শাশ্বতী বিপ্লব:
“আমাদের মানব সেতু চলে বাঁকে বাঁকে
ছোট ছোট হাতগুলো জোরে ধরে রাখে।
পার হয়ে যায় নেতা, মনে খুশী ভারি,
হাঁটু মুড়ে অবনত শিশুদের সারি।
চকচকে জুতোটার মুছে গেলো কাদা,
ইশকুলের ইতিহাস আছে ফ্রেমে বাঁধা।
হাঁটি হাঁটি পা পা করে নেতা হেঁটে যাক,
লেখাপড়া হোক না হোক, ঐতিহ্যটা থাক।”
কী? চেনা চেনা লাগে কবিতাটা? চেনাই তো, খালি একটু বদলায়া গেসে, এই যা। আর বদলাইবো না কেন? যুগ বদলাইসে, চারদিকে কত কিছু বদলায়া যাইতেসে। এইতো সেইদিন পাঠ্যপুস্তক বদলায়া গেলো। তার সাথে তাল মিলাইতে হইবো তো?
আপনেরা ভাই বহুত খারাপ, খালি খুঁত খুঁইজা বেড়ান। আপনেগো খায়া দায়া কোন কাজ নাই নাকি?
এমন ভাব করতাসেন যেন উনিই প্রথম এমনটা করসেন। আরে ভাই খবর নেন। এর আগেও অনেক রথি মহারথিরা এই পথে হাঁটসেন। একই রকম হেইলা দুইলা, সারি সারি হাতের উপরে শুইয়া থাকা ছাত্রের পীঠে পাড়া দিয়া। বিশ্বাস না হইলে নিজেই যান না, হেডস্যারের রুমে গেলেই দেখতে পাইবেন।
আরে ভাই, বাচ্চারা আব্দার করসে, বাচ্চাদের মালিক (হেডমাস্টার) আব্দার করসে। আহা, কত আশায় বুক বাঁনসে বেচারারা। স্কুলের ঐতিহ্য বইলা কথা!! এইদিকে আবার চেয়ারম্যান সাবের দয়ার শরীর। উনি যদি দয়া কইরা বাচ্চাগুলার শইল্লের উপর দিয়া না হাঁটতেন, ওরা কত কষ্ট পাইতো সেইটা বুঝেন? সেইটা তো একবার বিবেচনা করবেন জনাব।
উনার “হক বানতাহে” জনাব, একটু আমোদ করার। এইযে দিনরাত খাটাখাটনি কইরা আপনেগো খেদমত করে, রোদে পুইড়া, বৃষ্টিতে ভিইজা শুকায়ে দড়ি দড়ি হয়ে যাইতেসেন (খবরদার, ভুড়ির দিকে নজর দিবেন না), তার বুঝি একটু সাধ আহ্লাদ হইতে নাই? কী সুন্দর নতুন হাঁটতে শেখা পোলাপানের মতো বড় মানুষের আঙ্গুল ধইরা ক্যাট ওয়াক করলেন। কত কষ্ট হইসে জানেন? তা জানবেন ক্যান? আপনাদের তো আর কষ্ট করতে হয় নাই।
কী বললেন? কমনসেন্স? সেইটা আবার কী জিনিস!!! চেয়ারম্যান/ জনপ্রতিনিধি হলেই কমনসেন্স থাকতে হইবো সেকথা আপনেরে কে বলসে? আপনার নিজের কমনসেন্সের কি অবস্থা সেইটার আগে খোঁজ করেন। পরে আইসেন। হুদাই গ্যাঞ্জাম কইরেন না। যত্তসব!!