উইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক (০৮ জুলাই): স্নোডেন সম্পর্কে এই প্রথম কথা বললেন কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল ক্যাস্ত্রো। গতকাল রোববার তিনি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক আই কর্মকর্তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে ভেনেজুয়েলা সহ লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর আগ্রহ প্রকাশকে স্বাগত জানিয়েছেন। (খবর: রয়টার্স)
খবরে বলা হয় কিউবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে রাউল কাস্ত্রো বলেন, যারা নিজেদের আদর্শের জন্য নির্যাতনের শিকার। যারা সঠিক গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে যাচ্ছে তাদের আশ্রয় দেয়ার অধিকার এই অঞ্চলের সকল দেশের রয়েছে।
ফিডেল অনুজ জানান, গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকজন মার্কিন নাগরিককে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে কিউবা। তবে স্নোডেন কিউবার কাছে আশ্রয় চেয়েছেন কি না এ বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
স্নোডেনকে আশ্রয়দানকারী দেশের উপরে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণার তীব্র নিন্দা নানা তিনি। একই সঙ্গে তিনি সাথে স্নোডেন থাকার সন্দেহে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের বিমান থামানোর ঘটনায় ইউরোপীয় দেশগুলোর নিন্দা জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রকে আধিপত্যবাদী বলে উল্লেখ করে রাউল বলেন, ‘এ ধরনের পদক্ষেপ প্রমাণ করে, আমরা এমন একটি বিশ্বে বসবাস করছি, যেখানে শক্তিশালী দেশগুলো মনে করে তারা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করতে পারে। তারা অন্য দেশের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ এবং জনসাধারণের অধিকার অবজ্ঞা করতে পারে।’
উল্লেখ্য, লাখ লাখ ফোনকল ও অনলাইন তৎপরতায় মার্কিন প্রশাসনের গোপন নজরদারির তথ্য ফাঁস করে আলোচনার কেন্দ্রে আসেন স্নোডেন। গত ২০ মে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে হংকংয়ে যান। ২৩ জুন তিনি হংকং ছেড়ে রাশিয়া যান। এখনো তিনি মস্কোর শেরেমেয়িতেভো বিমানবন্দরের ট্রানজিট এলাকায় অবস্থান করছেন।
ইতিমধ্যেই স্নোডেন ২৭ টি দেশের কাছে রাজনৈতি আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন। কিন্তু বেশিরভাগ আবেদনই নাকচ হয়ে গেছে।