ফারজানা খান গোধূলী: বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে সারা বছর হলে গিয়ে সিনেমা দেখা হয় গড়ে পাঁচ/ছয়টা। ছোটজন এনিমেশন বা কার্টুন সিনেমা ছাড়া কিছুই পছন্দ করে না। তাই তাকে নিয়ে থিয়েটারে অন্য কোন মুভি দেখা প্রায় অসম্ভব। বড়জন যাও বা দেখে, কিন্তু সে কিছুতেই ইংরেজি ভাষা ছাড়া অন্য সিনেমা দেখবে না। তাই ইচ্ছে থাকলেও তেমন একটা যাওয়া হয় না থিয়েটারে হিন্দি সিনেমা দেখতে।
তবে একজন অভিনেতার সিনেমা দেখতে একা হলেও হাজির হওয়া যায়, আর সে হলো, “আমির খান”। লাখো ভক্তের মতো আমিও অপেক্ষায় থাকি সারা বছর ধরে যে কবে আসবে তার নতুন সিনেমা। কারণ আমির খানের সিনেমা মানেই হাসতে হাসতে সমাজের কোনো একটা সমস্যা তুলে ধরা। একটা ম্যাসেজ থাকে যা মানুষকে ভাবায়, আলোচনা করায় পাশের জনের সাথে। গল্পের ভিন্নতা, ডায়ালগ, ফটোগ্রাফি, কম্পোজিশন, লোকেশন, কস্টিউম, গল্পের বিন্যাস ইত্যাদি সব কিছুই এতোই মনোমুগ্ধকর যে দর্শক অপেক্ষা করে থাকে। এবারও তার অন্যথা হয়নি। প্রায় দু’বছর পরে সব অপেক্ষার পালা শেষে রিলিজ হলো, “দঙ্গল”। বাবা ও মেয়ের লড়াইয়ের গল্প।
সত্যি কাহিনীর প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই সিনেমা দশ দিনে ৪০০ কোটি/ ৫০০ কোটি টাকা আয় করলো, বা শত কোটির ক্লাবে গেল কী না গেল বা রেকর্ড ভাঙলো কী গড়লো, তা নিয়ে আমার কিছু বলার নাই। আমি লিখছি যে কারণে তা হলো সিনেমাটি দেখে আমার অনুভূতি।
দঙ্গল দেখে বলতে হয়, অসাধারণ, স্পিচলেস, মাইন্ডব্লোয়িং, ইন্সপায়ারিং ও ইমোশনাল। আমার ব্যক্তিগত মতামত, “দঙ্গল” সিনেমাটি একটি সামাজিক প্রতিবাদ, পরিবারে সন্তানের মধ্যে লিংগ বৈষম্যের বিরুদ্ধে একটা প্রতিবাদ। সেই সাথে অনুপ্রেরণার ও উৎসাহের সিনেমা।
সর্বোপরি যারা মনে করে পুত্র সন্তান ছাড়া গতি নেই, তাদের মন-মানসিকতার উপর জোর চপেটাঘাত।
এতোদিনে সবাই জেনে গেছে দঙ্গল কুস্তির বায়োপিকধর্মী সিনেমা। ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের বিখ্যাত কুস্তিগীর মহাবীর ফোগত (আমির খান) একজন ন্যাশনাল লেভেলের কুস্তিগীর, স্বপ্ন ছিল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বর্ণ জয়ের, কিন্তু পরিবারের অর্থের অভাবে কুস্তি ছাড়তে হয়। দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই, খিদের সঙ্গে লড়াই… অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও খেলা ছেড়ে চাকরি করতে বাধ্য হওয়ার হতাশা৷
কিন্তু মহাবীর ফোগত আশা ছাড়েন না আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বর্ণ জয়ের। নিজের হয়নি তো কী হয়েছে, পুত্র সন্তানের মাধ্যমে পূরণ করবেন সেই অসমাপ্ত স্বপ্ন। ভাগ্যও সহায় হয় না ফোগতের। কারণ প্রথম সন্তান হয় কন্যা। মহাবীর ফোগত খুশি না হলেও নিরাশ হননি। দ্বিতীয়বার পুত্র সন্তান প্রত্যাশা করেন, আর তার প্রত্যাশার ধোঁয়ায় বাতাস লাগায় এলাকাবাসী। কেউ বুদ্ধি দেয় সপ্তাহের একটি বিশেষ দিয়ে স্ত্রী সহবাসের, কেউ বুদ্ধি দেয় ভোরে ষাঁড়কে খাবার খাওয়াতে, কেউ তাবিজ ধারণ করার পরামর্শ দেয়।
আর মহাবীর ফোগত ও তার স্ত্রী “শোভা কউর ” (সাক্ষী তানওয়ার) পুত্র সন্তানের আশায় সবকিছু করে। দ্বিতীয়বারও কন্যা জন্ম হয়। পুত্র প্রত্যাশী মহাবীর ফোগত আবার সন্তান নেন, কিন্তু পরের দু’সন্তানও কন্যা জন্ম নেয়। চার কন্যা জন্মের পর আশা ছাড়েন ফোগত। বাক্সবন্দি করে ফেলেন নিজের অসম্পূর্ণ স্বপ্নকে।
মনকে মানিয়ে নেয়া ফোগত আবার আশান্বিত হন, যখন তার বড় দুই মেয়ের হাতে বেধড়ক মার খায় পাড়ার দু’ছেলে। এখানে আসলে গল্পের শুরু, একজন প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী পিতা পিছিয়ে পড়া মনোভাবের সমাজ, গ্রাম্যজীবন, গ্রাম্য চিন্তাধারা, প্রথা সবকিছুকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায়। অবাক করা বিষয় মহাবীর ফোগত হরিয়ানার মানুষ আর এই হরিয়ানা রাজ্যতেই ক্রমাগত কন্যা ভ্রূণ ও শিশুকন্যা হত্যার হার আঁতকে উঠার মতোই বেশি। সেই হরিয়ানার প্রত্যন্ত গ্রামের এক কুস্তিগীর তাঁর দুই মেয়েকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, স্বপ্নপূর্ণ করতে যে-যে কঠিন পদ্ধতি অবলম্বন করেছিলেন, তা জেনে আজকের দিনে অবাক হতে হয়।
স্ত্রীকে মহাবীর বললেন, “মারি ছোরিয়া ছোরো সে কম হ্যায় ক্যায়?… গোল্ড তো গোল্ড হোতা হ্যায়…ছোরা লাভে ইয়া ছোরি। (আমার মেয়েরা ছেলেদের থেকে কম নাকি…সোনা তো সোনাই…মেয়েরা আনুক বা ছেলেরা)”
নিজ স্বপ্নপূরণ করতে মেয়েদের মেয়েলী বিষয়গুলি ছেঁটে দিলেন স্থির চিত্তে, গ্রাম্য সংস্কারকে পাশে সরিয়ে মেয়েদের হাফ প্যান্ট, গেঞ্জি পরান। চুল কেটে দেন। ছেলেদের সাথে কুস্তি। মেয়েরা তাঁর জয়ের আশা পূরণ করবেন। কিন্তু ছোট ছোট মেয়েরা বাবার লড়াইয়ের ফিলিংস বুঝবে কী! কঠোর পরিশ্রম আর বিধিনিষেধ। সেই সাথে সমাজের নানা হাসি, ব্যঙ্গ, বিদ্রুপের সঙ্গে লড়াইটা যেন মূল লড়াইয়ের থেকেও কঠিন৷
বাল্য-বিবাহের শিকার বান্ধবীর মুখে যখন ওরা শোনে যে সে এমন বাবার প্রত্যাশা করে, যে কিনা তার কন্যাদের মেয়ে না ভেবে সন্তানের মর্যাদা দিচ্ছে, আপন স্বপ্নকে পূরণের অবলম্বন ভাবছে, তখন গীতা-ববিতার মনোজগতে পরিবর্তন আসে। আর এই পরিবর্তন বাবার লড়াইকে নিজের লড়াই হিসেবে মেনে নেয় গীতা-ববিতা। মেয়েদের লড়াকু মনোভাব নিয়ে শুরু হয় লড়াই। এক বাবার লড়াই। নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি দিয়েই এগিয়ে নিয়ে যান তাঁর স্বপ্ন। মনের মতো করে গড়ে তোলেন তাঁর মেয়েদের। জয়ী হয়ে বাবাকে সম্মানও জানায় গীতা-ববিতা। কিন্তু কখনও মনে হয়, বাবাকেও ছাপিয়ে যায় তাঁর বড় মেয়ে। সংঘাতের বাতাবরণে এগোয় গল্প। তবে বাবাকে অস্বীকার করে তো চলা সম্ভব নয়। এমন বাবা যার বেঁচে থাকার অর্থই মেয়েদের বিশ্ব দরবারে জয়।
মজার কথা হলো গুগল বা উইকিপিডিয়ায় সার্চ দিলেই মহাবীর সিং ফোগতের আদ্যপান্ত মিলে যাবে। তাহলে স্ক্রিপ্টে কী চমক, নিজের অভিনবত্ব বজায় রাখতে পারেন আমির খান! এখানেই তাঁর বাজি, দেশপ্রেম এবং ভারতীয় মেয়েদের অনুন্নয়ন। নিজেদের মানুষ হিসেবে গড়ার স্বপ্ন থেকে বঞ্চিত দেশের মেয়েরা। বাবা-মায়েরাও ভেবে উঠতে পারে না, মেয়েদের ভবিষ্যত্ নিয়ে। মেয়ে মানেই বিয়ে-সংসার-সন্তান। এই স্বপ্নগুলি নিয়েই বেঁচে থাকে ভারতীয় মেয়েরা। এর বাইরেও যে একটা জগত আছে, ধরাই পড়ে না তাদের কাছে।
এটাই আমিরের সম্বল। এর জন্যই তো তিনি মহাবীরকে পর্দায় এনেছেন। যেই মানুষটি প্রত্যন্ত গ্রামে থেকেই মেয়েদের কুস্তিগীর করার স্বপ্ন দেখেছেন, সেই মানুষটিকে যোগ্য সম্মান না দিলে হয়!
সম্মান জানান সেইসব গুরুদের, যারা লিঙ্গবৈষম্য না করে শিষ্যের যোগ্যতাকে প্রাধান্য দিয়েছে।
ছবিতে আরও একটি বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে, যা হলো বাবা-মেয়ের সম্পর্ক। আমরা এতোদিন বেশিরভাগ সময় বাবা-ছেলের সম্পর্ক নিয়ে মুভি দেখেছি। দঙ্গলে বাপ-বেটির সম্পর্ক শুধু কাঁদো কাঁদো-মাখো মাখো রিলেশনের ঝালমুড়ি নয়। সমাজ ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া অঙ্গনে মাথা উঁচু করে পদচারণার মনোভাব তৈরি করে দেয়ার সম্পর্ক, সেখানে বাবা হয়ে যান গুরু।
অভিনয়ের কথা বলতে গেলে সবাই একশতে একশ। মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমিরকে নতুন করে মূল্যায়ন করারও কিছু নেই। ‘পিকে’র অ্যালিয়েন হোক, ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর ‘অল ইজ ওয়েল’ অবাধ্য ছাত্রটিই হোক, কিংবা ‘তারে জমিন পার’-এর ড্রয়িং টিচারই হোক, প্রত্যেকটা সিনেমায় তিনি যেন নিজেকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন।
‘দঙ্গল’-এও জারি থাকলো সেই জার্নি। নিজেকে আমূল বদলেছেন আমির। কুস্তিগীর মহাবীর সিংকে গুলে খেয়ে তিনি এ ছবিতে অল-ইন-অল চেহারা থেকে বেরিয়ে এসেছেন। বদলে ফেলেছেন খোলস। একেবারে আম হরিয়ানির মতো চেহারা বানিয়েছেন। প্রতিটি মুহূর্ত মূর্ত হয়েছে আমির খানের অসামান্য অভিনয়ের মধ্য দিয়ে।
স্পোর্টসম্যানশিপে’র মূলমন্ত্রই হচ্ছে ‘টিমগেম’। আর একজন স্পোর্টস পার্সোনালিটিকে নিয়ে যখন সিনেমা, তখন গোটা টিমই যে ভালো পারফর্ম করতে উদগ্রীব, সেটা আর না বলাই ভালো। তবে অবাক হতে হয় আমিরের কর্মকাণ্ডে, সবাইকে স্ক্রিনে ছাড় দিয়েছেন অধিকাংশ সময়। ছোট গীতা ও ববিতার ভূমিকায় জাইরা ওয়াসিম এবং সুহানি ভাটনাগর অনবদ্য। সেই ছোটবেলায় খেলাধূলা করার ইচ্ছার মধ্যে বাবার চাপে প্র্যাকটিস করার অনিচ্ছা এতো সুন্দর ফুটিয়ে তুলেছেন দুজনে, যা বড় বড় শিল্পীর অভিনয়কেও হার মানায়।
সাক্ষী তানওয়ার স্ক্রিনে কম এলেও অভিনয়ে বলিষ্ঠতার ছাপ রেখেছেন। অপারশক্তি খুরানা তার কমেডি নিয়ে পিছিয়ে ছিলেন না।
বড় গীতার ভূমিকায় ফতিমা সানা শেখ ও ববিতার ভূমিকায় সান্যা মালহোত্রাও অসাধারণ। স্ক্রীনে ছোট-বড় গীতা-ববিতার অভিনয় দেখে বোঝার উপায় নাই এরা অভিনেত্রী, নাকি কুস্তিগীর। ফতিমা সানা শেখ ও সান্যা দুজনের অভিনয় দেখে সত্যিই বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি। সৌন্দর্যের অন্য সংজ্ঞা, নারীত্বের অন্য উদ্দেশ্য। এঁরা দুজনই দর্শককে আটকে রেখে দেবে। সুলতান ছবির অনুষ্কা শর্মাকে এদের কাছে নস্যি মনে হবে। একজন খেলোয়ারের নিয়ম-অনিয়ম, টানাপোড়েন, বাবার সাথে মান-অভিমান, মনের ভাল থাকা-খারাপ থাকা, মুডের ফ্লাকচুয়েশন পেরিয়ে কামব্যাক করার জেদ, এটাই দর্শককে পর্দা থেকে চোখ সরাতে দেবে না৷
অপূর্ব ক্যামেরার কারিগরি। কুস্তির প্যাঁচ শেখা আর সেটাকে বিশ্বাসযোগ্যভাবে ক্যামেরায় তুলে ধরা, কী অসম্ভব স্বাচ্ছন্দ্য। কী অপূর্ব বলিষ্ঠতা। সিনেমা জেনে দর্শক টান টান উত্তেজনায় থাকবে। সিনেমার নাটকীয়তার জন্যই আসল কাহিনীর কিছু পরিবর্তন এসেছে, যা সিনেমার ক্লাইম্যাক্স আরও বারিয়ে দিয়েছে। মুভিতে প্রাণ দিয়েছে প্রীতমের মিউজিকও। ছন্দোবদ্ধতার মধ্যেই যে জাতীয়তাবাদের স্পিরিট ঢোকালেন কীভাবে, একজন ভারতীয় না হয়েও শুনলে সত্যিই গর্ববোধ হয়। আর ছবির মুড অনুসারে টাইটেল ট্র্যাক ‘দঙ্গল-দঙ্গল’ কিংবা ‘বাপু হানিকারক হ্যায়’ গানগুলিও চমত্কার বানিয়েছেন প্রীতম চক্রবর্তী৷
চিল্লর পার্টি, ভূতনাথ রিটার্নসের পর নীতেশ তিওয়াড়ির এই ছবির পরিচালনা সত্যিই মুগ্ধ করেছে। ছবিটাকে শুধু পয়সা কামানোর জায়গা বা বুদ্ধিজ্ঞান বর্জিত নাচগানে আটকে রাখেননি। এতো সিরিয়াস সাবজেক্টের এই ছবিতেও নিজের হিউমার সেন্স বজায় রাখতে পেরেছেন।
খেলার মধ্যেও আছে রাজনীতি। বাস্তবেও আর পর্দাতেও। নাহলে কাহিনী টানটান হয় না। এখানেও সে মালমশলা আছে। এই সুযোগে না বলে পারছি না। দঙ্গলের প্যাঁচে প্যাঁচে শুধু কুস্তিতে সোনা জয়ের গল্প নয়, জয় নারীবাদেরও। জয় কন্যা সন্তানের।
নারী স্বাধীনতার জন্য কত পরিকল্পনা, বক্তৃতা শুনে থাকি। যা অধিকাংশ সময় ভুলভাল পথে চলে যায়। কন্যা সন্তানের ভবিষ্যৎ কেন পূর্ব নির্ধারিত ভাবনার উপর তৈরি হবে? কেন একজন মেয়েকে আটকে থাকতে হবে ওড়না, শাড়ি, চুড়ি, হাঁড়ি খুন্তির জেলখানায়?

পরিবার থেকেই আসলে আসে মেয়েদের স্বাধীনতা, প্রতি পরিবার মেয়েদের সঠিক মূল্যায়ন করলেই মিলবে আসল মুক্তি। দঙ্গল দেখালো এক বাবা লড়লেন সমাজের বিরুদ্ধে, মেয়েদের নিয়ে জয় করে আনলেন দেশের জন্য সম্মান, নারীর জন্য এ এক অন্য বিপ্লব। ব্যক্তিগত সুখ আহ্লাদকে পুরোপুরি বর্জন করে দেশের জন্যে কুস্তি লড়া, মেডেল জেতা সব নারীদের জন্য, যাদের জীবন অপরিণত বয়সে শেষ হয়ে যায় সংসার নামক জেলখানায়।
নিজের দুটি মেয়ের জন্যই তাগিদ থাকবে সিনেমাটি দেখানোর। মেয়েদের ভালোর জন্য তাদের বাবাও যেন একজন স্বাস্থ্যের জন্য হানিকারক বাপু হয়ে ওঠে। মেয়েরা আমার কুস্তি লড়ুক, ডাক্তার হোক, ইঞ্জিনিয়ার বা শিক্ষক হোক, রাজনীতিবিদ হোক আর সাংবাদিক হোক, ব্যক্তিগত সুখ-অসুবিধায় আটকে না থেকে যেন দেশের কথা ভাবে, মানুষের কথা ভাবে, নিজেদের নারী না ভেবে মানুষ ভাবতে শেখে।
গোধূলি খান, সাংবাদিক-লেখক, godhuly.khan@gmail.com