বন্ধু ও লাইব্রেরি সমাচার

আকতার বানু আলপনা: যেকোনো বিপদে সাহায্যের জন্য নিঃস্বার্থ যে হাতটি প্রথম এগিয়ে আসে, তার নাম বন্ধু। আনন্দ বা দুঃখের যেকোনো খবর শেয়ার করার জন্য প্রথম পছন্দের মানুষের নাম বন্ধু। যেকোনো গোপন কথা বলার, যেকোনো পরামর্শ নেবার সবচেয়ে বিশ্বস্ত আশ্রয়স্থলের নাম বন্ধু। কোনো প্রয়োজন ছাড়াই যার সাথে সময় কাটাতে ভাল লাগে, তার নাম বন্ধু। যার আনন্দে সবচেয়ে বেশী খুশী হই এবং যার দুঃখে সবচেয়ে বেশী মন কাঁদে, তার নাম বন্ধু। পরিবারের পরেই সবচেয়ে প্রিয় মানুষটির নাম বন্ধু।

স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায় বেলার কথা মনে করুন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের গেটে, রেল স্টেশন বা বাসস্টপে বন্ধু বিয়োগের কষ্টে চোখের জল ফেলেননি এমন ছাত্র খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবু সময়, পেশা, ব্যস্ততা, স্থানের দূরত্ব… ইত্যাদির কারণে বন্ধুরা দূরে সরে যায়, যেতে বাধ্য হয়। যোগাযোগ কমে যায়। এত প্রিয় যে মানুষ, সে দিনে দিনে হারিয়ে যায়।

আমাদের নানা জটিলতায় ভরা জীবনে সমস্যার শেষ নেই। পৃথিবীতে একটা জিনিসের কোন অভাব নেই। সেটা হলো মানুষের দুঃখ। যেকোনো সমস্যা, কষ্টের কথা প্রাণখুলে নির্ভরযোগ্য, বিশ্বস্ত ও প্রিয় কাউকে বলতে পারলে মন হালকা হয়, কষ্ট লাঘব হয়, মানসিক চাপ কমে যায়। যেকোন আবেগ প্রকাশ করতে না পারলে তা মনের উপর বাড়তি চাপ ফেলে যা দেহ-মনের জন্য ক্ষতিকর। তাই শুধু কষ্ট নয়, আনন্দ শেয়ার করতে না পারলেও আমারা ছটফট করি। তার জন্যও প্রিয় মানুষ চাই। অনেক সময় বন্ধুর কাছে যে পরামর্শ বা সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়, তা পরিবারের লোকের কাছে যায় না।

সব কথা সবাইকে বলাও যায় না। এমনকি অতি প্রিয় যে বাবা-মা, স্বামী বা স্ত্রী, তাকেও না। আমি নিজেও অনেক কথা বাবা-মাকে জানতে দেই না তাঁরা দুশ্চিন্তা করবেন ভেবে। স্বামীকেও বলি না, কারণ মনোবিজ্ঞানের ছাত্রী হিসেবে আমি জানি কী করে মানসিক চাপ সামাল দিতে হয়। যাঁরা জানেন না তাঁরা কী করবে?

বিদেশে মানসিক ডাক্তার আছে, মনোবিজ্ঞানী আছে, কাউন্সেলিং সেন্টার আছে। সেখানে মানুষ অনায়াসে যেয়ে তার সমস্যার কথা প্রাণখুলে বলতে পারে, সমস্যার সমাধান পেতে পারে। আমাদের দেশে মানসিক ডাক্তারের কাছে যাওয়াটাকে সহজভাবে নেয়া হয়না। কেউ গেলে ধরে নেয়া হয় যে সে পাগল হয়ে গেছে। তাই লোকে যায় না। কিন্তু তাতে সমস্যা কমেনা। সমস্যা থেকে যায় অবধারিতভাবেই।

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক ভালো হলে যেকোন বিষয় দু’জনে আলোচনা করে সমাধান করা যায়। সমাধান করা যায় না তখন, যখন সমস্যার কারণ স্বামী বা স্ত্রী স্বয়ং। অর্থাৎ ভূত যখন সর্ষের মধ্যেই। কুইনিন জ্বর সারাবে, কিন্তু কুইনিন সারাবে কে?

বন্ধু কখনো কোনো খারাপ পরামর্শ দিতে পারেনা। আপনি নিজেকে যতটা বিশ্বাস করেন, কোনো কোনো বন্ধু ঠিক ততটাই বিশ্বস্ত। আমার জীবনে অল্প হলেও কিছু বিশ্বস্ত ভাল বন্ধু পেয়েছি যারা সবসময় আমার পাশে থেকেছে, আমার যেকোনো সিদ্ধান্তে নির্দিধায় সায় দিয়েছে। এখন তাদের সবার সাথে সম্পর্ক নেই সেভাবে, যেভাবে রাখতে পারলে আমার ভালো লাগতো। অনেকে ভুল বোঝে, অনেক বন্ধুপত্নী ইনসিকিউর ফিল করে।

নিজের বিয়ের অনুষ্ঠানে সবচেয়ে কাংখিত অতিথির নাম বন্ধু। যদিও বিয়ের পর স্বামী বা স্ত্রী বন্ধুর চেয়ে বেশী আপন হয়ে যায়। তাতে আপত্তির কিছু নেই। যৌক্তিক কারণে বন্ধুর সাথে দূরত্ব বাড়লে মেনে নিতে আপত্তি থাকেনা। আমার মন খারাপ হয় তখন, যখন দেখি স্বামী বা স্ত্রীর কারণে অনিচ্ছাসত্বেও বিপরীত লিঙ্গের বন্ধুদের ছাড়তে হয়। আমি মনে করি বন্ধু বন্ধুই, হোক সে ছেলে কিংবা মেয়ে।

আসুন জানার চেষ্টা করি কেন বিয়ের পর বউরা স্বামীর মেয়ে বান্ধবী, এবং বিশেষ করে স্বামীরা বউয়ের ছেলে বন্ধুর সাথে যোগাযোগ থাকা পছন্দ করেননা।

বেশিরভাগ মেয়েরা ইনসিকিউর ফিল করে বরকে নিয়ে, যার কারণে চায়না কোন মেয়ের সাথে বরের সখ্যতা থাকুক। বিশেষ করে যারা প্রেম করে বিয়ে করে, তারা আরো বেশী জেলাস হয়। ইনসিকিউরিটির সবচেয়ে বড় কারণ হল, এমনিতেই আমাদের দেশে মেয়েদের ভাল বিয়ে হওয়া সহজ নয়; তার উপরে মেয়ে যদি বেকার, অসুন্দর বা ডিভোর্সি হয়, তাহলে দ্বিতীয় বিয়ে হওয়া অনেক বেশী কঠিণ। তাই বউরা ভয়ে ভয়ে থাকে যেন স্বামী কিছুতেই হাতছাড়া না হয়। স্বামীকে চোখে চোখে রাখে। আর যদি বউরা জানতে পারে স্বামীর আগের প্রেম ছিল, বা স্বামীর আলুর দোষ আছে, বা বউয়ের চেয়ে সুন্দরী-শিক্ষিতা-চাকরীজীবি এক বা একাধিক বান্ধবী আছে, তাহলে বৌরা কিছুতেই ঐসব বান্ধবীদের সহ্য করতে পারেনা। তখন তারা স্বামীর পিছনে গোয়েন্দাগিরি করে, ফোন চেক করে, আড়ি পেতে কথা শোনে…। তবে স্বামীরা যেহেতু বেশীরভাগ সময় বাইরে কাটায়, তাই বাড়ীর বাইরে তারা কি করছে, সেটা সবসময় স্ত্রীর পক্ষে খোঁজ রাখা সম্ভব হয়না। স্বামীরা বেশীরভাগ সময় যা ইচ্ছা তাই করতে পারে, যা একজন স্ত্রী পারেনা।

এবার জানি বিয়ের পর কেন স্বামীরা স্ত্রীর ছেলেবন্ধু থাকা পছন্দ করেনা? থাকলে অসুবিধা কি? বিয়ে হয়ে গেলে কি মেয়েরা আর মানুষ থাকেনা? তারা কি স্বামীর আজ্ঞাবহ রোবট হয়ে যায়?

বউকে ছেলে বন্ধুর সাথে যোগাযোগ রাখতে না দেবার কারণগুলো কি কি?

– ধর্মীয় কারণে?

– স্ত্রীর পরকীয়ায় জড়ানোর ভয়?

– নাকি বউকে অধিকারে থাকা সম্পত্তির মত দখলে রাখার ইচ্ছা? অন্য কথায়, মানুষ হিসেবে স্ত্রীর অধিকার হরণ করে তার মানসিক চাহিদাকে অস্বীকার করার প্রয়াস?

প্রথমে ধর্মীয় কারণটা বিবেচনা করি। আমাদের ধর্মে পরপুরুষের বা নারীর সাথে মেলামেশা পাপ। তাই স্বামী, শ্বশুরবাড়ীর লোকজন, এমন কি, পাড়া-প্রতিবেশী পর্যন্ত নসিহত দেয়। কিন্তু প্রকৃত সত্য হল, বন্ধুত্ব পাপ নয়, এমন কি শালীনতার মধ্যে প্রাক্তন প্রেমিক-প্রেমিকার সাথে যোগাযোগ থাকাও পাপ নয়।

পরকীয়ায় জড়াবে? বেশীরভাগ ক্ষেত্রে পরকীয়া হয় আত্মীয়, প্রতিবেশী, কলিগ, বা সম্পূর্ণ অপরিচিত কারো সাথে। মিডিয়ায় যেসব পরকীয়ার ঘটনা প্রকাশ পায়, তাতে দেখা যায় পুরনো বন্ধু বা বান্ধবীর সাথে পরকীয়ায় জড়ানোর ঘটনা খুবই বিরল। কারণ ভীষণ ভাল একটি সম্পর্কের নাম বন্ধু। একেবারে অন্যরকম। একদমই নিঃস্বার্থ, নিষ্কলঙ্ক, পবিত্র আর আজীবনের।

আমি মনে করি এ বিষয়ে তৃতীয় কারণটাই মুখ্য, যদিও ধর্মের দোহায় দেয়া হয় সবচেয়ে বেশী। মূল বিষয়টা হল, মেয়েদের উপর অধিকার ফলানো, মেয়েদের সত্ত্বাকে স্বীকৃতি না দেয়া। নিজস্ব সম্পদের মত যথেচ্ছ ব্যবহার করার মানসিকতার প্রকাশ। স্ত্রীর বিনোদনের বা ভাল-লাগা মন্দ-লাগাকে গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজন নেই। সে তো মেয়ে!! তার আবার মন কি? ইচ্ছা-অনিচ্ছা কী? বিয়ে হয়ে গেছে, ব্যস্! এখন তার মন, ভাবনা, ভাললাগা সব স্বামী-সন্তান-সংসার। আর কিছু নেই।

মেয়েদের সিঁথিতে সিঁদুর দেবার প্রচলন হয়েছিল মেয়েদের চিহ্নিত করে সমাজকে বোঝানোর জন্য যে এই মেয়েটি আমার সম্পত্তি। এর দিকে আর কারো নজর দেয়া চলবে না। সিঁদুর থাকলে কেউ তার দিকে ভুল করে হাত বাড়াবে না।

উন্নত দেশগুলোতে প্রত্যেকটি মানুষের অধিকার সমান। একজন ছেলে যা যা করতে পারবে, একটি মেয়েও তাই। কোন মেয়েকেই তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করতে বাধ্য করা হয়না। জোর করে কোন অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করা হয়না। মেয়েরাও মানুষ। আমরা সেটা মনিনা। প্রতি পদে পদে ধর্মীয় ও আর্থ-সামাজিক কারণের দোহায় দিয়ে মনে করিয়ে দেয়া হয় যে আমি মেয়ে। তাই পরিবারে ও সমাজে নারীদের অবস্থান, অধিকার, সুযোগ, যোগ্যতা, ক্ষমতা, ইচ্ছার স্বাধীনতা, … ইত্যাদি সব কম। এগুলো কমই থাকবে। কারো বেশী হলে সেটা পুরুষরা সহ্য করতে পারেনা।

বিয়ের পর স্ত্রীকে তার আত্মীয়পরিজন ছেড়ে আসতে হয়। দূরত্ব বাড়ে বান্ধবীদের সাথেও। আর ছেলে বন্ধু থাকা তো একেবারেই নিষিদ্ধ। কারণ তাতে মহাভারত অশুদ্ধ হয়। ছেলেবন্ধু মানেই যে অবধারিতভাবে প্রাক্তন প্রেমিক নয়, সেটা আমরা মানতে পারিনা। প্রাক্তন প্রেমিক হলেই বা ক্ষতি কি? বিদেশে প্রাক্তন প্রেমিক তো বটেই, প্রাক্তন স্বামী-স্ত্রীর সাথেও যোগাযোগ, দেখা-সাক্ষাত হয়। তাতে মহাভারত অশুদ্ধ হয়না। হলে তারা সেটা করত না।

প্রায়ই অভিভাবকদের বলতে শুনি, ইদানিং প্রেমের হার, ছেলেমেয়েদের অবাধ মেলামেশা, পরকীয়া আশংকাজনক হারে বেড়েছে। কখনো ভেবে দেখেছেন কি, কেন বেড়েছে???

কারণ বেঁধে রাখা গরু দড়ি ছিঁড়লে ক্ষেত খায় সবচেয়ে বেশী।

কারণ ছেলে ও মেয়েদেরকে আলাদা রাখা, মেয়েদেরকে লোভনীয় বস্তু হিসেবে লুকিয়ে রাখার মানসিকতা, ছেলে ও মেয়ে উভয়কেই ‘মানুষ’ হিসেবে বিবেচনা না করে মেয়েমানুষ ও পুরুষমানুষ হিসেবে বিবেচনা করা, পুরুষ দোষ করলেও মেয়েদেরকে প্রতি পদে পদে দোষী সাব্যস্ত করা ইত্যাদি। উদাহরণ দেই। বখাটের উৎপাত প্রতিহত করতে না পেরে আমরা মেয়েদের স্কুলে যাওয়া, পড়া বন্ধ করে দেই। অর্থাৎ দোষ করে পুরুষ, শাস্তি পায় নারী।

ইতিহাস বলে, এভাবেই মেয়েদের স্বাধীনভাবে চলাফেরা, এমন কি মসজিদে নামাজ পড়া পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেছে।

ডিভোর্স হয়েছে শুনেই কোন কিছু না জেনেই আমরা বলি মেয়ের দোষ। কোন মেয়ে নির্যাতিত হয়েছে শুনেই বলি, নিশ্চয় পোষাক খোলামেলা পরেছিল। নাহলে এমন হবে কেন?…..

ভারতের প্রয়াত ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম বলেছেন, “একটি ভাল বই একজন বন্ধুর সমান। কিন্তু একজন ভাল বন্ধু একটি লাইব্রেরির সমান।” এই উক্তিটি স্পষ্ট করে বলে দেয় মানুষের জীবনে বন্ধুর গুরুত্ব কত ব্যাপক।

বন্ধুরা, এবার বন্ধুরা গুণে দেখুন কার ক’টা লাইব্রেরি আছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কার লাইব্রেরি বেশী, কার কম, কেন কম। সবচেয়ে প্রিয় লাইব্রেরিটি কেমন আছে, শেষ কবে তার খোঁজ নিয়েছিলেন, কোন কোন লাইব্রেরী কষ্টে আছে, তার কষ্ট লাঘবের জন্য আপনি কি করেছেন, আদৌ কিছু করেছেন কিনা, কোন লাইব্রেরি হারিয়ে গেলে আপনি সবচেয়ে বেশী কষ্ট পাবেন, কোন লাইব্রেরিগুলোর সাথে সময়ের অভাবে অনেকদিন কথা হয়নি, কোন লাইব্রেরির সাথে কথা বলতে চেয়েও অন্যের কারণে পারেননি…

সবকিছুরই ভাল-মন্দ দু’টো দিকই থাকে। আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি কোনটা নেবেন। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে খারাপ বলার সুযোগ নেই। তাদের কারণেই কিছু কিছু লাইব্রেরীকে রোজ দেখি, তাদের খবর পাই, ছবি দেখি। ভীষণ ভাল লাগে। সে ভাললাগার মূল্য কি কম???

বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয় সারা জীবনের। নিঃস্বার্থ, নিষ্কলুষ, নিবিড়। হতে পারে নানা কারণে কখনো কখনো বন্ধুত্বের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন। কিন্তু মানুষের অনুভূতিগুলো থেকে যায় মানুষের মনে স্থায়ীভাবে। যাদের বন্ধু আছে তারা ভাগ্যবান। যাদের নেই বা থেকেও নেই তারা দুর্ভাগা।

ক’দিন আগে স্কুলের রি-ইউনিয়নে ছোট-বড়-সমবয়সী – একঝাঁক লাইব্রেরীর সাথে দেখা হয়েছিল। ওদের দেখার আনন্দ ছিল অসাধারণ!!! আমার সহপাঠী ছেলে লাইব্রেরিগুলোর চেহারায় বয়সের হালকা প্রলেপ জমলেও চোখগুলো এখনো একই সুরে কথা বলে। আর মেয়ে লাইব্রেরিগুলো এক একটা সুয়োপোকা থেকে রংবাহারী ডানার প্রজাপতি!!! পুরনো বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে দেখা হয়ে কি যে ভাল লেগেছে!!!! এই অনুভূতির কোন তুলনা হয় না। তাই যাদের সাথে মনের মিল, স্মৃতি, ভাললাগা-মন্দলাগা জড়িত, তারা বুকে থাকুক আজীবন। কোন মতেই, কোন অজুহাতেই যেন তা বিচ্ছিন্ন না হয়। মানুষের জীবন চিরস্থায়ী নয়। তাই যতদিন বাঁচি, মনের কথা বলার জন্য হলেও বন্ধু দরকার।

বন্ধুরা, আজ আবার নতুন করে পুরনো লাইব্রেরিগুলোতে জমে থাকা সময়ের ধুলো পরিস্কার করুন। নিজেকে ও লাইব্রেরিকে কিছুটা হলেও আনন্দ দিন। কে জানে, কাল হো না হো….

“ভালো থেকো ফুল, মিষ্টি বকুল, ভালো থেকো
ভালো থেকো ধান, ভাটিয়ালী গান ভালো থেকো” – হুমায়ূন আজাদের ‘ভালো থেকো’ কবিতার সুরে বলি –

ভাল থেক স্কুল, পড়া-খেলা-ভুল ভাল থেকো।
ভাল থেকো বোন, বন্ধু-সুজন, ভাল থেকো।

খুব খুব ভাল থাকবেন বন্ধুরা, খুব খুব ভাল থাকবেন লাইব্রেরিরা…..

ড. আকতার বানু আলপনা, সহযোগী অধ্যাপক শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আই.ই.আর), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী।

শেয়ার করুন:
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.