উইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক (১৩ জুলাই): প্রধান বিরোধী দল বিএনপি মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ পুরো কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবি জানানোর একদিন পরই একই দাবি করেছে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামী।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, এই কোটা ব্যবস্থার সুযোগে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মেধাবী না হয়েও সহজেই সরকারি প্রশাসনের উচ্চ পদে চাকরি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রশাসনকে দলীয়করণ করার উদ্দেশ্যেই এ কোটা ব্যবস্থা বহাল রাখা হচ্ছে। এতে সরকারি প্রশাসনে প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীরা ঢুকতে না পারার কারণে প্রশাসন মেধা শূন্য হয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রশাসনের দক্ষতা ও যোগ্যতা হ্রাস পাচ্ছে। কাজেই কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে চাকুরি দেয়া প্রয়োজন।
এদিকে একদিন আগেই বিএনপিও সরকারি চাকরির কোটা পদ্ধতি বাতিলে আন্দোলনকারীদের দাবি বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশ মেধাশূন্য করার পাঁয়তারা করছে সরকার।
কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক বলে উল্লেখ করা হয় জামায়াতের বিবৃতিতে।
রফিকুল ইসলাম হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান এবং কোটা ব্যবস্থা বাতিল ও সংস্কার এবং পুনর্বিন্যাস করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ওই বিবৃতিতে।
তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে এ কোটা ব্যবস্থায় মুক্তিযোদ্ধাদের পোষ্য কোটায় ৩০ শতাংশ, জেলা ও নারী কোটায় ১০ শতাংশ করে এবং উপজাতিদের জন্য রয়েছে ৫ শতাংশ কোটা। এ হিসেবে কোটায় চাকরি পাচ্ছে ৫৫ শতাংশ। বাকি ৪৫ শতাংশ পূরণ করা হয় মেধার ভিত্তিতে।এতে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা প্রাপ্য চাকুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, কোটার কারণে ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ নম্বর পেয়েও মেধাবীরা চাকরি পাচ্ছে না। অথচ কোটা ব্যবস্থার কারণে একজন কম মেধাবী ৫৫ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়েও চাকরি পেয়ে যাচ্ছে।
এতে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উল্লেখ করে জামায়াত নেতা বলেন, এ বৈষম্যের ফলে তারা বিক্ষুব্ধ হয়েছে। যে কারণে তারা একান্ত বাধ্য হয়েই রাজপথে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছে।