DSU এডমিনরা অপরাধী, ওদের ছাড়বেন না  

বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা গেছে যে, উপর মহলের বিশেষ তদবির চলছে কুখ্যাত ডিএসইউ গ্রুপের গ্রেপ্তার হওয়ার তিনজন এডমিনকে ছেড়ে দেওয়ার। এই কথা শুনে নিজেদের আশাহত এবং দিশেহারা লাগছে বলে জানিয়েছেন এই গ্রুপটির সাথে লড়াই করা বেশ কয়েকজন।

তারা বলছেন, তাদের এতো কষ্ট, এতো সংগ্রাম আর এতো হেনস্থা ও লাঞ্ছণার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি ছড়ানো অন্যতম গ্রুপ Desperately Seeking Uncensored-DSU এর তিনজন আ্যডমিনকে ধরলো পুলিশের কাউন্টার টেররিজম গ্রুপ। এই তিনজন হলো তৌহিদুল ইসলাম অর্ণব (১৯), জোবায়ের আহমেদ (২১) এবং মোহাম্মদ আসিফ রানা (১৮)।

dsu
বিডিনিউজ থেকে নেয়া

একজন বলছিল, ‘আমরা যারা এই গ্রুপটির সাথে লড়ছিলাম, অন্তত যারা ছিল সত্যিকার অর্থে ভুক্তভোগী, তাদের অনেকেই এই খবরে স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলেছিলাম। সবারই আশা ছিল যে, এবার এরা জব্দ হবে, অন্তত এমন কোনো সাজা হবে যাতে আর কোনো মেয়েকে অশ্লীলভাবে হেনস্থা করার আগে দুবার ভাববে অপরাধীরা। এমনকি এরকম গ্রুপগুলো বন্ধ হবে বলেও আশা করছিলাম।

এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি’।

উল্লেখ্য গত এক বছর ধরে DSU গ্রুপটি নোংরা কর্মকাণ্ড ও তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। রাস্তা থেকে মেয়েদের ছবি তোলা থেকে শুরু করে মেয়েদের প্রাইভেট ভিডিও ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। দেশের একটা মেয়েও নিরাপদ না এই গ্রুপে। এই গ্রুপ আর তাদের এডমিন ভবিষ্যৎ ধর্ষক বানাচ্ছে দেশে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের এক ছাত্রীর ব্যক্তিগত গোপন ভিডিও গ্রুপে আপলোড করার পরই মূলত এই গ্রুপটি সম্পর্কে আলোচনা শুরু হয়। এ নিয়ে ভিকটিম মেয়েটি আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় বলেও শোনা গেছে। এর প্রতিবাদে গত ২০ সেপ্টেম্বর উইমেন চ্যাপ্টারে মারজিয়া প্রভার একটা লেখা ( https://womenchapter.com/views/16204) প্রকাশ হবার সঙ্গে সঙ্গেই লেখক এবং সাইটের উপর যুগপৎভাবে তারা হামলা চালায় দেশ-বিদেশ থেকেই। সাইটটি হ্যাক করার সর্বাত্মক চেষ্টা তাদের ব্যর্থ হয় ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে।

এর প্রতিবাদে লেখক লোকাল থানায় সাধারণ ডায়েরি দায়ের করে। জাস্টিস উইম্যানের সহায়তায় সেই জিডি নিয়ে সোজা পুলিশ হেডকোয়ার্টারে  সাহায্য প্রার্থনা করলে গত ১২ই অক্টোবর পুলিশ ডিএসইউ গ্রুপের তিনজন এডমিনকে গ্রেফতার করে।

dsu-d-star
ছবিটি ডেইলি স্টার থেকে নেয়া

ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন সাংবাদিকদের জানান, নানারকম হয়রানির বেশকিছু অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপরে উল্লিখিত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয় গত বুধবার। রাজধানীর পান্থপথে একটি বহুতল ভবন থেকে তাদের আটক করা হয়।

বাতেন জানান, দেশের অনেক মেয়েকে অনলাইনে হয়রানি করার অভিযোগ আছে এদের বিরুদ্ধে। ভিকটিমদের মধ্যে অভিনেত্রী থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজের মেয়েরাও আছে।

মামলা করার পর থেকেই মূলত সবাই অপেক্ষায় ছিল ওদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয় তা দেখার জন্য। শেষপর্যন্ত ওদের গ্রেপ্তারের সংবাদে যারপরনাই খুশি এবং আশ্বস্ত হয় সবাই এইদেশের পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায়।

উইমেন চ্যাপ্টার এবং ব্যক্তিগতভাবে মারজিয়া প্রভা এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক সাজা ও সুবিচার আশা করেছেন।

 

শেয়ার করুন: