বিপ্লব এবং এর ফলশ্রুতিতে গড়ে ওঠা নানা সুযোগ সুবিধার কথা বলছি; আবার অন্যদিকে শ্রম, অস্থায়ী জীবিকা ও আয়, নতুন অর্থবছর, বাণিজ্য নীতি, পরিবেশগত প্রভাব ইত্যাদি নারীর অর্থনৈতিক উন্নয়নে কতটা প্রভাব রাখবে সে বিষয়ে স্পষ্ট দিক নির্দেশনা পাচ্ছি।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস মূলত বিগতকালীন সমস্ত পদক্ষেপগুলির সার্বিক অগ্রগতি যাচাইসহ সাধারণ নারীদের উন্নয়ন ও পরিবর্তনের ডাক দিয়ে আসছে। এবং আগামী দিনগুলোতেও যেন একই সংকল্প ও সাহস নিয়ে এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখা যায় সেই  উদ্দেশ্যে কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিবসটি পালন করা হয়।

জাতিসংঘ ঘোষিত ২০৩০ নাগাদ কিছু লক্ষ্যমাত্রা হলো:

  • ২০৩০ সাল নাগাদ নিশ্চিত করা যেন সকল মেয়ে এবং ছেলেরা বিনামূল্যে, ন্যায়সঙ্গত এবং মানসম্মত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অর্জন করবে।
  • যে সকল মেয়েরা ছেলেদের সমান মানের শৈশবের উন্নয়ন, যত্ন এবং প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেনা তাদের প্রাথমিক শিক্ষাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধার জন্য প্রস্তুত করা।
  • সর্বত্র নারী ও মেয়েশিশুদের বিরুদ্ধে সকল প্রকার বৈষম্য দূর করা।
  • সরকারী ও বেসরকারী উভয় ক্ষেত্রেই সকল নারী ও মেয়েশিশুদের বিরুদ্ধে
    পাচার এবং যৌন শোষণ সহ সকল প্রকার সহিংসতা বর্জন করা।
  • সব ক্ষতিকর অভ্যাস বর্জন নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেয়া, যেমন বাল্য বিয়ে, জোরপূর্বক বিয়ে অথবা নারীর যৌনাঙ্গে অঙ্গহানি ইত্যাদি।

২০১৫ সালেই বিশ্ব নেতারা টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলেন এবং এর অন্যতম এজেন্ডা ছিল ‘জেন্ডার সমতা, সব নারী ও মেয়েশিশুদের ক্ষমতায়ন স্থাপন’। এই লক্ষ্যমাত্রা থেকে যা চাওয়া হয়েছিল তা হল, দরিদ্রতা থেকে মুক্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রচার, দেশের ভেতরে ও বাইরে বৈষম্য হ্রাস, লিঙ্গ সমতা, নারী ও মেয়েশিশুদের ক্ষমতায়ন অর্জন, এবং বিশ্ব বাজারে নারীর পূর্ণ সম্ভাবনার উদ্ভাবন ও উদ্ঘাটন।  

গত ১০ বছর আমি কানাডার ‘কর্মসংস্থান সেবা বা কর্মপ্রবাহ উন্নয়ন’ (Workforce Development) এর সাথে সরাসরি যুক্ত আছি। এর আগে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল আরো অনেক  দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে প্রায় ১৫ বছর সরাসরি কাজ করেছি। পূর্ব বা পশ্চিম যেখানেই কাজ করিনা কেন ‘নারী শ্রম’ প্রশ্নে সারা বিশ্বে বিরাজমান পরিস্থিতি অনেকটাই এক। এখনও যে ধরণের সাধারণ বিষয় নিয়ে  নারীদের যুদ্ধ করতে হয় বা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়, সেক্ষেত্রে ‘বৈষম্য হ্রাস’, ‘লিঙ্গ সমতা’ ‘কর্ম পরিবেশ’ এ  প্রশ্নগুলো রয়েই যায়। 

পরিবর্তনশীল বিশ্বে যেখানে লিঙ্গ বৈষম্য  এখনও শতকরা ২৪ ভাগ, সেখানে   নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন  নিশ্চিত করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। গার্হস্থ্য ও সকল ধরনের সেবামূলক কাজ সহ, নেতৃত্ব, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও সামাজিক সুরক্ষা প্রদানে জেন্ডার ঘাটতি কমানো সহ কর্মসংস্থান তৈরীতে, দারিদ্র্য দূরিকরণে এবং টেকসই প্রবৃদ্ধিতে লিঙ্গ-প্রতিক্রিয়াশীল অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণ করা অত্যন্ত জরুরি। 

কানাডার লেবার মার্কেট, এমপ্লয়ার, ওয়ার্কপ্লেস কালচার এগুলোর সাথে সরাসরি যুক্ত থাকার কারনে গত দশ বছরে উত্তর আমেরিকার শ্রমবাজারে নারী-পুরুষের সমতা-অসমতা, দক্ষতা-অদক্ষতা, প্রতিকূলতা-সীমাবদ্ধতা ইত্যাদি কিভাবে যাচাই বাছাই করা হয় তার একটা সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরতে পারি। নারী-পুরুষের লিঙ্গ ভেদ ছাড়াও আরো কয়েকধরনের ভেদাভেদ আছে। জাতিভেদে স্থানীয় কানাডিয়ান (নেটিভ / ককেশীয়)  ইন্টারন্যাশনাল প্রফেশনালস (উন্নয়নশীল দেশ সহ সারা পৃথিবীর নানাদেশের অভিবাসীরা), রিফিউজি ইত্যাদি।

শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে স্থানীয় শিক্ষা আছে কি নেই সেটি যাচাই করা হয় অথবা অন্য কোন দেশ থেকে উচ্চতর ডিগ্রী থাকলে সেটি ‘ক্রিডেনশিয়াল এসেসমেন্ট’এর মাধ্যমে কানাডিয়ান ইকুইভেলেন্সি চাওয়া হয়। এক্ষেত্রে  নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে যাচাইয়ের ভাবনাটা এক। তবে বিশেষ কাজের ক্ষেত্রে দক্ষতা যাচাইয়ের সময়ে চিত্রটি বদলে যায়। জাতিগত ভেদের চাইতে পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানোর যোগ্যতা, নির্দিষ্ট কাজের দক্ষতা, উপস্থিতির পরিমাণ, ইত্যাদি বিস্তারিত যাচাই বাছাইয়ের প্রয়োজন হয়।  

একজন নারী যখন চাকুরী সংক্রান্ত সেবা নিতে আসে তখন উপরে উল্লেখিত  বিষয়গুলো ছাড়াও তার আচরণ, অবয়ব ইত্যাদি পশ্চিমা শ্রম বাজারের সাথে সংগতিপূর্ণ কিনা সেগুলো আলাদা করে লক্ষ্য করতে হয়। ইংরেজী বলার দক্ষতা, উচ্চারণ, বিশেষ কোনো মুখভঙ্গি আছে কিনা, শব্দের ফাঁকে অন্য কোন ভাষা, শব্দ বা অভিব্যক্তি ঢুকিয়ে  দিচ্ছে কিনা  ইত্যাদি লক্ষ্য করা হয়।

প্রশ্ন আসতেই পারে পুরুষের ক্ষেত্রে কি একই জিনিষ করা হয় না? অবশ্যই হয়। তবে শারীরিক ও পারিবারিক কারণেই নারীর কাজের সীমাবদ্ধতা ও প্রত্যাশা আলাদা। বেশীর ভাগ নারীই অফিস জব ছাড়া আর কোন কাজে উৎসাহ দেখান না। এর সংগে পুরুষের গৃহস্থালী ও শিশু লালন পালনের কাজ না করা বা অবহেলা করার রাজনীতি জড়িত। পারিবারিক সীমাবদ্ধতা এবং ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জের কারণেই নারীর অবস্থা পুরুষ থেকে আলাদা।   

আমার কাজের সূত্র ধরে কয়েকটি উদাহরন দেয়া যাক। এক, একজন বাংলাদেশি মেয়ে জিন্সের প্যান্টের সাথে ফতুয়া ও ওড়না জড়িয়ে এসেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘বিবিএ’ ‘এমবিএ’ করা, তবে কানাডায় কাজের কোন অভিজ্ঞতা নেই।  সারভাইভাল কোন কাজ তিনি খুঁজছেন না, তাকে যেন নিদেনপক্ষে একটা মিড-লেভেলের চেয়ারে বসা চাকরী পেতে সাহায্য করি।  

দুই, ক্যারিবিয়ান কোন এক দেশের কালো একজন নারী। খোলামেলা পোশাক, গাঢ় মেকাপ, টাইটসের সাথে সর্ট স্কার্ট, লং কোট। ঝরঝরে ইংরেজীতে কথা বলছেন। নিজের দেশে রিটেইল স্টোরের মালিক ছিলেন। ইনিও কানাডায় নতুন। এখানকার কাজের পরিবেশ, সংস্কৃতি কিছুই তার জানা নেই। তাই ছোট কোন কাজ দিয়েই শুরু করতে চান।

তিন, রেফুজি স্পন্সরশিপ প্রোগ্রামে সিরিয়া থেকে ওয়ান ওয়ে টিকিটে আসা আরেক নারী। এক অক্ষরও ইংরেজী জানেন না। ছোট বাচ্চা কোলে, দোভাষী নিয়ে এসেছেন। বয়স ১৮/১৯ হবে। মাথায় স্কার্ফ। ইনি এবং তার স্পন্সরেরা আরবী ভাষাভাষী যেকোনো কাজের পরিবেশে ঢুকে যাবার জন্যে প্রস্তুত।  প্রতিযোগিতামূলক বাজারে এই তিনজন নারীর প্রতিবন্ধকতাগুলো আলাদা আলাদা। কিন্তু তারা একই শ্রম বাজারে একই সঙ্গে পুরুষের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে এবং পাশাপাশি নিজেরাই নিজেদের জাতিভেদ, সংস্কৃতি নিয়ে চাকরি পাবার জন্য যুদ্ধ করছে।

এছাড়া বাস্তবতার সাথে বেমানান প্রত্যাশার কারণেও শ্রমবাজারে দ্বিগুণ প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হচ্ছে তারা, যেখানে পুরুষের অবস্থা অপেক্ষাকৃত সরল। তারা স্ত্রীকূলকে বাড়িতে ডাম্প করে সারারাত কাজ করতে পারেন এবং রেজুমিতে লেখেন ‘এভেইলেভেল ইন নাইট শিফট’।  

এবার নিয়োগকর্তাদের সম্পর্কে একটু ধারণা দেয়া যাক। ইংরেজী ভাষা এবং কম্পিউটারে নূন্যতম জ্ঞান ছাড়া চেয়ারে বসার সুযোগই দিতে চান না তারা। আর চাকুরীপ্রার্থী যদি নারী হন তাকে তো নানাধরণের প্রশ্নের সম্মুখীন হতেই হয়। যেমন তিনি দেখতে কেমন, শরীর হালকা না মোটা, গেট আপে স্মার্ট কিনা, শিশু সন্তান থাকলে তার দেখভালের ব্যবস্থা আছে কিনা, কর্মস্থল থেকে তার বাড়ির দূরত্ব কত, গাড়ি চালাতে পারেন কিনা বা নিজের গাড়ি আছে কিনা, নাকি পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করবেন, ইত্যাদি ইত্যাদি। একইসংগে এই প্রশ্নগুলো যদি একজন পুরুষকেও করা হতো, তবে হয়তো আপত্তির প্রশ্ন আসতো না। কিন্তু ধরেই নেয়া হয় এগুলো নারীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা প্রশ্ন।

মৌসুমী কাদের

বাচ্চার দেখভাল তারাই করে, তারাই আলসে হয়, ছোট বাচ্চা থাকলে রাতে তারা ঘুমায় না আর দিনে ঝিমায়, মোটা হলে চলাফেরায় অসুবিধা তাই দ্রুত কাজ করতে পা্রে না, স্মার্ট আর সুন্দরী না হলে রিসেপশনে তাকে বসানো যাবে না যেহেতু অর্গানাইজেশনের ফার্স্ট কন্টাক্ট হিসেবে এই নারীটিকে ‘প্রডাক্ট’ হিসেবে ব্যবহার করা হবে। ফ্যাক্টরি ওয়ার্কারদের ক্ষেত্রে দেখা যায় মেশিনের সাথে তাল মিলিয়ে নারীদের কোমল হাত  দ্রুত ও সমান্তরালভাবে চলতে পারেনা। দুদিন পরই ছাটাই এর তালিকায় নাম পড়ে যায়।   

আমরা জানি, নারী ও পুরুষের কাজের সময়, পরিমাণ, এবং অভিজ্ঞতার ধারাবাহিকতা মধ্যে পার্থক্য থাকে। নারীরা পরিবার ও মাতৃত্বকালীন ছুটির কারণে একটা দীর্ঘ সময়ের জন্য শ্রমশক্তি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। ফলে তাদের কর্ম অভিজ্ঞতার ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ে এবং এর প্রভাব মজুরীতে আঘাত করে। কিন্তু বেশীর ভাগ সময়েই দীর্ঘ বিরতির পর একই নিয়োগকর্তার কাছে ফিরে গেলে নারীদেরকে পদোন্নতি থেকে দূরে রাখা হয়।

আবার এই নারীটিই যদি অন্য কোন সংস্থায় যোগ দিতে চায় তবে তাকে অপেক্ষাকৃত কম বেতনে নিচু পদ গ্রহণ করতে হয়। চাকরি সম্পর্কিত দক্ষতা সাধারণত ক্যারিয়ারের শুরুতেই অর্জিত হয় কিন্তু সন্তান ধারণ এবং প্রতিপালন সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের কারণে নারীরা চাকরীর বাজারে পিছিয়ে পড়ে।   

মূল কথা হলো, কর্মক্ষেত্রে নারীর জাগতিক পিছিয়ে পড়ার জন্য মূলত পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাই দায়ী। নারী-পুরুষ সমতা নিশ্চিত করতে না পারলে এককভাবে পুরুষ যেমন উন্নয়নের ফসল ফলাতে পারবেনা। তেমনি বিশ্ববাজারে নারীর সঠিক ও পূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হলে  পুরষদের সন্তান পালন সহ সকল গৃহস্থকাজে সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এবং যতদিন পর্যন্ত নারীর উপর এই একপেশে বৈষম্য ও মনোভাব দূর না হবে ততদিন এটি একটি বাধ্যতামূলক ব্যবস্থার অনর্ভূক্ত থাকতে হবে। পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতা ছাড়া এই আন্দোলন সম্ভব নয়।

মূল ভিতটি প্রধানত তৈরি করতে হবে পরিবা্রেই। শিশুকাল থেকে জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করা না হলে নারী পূর্ণ মানুষ হিসেবে বিকাশ লাভ করবে না। পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় দেখা যায়, পুরুষেরা ‘চাকুরী এবং পরিবার’ এ দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে না পেরে গৃহস্থালী এবং সেবামূলক দায়িত্বগুলো নারীর উপর চাপিয়ে দেয়।

পারিবারিক কর্মকাণ্ডে পুরুষের তুলনায় নারী ঘন্টায় অনেক বেশি কাজ করে, কিন্তু বিনিময়ে কোন মূল্যই পায় না। আর এখানেই পুরুষ নারীকে চরমভাবে ঠকিয়ে দেয়। এমনকি পিতৃত্বকালীন ছুটিতেও দেখা যায় শিশুর দেখাশোনা না করে স্ত্রীর উপর দায়িত্ব চাপিয়ে পুরুষটি এখানে সেখানে ঘুরে বেড়ায়। কর্মস্থলে নারী যদি সব সময় সহজলভ্য না হয় তাহলে লিঙ্গ-সমতা আশা করা অবাস্তব।

জাপানে, কর্মস্থলে দীর্ঘ কাজের ঘন্টার দাবীর কারণে ‘মাতৃত্ব ও কেরিয়ার’ দুটি একসাথে নারীর জন্য একটি চ্যলেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং ফলশ্রুতিতে কম-জন্মহারে এটি প্রভাব ফেলছে। সেকারনেই, শুধুমাত্র দিন-রাত, পার্ট টাইম, ফুলটাইম, অতিরিক্ত সময়, সবসময় কাজ করতে সক্ষম হলেই চলবে না,  পরিবার যখন নারীকে পূর্ণমাত্রায় সহযোগিতা করবে, সমাজ তাকে সঠিক নিরাপত্তা দেবে, তখনই জাতিসংঘের শ্লোগান  ‘বিশ্বের পরিবর্তিত কর্মস্থলে নারীঃ ২০৩০ সাল নাগাদ ৫০-৫০’ এই টার্গেট সফল হবে।   

সূত্র:  http://www.unwomen.org/en/news/in-focus/international-womens-day, http://www.mowca.gov.bd/·        http://www.un.org/en/events/womensday

লেখক: এমপ্লয়মেন্ট এডভাইজার, উডগ্রীন ওয়ার্কফোর্স ডেভলপমেন্ট, টরন্টো, কানাডা

শেয়ার করুন:
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.