শেষ হলো ভোটগ্রহণ, এবার গণনার পালা

gajipurউইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক(০৬ জুলাই): কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে বহুল আলোচিত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচন।

ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে বিভিন্ন কারিগরি ত্রুটি ও কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টিপাতের কারণে আশানুরূপ ভোট গৃহীত হয়নি বলে মত দিয়েছেন অনেক মিডিয়া কর্মী ও নির্বাচন পর্যবেক্ষক।

এদিকে এখনো ভোট গণনা শুরু না হলেও এখন থেকেই বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে নানা নেতিবাচক কথা বলছেন বিএনপির নীতিনির্ধারক পদের অনেকেই।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে গণরায়কে বদলে দেয়ার নানান রকমের নীলনকশা তৈরি করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসারদের মধ্যে ৮০ ভাগ সরকার দলীয় সাবেক কর্মী।

বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আবদুল মান্নান বলেন, আমি বলবো না নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। কিছু কিছু ভোটারদের ব্যালট ছিঁড়ে ফেলেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজমত উল্লাহ বলেছেন, জনগণ স্বতস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিয়েছে। যেকোনো ফলাফল মেনে নেবো। তিনি আশা করেন, বিজয় দোয়াত-কলম মার্কারই হবে।

ভোট গ্রহণের ধীরগতি নিয়ে দুইজন প্রধান প্রার্থীরই অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচন বিশ্লেষকরা এ ধরনের অভিযোগকে একেবারে অস্বীকার না করে বলেন নারী ভোটকেন্দ্র গুলোতে একেকজনের ভোট দিতে দুই থেকে তিন মিনিট অনেক ক্ষেত্রে পাঁচ মিনিটও লেগে গেছে। এর কারণ হিসেবে নির্বাচন কমিশনের দুর্বল ব্যবস্থাপনাকেই দূষছেন অনেকে।

এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একজন লিখেছেন, ‘টিভিতে দেখলাম ধীরে ভোট নেবার অভিযোগ আসছে। ভোট দিয়ে এসে আমি নিজেও আম্মার সাথে ধীরে ভোট নেওয়া নিয়ে কথা বলছিলাম। আসলে তিনটি ব্যালটে বুঝে শুনে ভোট দিতে সময় একটু বেশি লাগেই। তার উপর সাধারন মা বোনেরা এসব ব্যাপারে কেন যেন একটু ধীর। আমার সামনেই এক নারীকে দেখেছি, ব্যালট হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।বাক্সের ভেতরে কিভাবে ভোট দিতে হবে আমি দেখিয়ে দেবার পরে তিনি বাক্সে ব্যালট পেপার ঢুকালেন। এছাড়াও প্রত্যেক ভোটারকে ভালমত সনাক্ত করে তারপর ব্যালট পেপার দেওয়া হচ্ছিল। আমার মা ও আমার সিরিয়াল পাশাপাশি হলেও এক সাথে যেতে দেওয়া হয় নি। আমাদের দুজনের মধ্যেও তারা বেশ খানিকটা সময়ের দূরত্ব রাখছিল। এটা তারা না করলেও পারত, তাতে সময় বাঁচতো, আমরাও তাড়াতাড়ি ভোট দিতে পারতাম।কারচুপির সম্ভাবনা এড়াতেই হয়্ত এই বাড়তি সতর্কতা।
নিজের চোখে যা দেখলাম তাতে আমার মনে হয়েছে কারচুপি হবার সম্ভাবনা নেই। সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ স্বতস্বূর্ত। সব কিছু শান্তিপূর্ণ’।

এদিকে কিছু কিছু কেন্দ্রে আগত ভোটারের মধ্যে একটি বড় সংখ্যা এখনো ভোট দিতে না পারায় পৌণে পাঁচটা পর্যন্ত তাদের ভোটগ্রহণের খবর পাওয়া গেছে। তবে নতুন কাউকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন সংবাদকর্মীরা।

শেয়ার করুন:
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.